বাতি নিভিয়ে উষ্ণতার বিরুদ্ধে সচেতনতা
রাত সাড়ে আটটার দিকে নিভে যায় ১২৫টি দেশের চার হাজারের বেশি শহর ও উপশহরের বৈদ্যুতিক বাতি। অন্ধকারময় থাকে পুরো এক ঘণ্টা। ভাবছেন আমাদের দেশের মতো লোডশেডিং হলো নাকি! না তেমনটি নয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে বিশ্বব্যাপী এই ‘বাতি নেভানো’ কর্মসূচি পালিত হয় গতকাল শনিবার রাতে। এক ঘণ্টা বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ রাখার ব্যতিক্রমী এই আন্দোলনের নাম ‘আর্থ আওয়ার’।
এবারের কর্মসূচিতে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ নিজ নিজ দেশের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত নিজের বাড়ি বা কর্মস্থলে বিজলিবাতি নিভিয়ে রাখে। ৬০ মিনিট উৎসর্গ করে পৃথিবীর জন্য।
বাতি নেভানো কর্মসূচি গতকাল প্রথম পালিত হয় নিউজিল্যান্ডের চাথাম আইসল্যান্ডে। সেখানে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটার সময় বাতি নেভানোর কথা থাকলেও ঘণ্টাখানেক আগে নিভিয়ে দেওয়া হয় সব বৈদ্যুতিক বাতি। নিরাপত্তার জন্য শুধু সড়কের ১২টি বাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়। কিছু স্থানে বৈদ্যুতিক বাতি নিভিয়ে ডিজেলচালিত জেনারেটর চালিয়ে বাতি জ্বালানো হয়।
এর ৪৫ মিনিট পর নিউজিল্যান্ডের প্রায় ৫০টি শহর ও উপশহরের বাড়িঘর, অফিস ও দোকানের বৈদ্যুতিক বাতি নেভানো হয়। এ ছাড়া নিভিয়ে ফেলা হয় অকল্যান্ডের বিশাল স্কাই টাওয়ার ও ওয়েলিংটনের পার্লামেন্ট ভবনের বাতি।
একই সময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ফিজিতেও পালিত হয় বাতি নেভানো কর্মসূচি। রাত সাড়ে আটটার দিকে নিভে যায় সিডনির ঐতিহাসিক অপেরা হাউস ও হার্বার ব্রিজসহ বাড়িঘর ও অফিসের বাতি।
আর্থ আওয়ারের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্ডি রিডলি বলেন, ব্রাজিল থেকে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারত পর্যন্ত বহু দেশ এ বছরের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে।
রিডলি বলেন, এক ঘণ্টা বাতি বন্ধ রাখার মাধ্যমে বিশ্বের উষ্ণতা হয়তো ঠেকানো যাবে না, তবে এটা উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কোটি মানুষের দাবির কথা তুলে ধরবে।
উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে জ্বালানি সংরক্ষণ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিশ্বের এক হাজার ২০০-এর বেশি বিখ্যাত ও গুরুত্বপূর্ণ ভবনে এক ঘণ্টা বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ রাখা হয়। এর মধ্যে রয়েছে আইফেল টাওয়ার, এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং ও লিনিং টাওয়ার অব পিসা।
এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশ চীনের ১২টির বেশি শহরে বাতি নেভানো কর্মসূচি পালিত হয়। বন্ধ থাকে হংকং, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল, ভারতের দিল্লি ও মুম্বাইয়ের বৈদ্যুতিক বাতি।
নিভিয়ে ফেলা হয় লন্ডনের বিগ ব্যান ঘড়ি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ওল্ড ট্রাফোর্ড মাঠ, প্যারিসের নটরডেম ক্যাথেড্রাল ও রোমের ট্রেভি ফাউন্টেনের আলো।
বাতি নেভানোর ফলে এক ঘণ্টার জন্য অন্ধকারে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট রুশমোর, সান ফ্রান্সিসকোর গোল্ডেন গেট ব্রিজ ও শিকাগোর ১১০ তলার সিয়ার্স টাওয়ারসহ প্রায় ৩০টি রাজ্যের লোকজন।
পরিবেশবাদী সংগঠন ওয়ার্ল্ড লাইফ ফান্ড ফর নেচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) উদ্যোগে ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এক ঘণ্টার বাতি নেভানো কর্মসূচি শুরু হয়।
বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কোপেনহেগেনে জাতিসংঘের দুই সপ্তাহের আলোচনা হয়। কিন্তু উষ্ণতা রোধে দেশগুলোকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া বা গঠনমূলক পরিকল্পনা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় হতাশ হন পরিবেশবাদীরা।
এবারের কর্মসূচিতে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ নিজ নিজ দেশের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত নিজের বাড়ি বা কর্মস্থলে বিজলিবাতি নিভিয়ে রাখে। ৬০ মিনিট উৎসর্গ করে পৃথিবীর জন্য।
বাতি নেভানো কর্মসূচি গতকাল প্রথম পালিত হয় নিউজিল্যান্ডের চাথাম আইসল্যান্ডে। সেখানে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটার সময় বাতি নেভানোর কথা থাকলেও ঘণ্টাখানেক আগে নিভিয়ে দেওয়া হয় সব বৈদ্যুতিক বাতি। নিরাপত্তার জন্য শুধু সড়কের ১২টি বাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়। কিছু স্থানে বৈদ্যুতিক বাতি নিভিয়ে ডিজেলচালিত জেনারেটর চালিয়ে বাতি জ্বালানো হয়।
এর ৪৫ মিনিট পর নিউজিল্যান্ডের প্রায় ৫০টি শহর ও উপশহরের বাড়িঘর, অফিস ও দোকানের বৈদ্যুতিক বাতি নেভানো হয়। এ ছাড়া নিভিয়ে ফেলা হয় অকল্যান্ডের বিশাল স্কাই টাওয়ার ও ওয়েলিংটনের পার্লামেন্ট ভবনের বাতি।
একই সময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ফিজিতেও পালিত হয় বাতি নেভানো কর্মসূচি। রাত সাড়ে আটটার দিকে নিভে যায় সিডনির ঐতিহাসিক অপেরা হাউস ও হার্বার ব্রিজসহ বাড়িঘর ও অফিসের বাতি।
আর্থ আওয়ারের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্ডি রিডলি বলেন, ব্রাজিল থেকে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারত পর্যন্ত বহু দেশ এ বছরের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে।
রিডলি বলেন, এক ঘণ্টা বাতি বন্ধ রাখার মাধ্যমে বিশ্বের উষ্ণতা হয়তো ঠেকানো যাবে না, তবে এটা উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কোটি মানুষের দাবির কথা তুলে ধরবে।
উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে জ্বালানি সংরক্ষণ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিশ্বের এক হাজার ২০০-এর বেশি বিখ্যাত ও গুরুত্বপূর্ণ ভবনে এক ঘণ্টা বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ রাখা হয়। এর মধ্যে রয়েছে আইফেল টাওয়ার, এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং ও লিনিং টাওয়ার অব পিসা।
এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশ চীনের ১২টির বেশি শহরে বাতি নেভানো কর্মসূচি পালিত হয়। বন্ধ থাকে হংকং, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল, ভারতের দিল্লি ও মুম্বাইয়ের বৈদ্যুতিক বাতি।
নিভিয়ে ফেলা হয় লন্ডনের বিগ ব্যান ঘড়ি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ওল্ড ট্রাফোর্ড মাঠ, প্যারিসের নটরডেম ক্যাথেড্রাল ও রোমের ট্রেভি ফাউন্টেনের আলো।
বাতি নেভানোর ফলে এক ঘণ্টার জন্য অন্ধকারে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট রুশমোর, সান ফ্রান্সিসকোর গোল্ডেন গেট ব্রিজ ও শিকাগোর ১১০ তলার সিয়ার্স টাওয়ারসহ প্রায় ৩০টি রাজ্যের লোকজন।
পরিবেশবাদী সংগঠন ওয়ার্ল্ড লাইফ ফান্ড ফর নেচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) উদ্যোগে ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এক ঘণ্টার বাতি নেভানো কর্মসূচি শুরু হয়।
বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কোপেনহেগেনে জাতিসংঘের দুই সপ্তাহের আলোচনা হয়। কিন্তু উষ্ণতা রোধে দেশগুলোকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া বা গঠনমূলক পরিকল্পনা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় হতাশ হন পরিবেশবাদীরা।
No comments