জৈন্তাপুর সীমান্তের ঘটনা
সিলেটের জৈন্তাপুরের ডিবির হাওর সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের অনুপ্রবেশ এবং বিএসএফের দফায় দফায় গুলিবর্ষণ ছিল উসকানিমূলক ও নিন্দনীয়। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা কখনো কাম্য নয়। পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ডিবির হাওরে ১২৮৩ থেকে ১২৮৫ সীমান্ত পিলারের ভেতর ১০-১২ জন ভারতীয় নাগরিক মাছ ধরতে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। বিডিআর ও বাংলাদেশি নাগরিকেরা তাদের বাধা দিলে বিএসএফ গুলি ছোড়ে। এতে ১৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক আহত হন। নয়াদিল্লিতে বিডিআর-বিএসএফ বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে সীমান্তে গোলাগুলি চালানো হবে না মর্মে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার তিন দিনের মাথায় এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটল। তাহলে এসব বৈঠক-প্রতিশ্রুতিরই বা কী অর্থ?
সীমান্তে বিএসএফের সদস্যরা চোরাচালান, অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে না পারলেও দেখা যাচ্ছে, তাদের গুলিতে নিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিকেরা প্রাণ হারাচ্ছেন। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত আড়াই মাসে বিএসএফের হাতে ১৯ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। গত রোববার জাতীয় সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য দিয়েছেন। তুচ্ছ মাছ ধরার ঘটনা নিয়ে গোয়াইনঘাট সীমান্তের পদুয়ায় গুলিবর্ষণের পাশাপাশি বিএসএফের পরিখা খনন এবং ভারী অস্ত্রশস্ত্র মজুদ করাও দুঃখজনক। এ ধরনের আচরণ সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার পরিবর্তে উসকানির পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
সোমবার তামাবিল চেকপোস্টে বিডিআর ও বিএসএফের মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা-বৈঠকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার যথাযথ বাস্তবায়নই সবাই দেখতে চাইবে। সীমান্তে শান্তি রক্ষায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদেরই সচেষ্ট থাকতে হবে। অচিহ্নিত সীমান্ত এলাকার সীমানাও যত দ্রুত সম্ভব নির্ধারণ করতে হবে। অন্যথায় এ নিয়ে বিরোধ ও সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েই যাবে।
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সদিচ্ছার অভাব আছে, এমন অভিযোগ করার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুমোদন করা হলেও ভারতীয় লোকসভায় তা এখনো অনুমোদিত হয়নি। সে দেশের জনৈক নাগরিকের দায়ের করা মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় তা আটকে আছে, যে কারণে বাংলাদেশ বেরুবাড়ী হস্তান্তর করলেও আঙ্গরপোতা-দহগ্রাম ছিটমহলে যাতায়াতের জন্য তিন বিঘা করিডরের স্থায়ী ব্যবস্থা সম্ভব হয়নি।
জৈন্তাপুর সীমান্তের বিরোধপূর্ণ ভূমির বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা করে সমাধানের কথা বলা হয়েছে। অতীতের মতো এটিও যেন নিছক কথার কথা না হয়। যখন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তখন সীমান্তে উত্তেজনা জিইয়ে রাখা কাদের স্বার্থ রক্ষা করবে সে বিষয়ও নয়াদিল্লিকে ভাবতে হবে। কোনো পক্ষের উসকানিতে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন সৃষ্টি হোক, তা কাঙ্ক্ষিত নয়। যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
সীমান্তে বিএসএফের সদস্যরা চোরাচালান, অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে না পারলেও দেখা যাচ্ছে, তাদের গুলিতে নিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিকেরা প্রাণ হারাচ্ছেন। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত আড়াই মাসে বিএসএফের হাতে ১৯ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। গত রোববার জাতীয় সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য দিয়েছেন। তুচ্ছ মাছ ধরার ঘটনা নিয়ে গোয়াইনঘাট সীমান্তের পদুয়ায় গুলিবর্ষণের পাশাপাশি বিএসএফের পরিখা খনন এবং ভারী অস্ত্রশস্ত্র মজুদ করাও দুঃখজনক। এ ধরনের আচরণ সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার পরিবর্তে উসকানির পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
সোমবার তামাবিল চেকপোস্টে বিডিআর ও বিএসএফের মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা-বৈঠকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার যথাযথ বাস্তবায়নই সবাই দেখতে চাইবে। সীমান্তে শান্তি রক্ষায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদেরই সচেষ্ট থাকতে হবে। অচিহ্নিত সীমান্ত এলাকার সীমানাও যত দ্রুত সম্ভব নির্ধারণ করতে হবে। অন্যথায় এ নিয়ে বিরোধ ও সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েই যাবে।
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সদিচ্ছার অভাব আছে, এমন অভিযোগ করার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুমোদন করা হলেও ভারতীয় লোকসভায় তা এখনো অনুমোদিত হয়নি। সে দেশের জনৈক নাগরিকের দায়ের করা মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় তা আটকে আছে, যে কারণে বাংলাদেশ বেরুবাড়ী হস্তান্তর করলেও আঙ্গরপোতা-দহগ্রাম ছিটমহলে যাতায়াতের জন্য তিন বিঘা করিডরের স্থায়ী ব্যবস্থা সম্ভব হয়নি।
জৈন্তাপুর সীমান্তের বিরোধপূর্ণ ভূমির বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা করে সমাধানের কথা বলা হয়েছে। অতীতের মতো এটিও যেন নিছক কথার কথা না হয়। যখন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তখন সীমান্তে উত্তেজনা জিইয়ে রাখা কাদের স্বার্থ রক্ষা করবে সে বিষয়ও নয়াদিল্লিকে ভাবতে হবে। কোনো পক্ষের উসকানিতে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন সৃষ্টি হোক, তা কাঙ্ক্ষিত নয়। যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
No comments