জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ
বহু বছর ধরে দেশের অন্যতম বড় সমস্যা হিসেবে বিবেচিত জনবিস্ফোরণ সমস্যা মোকাবিলার ঢিমে তেতালা অবস্থার একটি চিত্র ফুটে উঠেছে গত বুধবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কাজকর্ম যারপরনাই শিথিল হয়ে পড়েছে। জনবলের সংকট আর নিয়োজিত জনবলের উৎসাহ-প্রণোদনার প্রকট অভাব পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করছে। অবস্থা দেখে মনে হয়, জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় নেই।
যদি থাকত, তাহলে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ে এক হাজার ৬৩০টি পদ শূন্য রইত না। দেশের ৬৪টি জেলায় ৬৪টি উপপরিচালকের পদ খালি রয়েছে ১৭ বছর ধরে। অধিদপ্তরের ১৬টি পরিচালকের পদের মধ্যে ১৪টিতে পদায়ন করা হয়েছে প্রশাসন ক্যাডারের আর দুটিতে স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের। শীর্ষস্থানীয় আরও ১৭টি পদে পরিবার পরিকল্পনা ও জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তা নেই। পরিবার পরিকল্পনাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনকাজের কোনো নজরদারি নেই অনেক বছর ধরে। কারণ, লোকবলের অভাব।
শুধু লোকবলের অভাব নয়, বিদ্যমান লোকবলের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও গাফিলতি রয়েছে। বিস্ময়কর তথ্য হলো, জনপ্রশাসনের ২৯টি ক্যাডারের মধ্যে এ যাবত্ কোনো পদোন্নতি দেওয়া হয়নি শুধু একটি ক্যাডারের লোকদের, সেটি হচ্ছে পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডার। এর ব্যাখ্যাও সংশ্লিষ্ট কারও কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। দৃশ্যত অধিদপ্তরটি পরিচালিত বা নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে প্রশাসন ক্যাডারদের দ্বারা; আর পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে উপপরিচালকের পদে চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়ায় বোঝা যায় যে কতটা গুরুত্বহীনভাবে চালানো হচ্ছে এ অধিদপ্তরকে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বর্তমান মোট লোকবল প্রায় ৫৫ হাজার। একটি অধিদপ্তরের জন্য এ লোকবল কম তো নয়ই, বরং অনেক পূর্ণ মন্ত্রণালয়েও এত সংখ্যক লোকবল নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, এ লোকবলের যথাযথ ব্যবহার। সেটা যে অনেক বছর ধরেই ঘটছে না, তা বলাই বাহুল্য। পরিবার পরিকল্পনা একটি ক্যাডার সার্ভিস। এ সার্ভিসের সব শীর্ষ পদে কেন প্রশাসন ও স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয়? এভাবে একটি ক্যাডার সার্ভিসের মনোবল ভেঙে দেওয়া হয়; তাঁরা চরম বঞ্চনাবোধ আর হতাশায় ভোগেন। পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক একটি পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের চিন্তাভাবনা চলছে বলে খবরে প্রকাশ। ভালো চিন্তা সন্দেহ নেই। তবে এটাও মনে রাখা দরকার যে মন্ত্রণালয় অনেক আছে, সেগুলোর সব কাজ খুব ভালোভাবে চলছে, এমনটা বলা যাবে না। জনসংখ্যা বৃদ্ধি এমন এক সমস্যা, যা থেকে তৈরি ও ঘনীভূত হচ্ছে অনেক গুরুতর সমস্যা। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যমান জনসংখ্যার দক্ষ ব্যবস্থাপনা, জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করার উপায়ও গভীরভাবে ভাবতে হবে এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
আমাদের এ ছোট্ট ভূখণ্ডের দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা পরিবেশগত অবক্ষয়ের শিকার হচ্ছে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্বের সংকট দেখা দিতে বেশি সময় লাগবে না। জনসংখ্যা এখানে এমনিতেই স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক গুণ বেশি, আরও বাড়তে দেওয়া হবে আত্মহত্যার শামিল। অবিলম্বে আমাদের এ বিষয়ে তৎপর হতে হবে।
যদি থাকত, তাহলে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ে এক হাজার ৬৩০টি পদ শূন্য রইত না। দেশের ৬৪টি জেলায় ৬৪টি উপপরিচালকের পদ খালি রয়েছে ১৭ বছর ধরে। অধিদপ্তরের ১৬টি পরিচালকের পদের মধ্যে ১৪টিতে পদায়ন করা হয়েছে প্রশাসন ক্যাডারের আর দুটিতে স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের। শীর্ষস্থানীয় আরও ১৭টি পদে পরিবার পরিকল্পনা ও জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তা নেই। পরিবার পরিকল্পনাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনকাজের কোনো নজরদারি নেই অনেক বছর ধরে। কারণ, লোকবলের অভাব।
শুধু লোকবলের অভাব নয়, বিদ্যমান লোকবলের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও গাফিলতি রয়েছে। বিস্ময়কর তথ্য হলো, জনপ্রশাসনের ২৯টি ক্যাডারের মধ্যে এ যাবত্ কোনো পদোন্নতি দেওয়া হয়নি শুধু একটি ক্যাডারের লোকদের, সেটি হচ্ছে পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডার। এর ব্যাখ্যাও সংশ্লিষ্ট কারও কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। দৃশ্যত অধিদপ্তরটি পরিচালিত বা নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে প্রশাসন ক্যাডারদের দ্বারা; আর পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে উপপরিচালকের পদে চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়ায় বোঝা যায় যে কতটা গুরুত্বহীনভাবে চালানো হচ্ছে এ অধিদপ্তরকে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বর্তমান মোট লোকবল প্রায় ৫৫ হাজার। একটি অধিদপ্তরের জন্য এ লোকবল কম তো নয়ই, বরং অনেক পূর্ণ মন্ত্রণালয়েও এত সংখ্যক লোকবল নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, এ লোকবলের যথাযথ ব্যবহার। সেটা যে অনেক বছর ধরেই ঘটছে না, তা বলাই বাহুল্য। পরিবার পরিকল্পনা একটি ক্যাডার সার্ভিস। এ সার্ভিসের সব শীর্ষ পদে কেন প্রশাসন ও স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয়? এভাবে একটি ক্যাডার সার্ভিসের মনোবল ভেঙে দেওয়া হয়; তাঁরা চরম বঞ্চনাবোধ আর হতাশায় ভোগেন। পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক একটি পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের চিন্তাভাবনা চলছে বলে খবরে প্রকাশ। ভালো চিন্তা সন্দেহ নেই। তবে এটাও মনে রাখা দরকার যে মন্ত্রণালয় অনেক আছে, সেগুলোর সব কাজ খুব ভালোভাবে চলছে, এমনটা বলা যাবে না। জনসংখ্যা বৃদ্ধি এমন এক সমস্যা, যা থেকে তৈরি ও ঘনীভূত হচ্ছে অনেক গুরুতর সমস্যা। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যমান জনসংখ্যার দক্ষ ব্যবস্থাপনা, জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করার উপায়ও গভীরভাবে ভাবতে হবে এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
আমাদের এ ছোট্ট ভূখণ্ডের দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা পরিবেশগত অবক্ষয়ের শিকার হচ্ছে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্বের সংকট দেখা দিতে বেশি সময় লাগবে না। জনসংখ্যা এখানে এমনিতেই স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক গুণ বেশি, আরও বাড়তে দেওয়া হবে আত্মহত্যার শামিল। অবিলম্বে আমাদের এ বিষয়ে তৎপর হতে হবে।
No comments