এডিপি বাস্তবায়নে আইএমইডিকে শক্তিশালী করার প্রস্তাব by ফখরুল ইসলাম
প্রকল্পের দুর্নীতি রোধ এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) যথাযথ বাস্তবায়নে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
আইএমইডির এ সংক্রান্ত সুপারিশ প্রতিবেদন সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইএমইডির বিদ্যমান জনবল তিন গুণ বাড়ানো, সাত বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে আইএমইডির কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ৪০টি নতুন বিভাগীয় প্রধানের পদ সৃষ্টি এবং ২১ বৃহত্ জেলা পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ ইউনিট ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক স্থাপনা (আইটি সেট-আপ) তৈরির সুপারিশ এতে রয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকারের অনুমোদনে আইএমইডির এই প্রস্তাবটি চূড়ান্ত হয়েছে ১৬ মার্চ। বর্তমানে আইএমইডির মঞ্জুরিকৃত পদ ২৭০। নতুন প্রস্তাবনায় প্রথম শ্রেণীর ১৪৭, দ্বিতীয় শ্রেণীর ৪০, তৃতীয় শ্রেণীর ২০২ এবং চতুর্থ শ্রেণীর ২৩০ অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৬১৯ পদ বাড়ানোর কথা রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভায় অনুমোদিত হলে আইএমইডির মোট জনবল হবে তখন ৮৮৯।
সরকার মনে করছে, দুর্বল আইএমইডির কারণে উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ দুর্বলতার অন্যতম দিক হলো বিভাগটির জনবল সংকট। জনবলের অভাবে শুধু দুর্নীতি রোধ করা যাচ্ছে না তা নয়, অপচয় হচ্ছে সরকারি সম্পদেরও।
এডিপি বাস্তবায়নের স্বার্থে আইএমইডিকে শক্তিশালী করতে গত বছরের মাঝামাঝি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়, ‘দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল ধারায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রমের বিশেষ অবদান রয়েছে। আর প্রকল্প বাস্তবায়ন-প্রক্রিয়া ফলপ্রসূ ও কার্যকর করার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আইএমইডি। বিভাগটির কার্যক্রম বিজ্ঞানভিত্তিক, আধুনিক ও বাস্তবসম্মত হওয়া একান্ত প্রয়োজন।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এডিপিতে বরাদ্দকৃত অর্থের কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ, দুর্নীতি ও সম্পদের অপচয় রোধ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়নের সুবিধা জনগণের কাছে পৌঁছাতে আইএমইডিকে শক্তিশালী করা জরুরি।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইএমইডিকে শক্তিশালী করার নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ নির্দেশনার পর আইএমইডির প্রধান খোদেজা বেগমের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি যে সুপারিশ প্রতিবেদন তৈরি করেছে, সেটাই সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে।
সুপারিশগুলো হচ্ছে—সচিবসহ প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের ঘন ঘন বদলি পরিহার করা এবং বিভাগে তাঁদের মেয়াদকাল কমপক্ষে তিন বছর করা, শূন্যপদ পূরণ করা, সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) কার্যক্রমের সঙ্গে প্রকল্প চক্রের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ প্রকল্প বাস্তবায়নের সমন্বয় করা, পরিবীক্ষণের জন্য সার্বক্ষনিক ছয়টি জিপ গাড়ির সংস্থান, ফলাফলভিত্তিক পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা ইত্যাদি।
আইএমইডি সূত্র জানায়, চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির আগে আরও দুটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিল উচ্চপর্যায়ের এই কমিটি। প্রতিবেদন তিনটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রথম প্রতিবেদনে আইএমইডিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে আনার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু দ্বিতীয় প্রতিবেদনে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া হয় বিষয়টিকে।
দ্বিতীয় প্রতিবেদনে ঢাকার বাইরে পর্যবেক্ষণ কার্যালয় স্থাপনের কোনো বিষয়ও উল্লেখ করা হয়নি। তৃতীয় প্রতিবেদনে ঢাকার বাইরে পর্যবেক্ষণ কার্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে, কিন্তু উপেক্ষা করা হয়েছে আইএমইডিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে নিয়ে আসার চিন্তাটি। অন্য সুপারিশগুলো রয়েছে তিন প্রতিবেদনেই।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দুর্নীতির সঙ্গে আইএমইডির একশ্রেণীর কর্মকর্তার যোগসাজশ থাকায় কোনোক্রমেই বিভাগটি নিজে থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে যেতে চায় না।
