জেরুজালেমে পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক সংঘর্ষ
অধিকৃত এলাকায় নতুন করে ইহুদি বসতি স্থাপনের ঘোষণায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। প্রতিবাদে পূর্ব জেরুজালেম ও এর আশপাশের এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে শত শত ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ করেছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ বলেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেরুজালেমে তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর মধ্যেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংকট বাড়লেও ইসরায়েল জেরুজালেম ও এর আশপাশে ইহুদি বসতি স্থাপন বন্ধ করবে না। বসতি বন্ধে ওয়াশিংটনের আহ্বানও তিনি নাকচ করে দেন। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ইহুদি বসতি নির্মাণ পুরোপুরি বন্ধ না হলে তিনি শান্তি আলোচনায় ফিরছেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিক্ষোভকারীরা সুয়াফাত শরণার্থী শিবির থেকে পুলিশের ওপর পাথর নিক্ষেপ শুরু করে। তারা রাস্তায় টায়ারও পোড়ায়। ওই সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবারের গুলি এবং স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। দুই পক্ষের সংঘর্ষের একপর্যায়ে সেখানে সেনাসদস্যরা প্রবেশ করলে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
একই দিন কালানদিয়া, ওয়াদি আল-জাউজ, আল-ঈসাইয়েআহ, রাস আল-আমাউদ এবং আল-আকসা মসজিদ এলাকায় ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভ করে।
ইসরায়েলি সরকার গত সপ্তাহে মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফরের সময় ঘোষণা দেয়, পশ্চিম তীরে আরও এক হাজার ইহুদি বসতি স্থাপন করা হবে। একই সঙ্গে সেখানে সিনাগগও নির্মিত হবে। ওই ঘোষণায় ফিলিস্তিনিরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিষয়টি ইসরায়েল-মার্কিন সম্পর্ককেও খারাপের দিকে নিয়ে যায়। ইসরায়েলি পত্রিকাগুলো বলেছে, গত তিন দশকের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে খারাপ সম্পর্ক যাচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, জো বাইডেনের সফরের সময় এভাবে বসতি স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া রীতিমতো অপমানের। তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছে টেলিফোন করে যুক্তরাষ্ট্রের হতাশার কথাও জানিয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক দূত জর্জ মিশেল তাঁর পরিকল্পিত মধ্যপ্রাচ্য সফর স্থগিত করেছেন। গত সোমবার থেকেই তাঁর সফর শুরু করার কথা ছিল।
এর মধ্যেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংকট বাড়লেও ইসরায়েল জেরুজালেম ও এর আশপাশে ইহুদি বসতি স্থাপন বন্ধ করবে না। বসতি বন্ধে ওয়াশিংটনের আহ্বানও তিনি নাকচ করে দেন। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ইহুদি বসতি নির্মাণ পুরোপুরি বন্ধ না হলে তিনি শান্তি আলোচনায় ফিরছেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিক্ষোভকারীরা সুয়াফাত শরণার্থী শিবির থেকে পুলিশের ওপর পাথর নিক্ষেপ শুরু করে। তারা রাস্তায় টায়ারও পোড়ায়। ওই সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবারের গুলি এবং স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। দুই পক্ষের সংঘর্ষের একপর্যায়ে সেখানে সেনাসদস্যরা প্রবেশ করলে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
একই দিন কালানদিয়া, ওয়াদি আল-জাউজ, আল-ঈসাইয়েআহ, রাস আল-আমাউদ এবং আল-আকসা মসজিদ এলাকায় ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভ করে।
ইসরায়েলি সরকার গত সপ্তাহে মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফরের সময় ঘোষণা দেয়, পশ্চিম তীরে আরও এক হাজার ইহুদি বসতি স্থাপন করা হবে। একই সঙ্গে সেখানে সিনাগগও নির্মিত হবে। ওই ঘোষণায় ফিলিস্তিনিরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিষয়টি ইসরায়েল-মার্কিন সম্পর্ককেও খারাপের দিকে নিয়ে যায়। ইসরায়েলি পত্রিকাগুলো বলেছে, গত তিন দশকের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে খারাপ সম্পর্ক যাচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, জো বাইডেনের সফরের সময় এভাবে বসতি স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া রীতিমতো অপমানের। তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছে টেলিফোন করে যুক্তরাষ্ট্রের হতাশার কথাও জানিয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক দূত জর্জ মিশেল তাঁর পরিকল্পিত মধ্যপ্রাচ্য সফর স্থগিত করেছেন। গত সোমবার থেকেই তাঁর সফর শুরু করার কথা ছিল।
No comments