থাইল্যান্ডে বিক্ষোভের মুখে পিছু হটেছে সেনাবাহিনী
সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার লাল শার্ট পরা সমর্থকদের আন্দোলনের মুখে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের কয়েকটি নিরাপত্তা-চৌকি থেকে সেনাবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। গতকাল শনিবার ব্যাংককের রাস্তায় রাস্তায় লাল শার্ট পরা প্রায় ৮০ হাজার আন্দোলনকারী প্রচণ্ড বিক্ষোভ শুরু করলে সরকার সংঘাত এড়াতে সেনাবাহিনী সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর কৌশল হিসেবে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা এটিকে তাঁদের ‘প্রাথমিক বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন। বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা ঘরে ফিরবেন না। খবর এপি ও এএফপির।
থাইল্যান্ডে ২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ত্যাগ করেন। এরপর ২০০৮ সালে সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় থাই সংবিধান সংশোধন করে সাধারণ নির্বাচন দেওয়া হয়। থাকসিনের সমর্থকেরা ওই সংবিধান সংশোধনকে অবৈধ বলে দাবি করেন। ২০০৮ সালে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর থাকসিন দেশে ফেরেন এবং একটি মামলায় আদালত তাঁকে কারাদণ্ড দেন। গ্রেপ্তার এড়াতে সিনাওয়াত্রা আবার দেশ ছাড়েন।
২০০৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে অভিজিত্ ভেজ্জাজিভা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে গত মাস পর্যন্ত সিনাওয়াত্রার সমর্থকেরা প্রায় নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তবে ১৪ মার্চ তাঁরা লাল শার্ট পরে দলে দলে রাস্তায় নেমে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেন। গত সপ্তাহে প্রায় ৬৫ হাজার বিক্ষোভকারী রাজধানীতে বিক্ষোভ করেন। তাঁদের দমিয়ে রাখতে রাজধানীর সাতটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অস্থায়ী ক্যাম্প গড়ে সেখানে প্রায় ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়। তবে গত কয়েক দিনে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। গতকাল প্রায় ৮০ হাজার বিক্ষোভকারী ব্যাংককের রাজপথে নেমে আসেন।
বিক্ষোভকারীরা সেনা প্রত্যাহার করা না হলে আইন ভঙ্গের হুমকি দেন। সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায় গতকাল সরকার সেনাবাহিনী সরিয়ে নেওয়া শুরু করে।
গতকাল রাজকীয় ময়দান, চিড়িয়াখানা ও দুটি বৌদ্ধমন্দিরসহ মোট চারটি স্থানে বসানো ক্যাম্প থেকে সেনা সরানোর কাজ শুরু হয়। সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ক্যাম্পগুলো থেকে সেনারা যখন তাদের তাঁবু গুটিয়ে সেনাযানে চড়ে ব্যারাকে ফিরছিল, তখন বিক্ষোভকারীরা ফুল ছিটিয়ে তাদের অভিনন্দন জানান। হর্ষধ্বনি দিয়ে সেনাসদস্যদের ধন্যবাদ জানান বিক্ষোভকারীরা। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধানমন্ত্রী সাথেপ থাউগসুবান বলেছেন, সংঘাত এড়ানোর স্বার্থে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের কাছে নতি স্বীকার নয়; বরং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার কৌশল হিসেবে তাঁরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে বিক্ষোভকারীদের নেতা আসিম্যান পোংরুংরং বলেছেন, তাঁরা সেনাবাহিনীকে হটিয়ে দেওয়ার জন্য এসেছেন এবং সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, এটি তাদের এবং থাইল্যান্ডের দরিদ্র কৃষকের প্রাথমিক বিজয়। সরকারের পতন ঘটিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ঘরে ফিরবেন না।
এদিকে বিদেশে আত্মগোপনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্রতিদিনই ভিডিওবার্তার মাধ্যমে সরকারবিরোধী আন্দোলনের দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন দেওয়া না হলে তিনি সমর্থকদের আইন ভঙ্গ কর্মসূচি হাতে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
থাইল্যান্ডে ২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ত্যাগ করেন। এরপর ২০০৮ সালে সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় থাই সংবিধান সংশোধন করে সাধারণ নির্বাচন দেওয়া হয়। থাকসিনের সমর্থকেরা ওই সংবিধান সংশোধনকে অবৈধ বলে দাবি করেন। ২০০৮ সালে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর থাকসিন দেশে ফেরেন এবং একটি মামলায় আদালত তাঁকে কারাদণ্ড দেন। গ্রেপ্তার এড়াতে সিনাওয়াত্রা আবার দেশ ছাড়েন।
২০০৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে অভিজিত্ ভেজ্জাজিভা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে গত মাস পর্যন্ত সিনাওয়াত্রার সমর্থকেরা প্রায় নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তবে ১৪ মার্চ তাঁরা লাল শার্ট পরে দলে দলে রাস্তায় নেমে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেন। গত সপ্তাহে প্রায় ৬৫ হাজার বিক্ষোভকারী রাজধানীতে বিক্ষোভ করেন। তাঁদের দমিয়ে রাখতে রাজধানীর সাতটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অস্থায়ী ক্যাম্প গড়ে সেখানে প্রায় ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়। তবে গত কয়েক দিনে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। গতকাল প্রায় ৮০ হাজার বিক্ষোভকারী ব্যাংককের রাজপথে নেমে আসেন।
বিক্ষোভকারীরা সেনা প্রত্যাহার করা না হলে আইন ভঙ্গের হুমকি দেন। সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায় গতকাল সরকার সেনাবাহিনী সরিয়ে নেওয়া শুরু করে।
গতকাল রাজকীয় ময়দান, চিড়িয়াখানা ও দুটি বৌদ্ধমন্দিরসহ মোট চারটি স্থানে বসানো ক্যাম্প থেকে সেনা সরানোর কাজ শুরু হয়। সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ক্যাম্পগুলো থেকে সেনারা যখন তাদের তাঁবু গুটিয়ে সেনাযানে চড়ে ব্যারাকে ফিরছিল, তখন বিক্ষোভকারীরা ফুল ছিটিয়ে তাদের অভিনন্দন জানান। হর্ষধ্বনি দিয়ে সেনাসদস্যদের ধন্যবাদ জানান বিক্ষোভকারীরা। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধানমন্ত্রী সাথেপ থাউগসুবান বলেছেন, সংঘাত এড়ানোর স্বার্থে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের কাছে নতি স্বীকার নয়; বরং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার কৌশল হিসেবে তাঁরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে বিক্ষোভকারীদের নেতা আসিম্যান পোংরুংরং বলেছেন, তাঁরা সেনাবাহিনীকে হটিয়ে দেওয়ার জন্য এসেছেন এবং সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, এটি তাদের এবং থাইল্যান্ডের দরিদ্র কৃষকের প্রাথমিক বিজয়। সরকারের পতন ঘটিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ঘরে ফিরবেন না।
এদিকে বিদেশে আত্মগোপনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্রতিদিনই ভিডিওবার্তার মাধ্যমে সরকারবিরোধী আন্দোলনের দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন দেওয়া না হলে তিনি সমর্থকদের আইন ভঙ্গ কর্মসূচি হাতে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
No comments