আইএমইডির এ সংক্রান্ত সুপারিশ প্রতিবেদন সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইএমইডির বিদ্যমান জনবল তিন গুণ বাড়ানো, সাত বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে আইএমইডির কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ৪০টি নতুন বিভাগীয় প্রধানের পদ সৃষ্টি এবং ২১ বৃহত্ জেলা পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ ইউনিট ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক স্থাপনা (আইটি সেট-আপ) তৈরির সুপারিশ এতে রয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকারের অনুমোদনে আইএমইডির এই প্রস্তাবটি চূড়ান্ত হয়েছে ১৬ মার্চ। বর্তমানে আইএমইডির মঞ্জুরিকৃত পদ ২৭০। নতুন প্রস্তাবনায় প্রথম শ্রেণীর ১৪৭, দ্বিতীয় শ্রেণীর ৪০, তৃতীয় শ্রেণীর ২০২ এবং চতুর্থ শ্রেণীর ২৩০ অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৬১৯ পদ বাড়ানোর কথা রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভায় অনুমোদিত হলে আইএমইডির মোট জনবল হবে তখন ৮৮৯।
সরকার মনে করছে, দুর্বল আইএমইডির কারণে উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ দুর্বলতার অন্যতম দিক হলো বিভাগটির জনবল সংকট। জনবলের অভাবে শুধু দুর্নীতি রোধ করা যাচ্ছে না তা নয়, অপচয় হচ্ছে সরকারি সম্পদেরও।
এডিপি বাস্তবায়নের স্বার্থে আইএমইডিকে শক্তিশালী করতে গত বছরের মাঝামাঝি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়, ‘দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল ধারায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রমের বিশেষ অবদান রয়েছে। আর প্রকল্প বাস্তবায়ন-প্রক্রিয়া ফলপ্রসূ ও কার্যকর করার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আইএমইডি। বিভাগটির কার্যক্রম বিজ্ঞানভিত্তিক, আধুনিক ও বাস্তবসম্মত হওয়া একান্ত প্রয়োজন।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এডিপিতে বরাদ্দকৃত অর্থের কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ, দুর্নীতি ও সম্পদের অপচয় রোধ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়নের সুবিধা জনগণের কাছে পৌঁছাতে আইএমইডিকে শক্তিশালী করা জরুরি।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইএমইডিকে শক্তিশালী করার নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ নির্দেশনার পর আইএমইডির প্রধান খোদেজা বেগমের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি যে সুপারিশ প্রতিবেদন তৈরি করেছে, সেটাই সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে।
সুপারিশগুলো হচ্ছে—সচিবসহ প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের ঘন ঘন বদলি পরিহার করা এবং বিভাগে তাঁদের মেয়াদকাল কমপক্ষে তিন বছর করা, শূন্যপদ পূরণ করা, সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) কার্যক্রমের সঙ্গে প্রকল্প চক্রের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ প্রকল্প বাস্তবায়নের সমন্বয় করা, পরিবীক্ষণের জন্য সার্বক্ষনিক ছয়টি জিপ গাড়ির সংস্থান, ফলাফলভিত্তিক পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা ইত্যাদি।
আইএমইডি সূত্র জানায়, চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির আগে আরও দুটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিল উচ্চপর্যায়ের এই কমিটি। প্রতিবেদন তিনটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রথম প্রতিবেদনে আইএমইডিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে আনার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু দ্বিতীয় প্রতিবেদনে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া হয় বিষয়টিকে।
দ্বিতীয় প্রতিবেদনে ঢাকার বাইরে পর্যবেক্ষণ কার্যালয় স্থাপনের কোনো বিষয়ও উল্লেখ করা হয়নি। তৃতীয় প্রতিবেদনে ঢাকার বাইরে পর্যবেক্ষণ কার্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে, কিন্তু উপেক্ষা করা হয়েছে আইএমইডিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে নিয়ে আসার চিন্তাটি। অন্য সুপারিশগুলো রয়েছে তিন প্রতিবেদনেই।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দুর্নীতির সঙ্গে আইএমইডির একশ্রেণীর কর্মকর্তার যোগসাজশ থাকায় কোনোক্রমেই বিভাগটি নিজে থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে যেতে চায় না।
No comments