ঘূর্ণিঝড়ের পর ফিজিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র ফিজিতে ঘূর্ণিঝড় ‘থমাস’ আঘাত হানার পর গতকাল মঙ্গলবার দেশটির সরকার উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। পশ্চিমাঞ্চলের ভিতি লেভু ছাড়া সব এলাকায় আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত সান্ধ্য আইনের সময় বাড়িয়েছে সরকার। গত সোমবার ওই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ে এখন পর্যন্ত নিহতের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। তবে দুর্যোগকবলিত এলাকা থেকে অন্তত ১৭ হাজার লোককে উদ্ধার করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও জি নিউজের।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় থমাসের আঘাতে ফিজির পূর্বাঞ্চলের লাউ দ্বীপপুঞ্জ ও দ্বিতীয় বড় দ্বীপ ভানুয়া লেভুতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে কয়েকটি দ্বীপের সঙ্গে যোগাযোগ-ব্যবস্থা। জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ডুবে গেছে উপকূলের অনেক নিচু এলাকা। আকস্মিক বন্যার পানিতে কিছু ঘর ভেঙে ভেসে গেছে। কয়েকটি এলাকায় জলোচ্ছ্বাসে সমুদ্রের পানি সাত মিটার (২৩ ফুট) পর্যন্ত উঁচুতে ওঠে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রচণ্ড বাতাসে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পর পুরো দেশের বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে সরকারি কাজ। ঘূর্ণিঝড়ে অনেক ছোট দ্বীপ ও ভেনুয়া দ্বীপের অনেক এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ-ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখনো ক্ষয়ক্ষতির পুরো চিত্র পাওয়া যায়নি। এখনো ভানুয়া লেভুর অনেক জায়গায় বিদ্যুৎসরবরাহ বন্ধ আছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার পানি ও পয়োনিষ্কাশন-ব্যবস্থা। ঘূর্ণিঝড়ের পর গতকালও দেশটির উপকূলে ঘণ্টায় গড়ে ১৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়।
ঘূর্ণিঝড়ের পর ফিজিতে স্থানীয় বিমান ও নৌচলাচল স্থগিত করা হলেও গতকাল ভিতি লেভুর পশ্চিমে নাদির প্রধান বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল আবার শুরু হয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ-ব্যবস্থাপনা দপ্তরের পরিচালক পাজিলিয়াই দোবুই বলেন, ‘আমার মতে, ঘূর্ণিঝড়ে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এটা খুবই কম।’ দোবুই বলেন, অন্য ঘূর্ণিঝড়ের অভিজ্ঞতা আছে এমন ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এবারের ঘূর্ণিঝড়টি তাঁদের কাছে সবচেয়ে দীর্ঘ ও শক্তিশালী এবং ব্যাপক ধ্বংসাত্মক।
ঘূর্ণিঝড়ে শুধু এক নারীর মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভানুয়া লেভু দ্বীপের পাশে সমুদ্রের পানিতে ডুবে ওই নারী মারা যান।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, দুর্গত এলাকায় খাবার, পানি ও প্রয়োজনীয় পণ্যসহ সেনা পাঠানো হয়েছে। সংস্থাটির মুখপাত্র অ্যান্থনি ব্ল্যাক বলেন, ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে আজ বুধবার জরিপ করা হবে।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় থমাসের আঘাতে ফিজির পূর্বাঞ্চলের লাউ দ্বীপপুঞ্জ ও দ্বিতীয় বড় দ্বীপ ভানুয়া লেভুতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে কয়েকটি দ্বীপের সঙ্গে যোগাযোগ-ব্যবস্থা। জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ডুবে গেছে উপকূলের অনেক নিচু এলাকা। আকস্মিক বন্যার পানিতে কিছু ঘর ভেঙে ভেসে গেছে। কয়েকটি এলাকায় জলোচ্ছ্বাসে সমুদ্রের পানি সাত মিটার (২৩ ফুট) পর্যন্ত উঁচুতে ওঠে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রচণ্ড বাতাসে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পর পুরো দেশের বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে সরকারি কাজ। ঘূর্ণিঝড়ে অনেক ছোট দ্বীপ ও ভেনুয়া দ্বীপের অনেক এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ-ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখনো ক্ষয়ক্ষতির পুরো চিত্র পাওয়া যায়নি। এখনো ভানুয়া লেভুর অনেক জায়গায় বিদ্যুৎসরবরাহ বন্ধ আছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার পানি ও পয়োনিষ্কাশন-ব্যবস্থা। ঘূর্ণিঝড়ের পর গতকালও দেশটির উপকূলে ঘণ্টায় গড়ে ১৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়।
ঘূর্ণিঝড়ের পর ফিজিতে স্থানীয় বিমান ও নৌচলাচল স্থগিত করা হলেও গতকাল ভিতি লেভুর পশ্চিমে নাদির প্রধান বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল আবার শুরু হয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ-ব্যবস্থাপনা দপ্তরের পরিচালক পাজিলিয়াই দোবুই বলেন, ‘আমার মতে, ঘূর্ণিঝড়ে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এটা খুবই কম।’ দোবুই বলেন, অন্য ঘূর্ণিঝড়ের অভিজ্ঞতা আছে এমন ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এবারের ঘূর্ণিঝড়টি তাঁদের কাছে সবচেয়ে দীর্ঘ ও শক্তিশালী এবং ব্যাপক ধ্বংসাত্মক।
ঘূর্ণিঝড়ে শুধু এক নারীর মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভানুয়া লেভু দ্বীপের পাশে সমুদ্রের পানিতে ডুবে ওই নারী মারা যান।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, দুর্গত এলাকায় খাবার, পানি ও প্রয়োজনীয় পণ্যসহ সেনা পাঠানো হয়েছে। সংস্থাটির মুখপাত্র অ্যান্থনি ব্ল্যাক বলেন, ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে আজ বুধবার জরিপ করা হবে।
No comments