তাপসের ওপর বোমা হামলা
তিন মাসেও সাংসদ ফজলে নূর তাপসের ওপর বোমা হামলার তদন্তকাজ শেষ না হওয়া দুঃখজনক। গত বছরের ২১ অক্টোবর তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টার ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। তখন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আপিল নিষ্পত্তির শুনানি চলছিল। ঘটনার পর পুলিশ বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করেছিল। তাঁদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের স্বজনও ছিলেন। পরে পুলিশের তদন্তে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে না পাওয়া গেলেও কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসার মতো যাঁদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে, তা গোটা জাতির নিরাপত্তার জন্যই বিপজ্জনক।
তদন্তে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এই হামলার সঙ্গে সেনাবাহিনীতে কর্মরত কয়েকজন জুনিয়র কর্মকর্তার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। ইতিমধ্যে পাঁচ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অন্তত একজন জিজ্ঞাসাবাদে হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকারও করেছেন বলে জানা গেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সেনা সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল, তাপসের ওপর বোমা হামলার ঘটনায় সেনা কর্তৃপক্ষের তদন্ত (কোর্ট অব ইনকোয়ারি) চলছে। তদন্ত দলের নেতৃত্বে রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমামুল হুদা। এর আগে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে জানানো হয়েছিল, ঘটনায় সেনা কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইএসপিআর এ নিয়ে অনুমাননির্ভর সংবাদ না ছাপানোরও পরামর্শ দিয়েছিল। ধারণা করি, তদন্তে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সে কারণেই তারা এ পরামর্শ দিয়েছিল।
কোনো ঘটনায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলে সেনা আইনে তাঁদের বিচার (কোর্ট মার্শাল) হওয়ার কথা। আইএসপিআরের উল্লিখিত বক্তব্যের পর দুই মাসেরও বেশি চলে গেছে। তদন্ত দলের সদস্যসচিব তদন্তকাজ চলছে বলে গত ১২ জানুয়ারি প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করলেও কবে নাগাদ শেষ হবে, সে সম্পর্কে কিছু বলেননি। ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এর সঙ্গে যেমন জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় জড়িত, তেমনি সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিও। সত্য উদ্ঘাটনের স্বার্থেই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন এবং এ ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা কাম্য নয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অবস্থান ও পদমর্যাদা বিবেচনা না করে অপরাধের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়েও সজাগ থাকতে হবে। অতীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক অপরাধের তদন্ত ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। আবার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ঘটনাও ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে সে রকম কিছু হবে না বলেই প্রত্যাশা। যত দ্রুত সম্ভব তাপসের ওপর বোমা হামলার তদন্ত দ্রুত শেষ ও অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
তদন্তে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এই হামলার সঙ্গে সেনাবাহিনীতে কর্মরত কয়েকজন জুনিয়র কর্মকর্তার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। ইতিমধ্যে পাঁচ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অন্তত একজন জিজ্ঞাসাবাদে হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকারও করেছেন বলে জানা গেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সেনা সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল, তাপসের ওপর বোমা হামলার ঘটনায় সেনা কর্তৃপক্ষের তদন্ত (কোর্ট অব ইনকোয়ারি) চলছে। তদন্ত দলের নেতৃত্বে রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমামুল হুদা। এর আগে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে জানানো হয়েছিল, ঘটনায় সেনা কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইএসপিআর এ নিয়ে অনুমাননির্ভর সংবাদ না ছাপানোরও পরামর্শ দিয়েছিল। ধারণা করি, তদন্তে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সে কারণেই তারা এ পরামর্শ দিয়েছিল।
কোনো ঘটনায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলে সেনা আইনে তাঁদের বিচার (কোর্ট মার্শাল) হওয়ার কথা। আইএসপিআরের উল্লিখিত বক্তব্যের পর দুই মাসেরও বেশি চলে গেছে। তদন্ত দলের সদস্যসচিব তদন্তকাজ চলছে বলে গত ১২ জানুয়ারি প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করলেও কবে নাগাদ শেষ হবে, সে সম্পর্কে কিছু বলেননি। ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এর সঙ্গে যেমন জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় জড়িত, তেমনি সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিও। সত্য উদ্ঘাটনের স্বার্থেই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন এবং এ ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা কাম্য নয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অবস্থান ও পদমর্যাদা বিবেচনা না করে অপরাধের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়েও সজাগ থাকতে হবে। অতীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক অপরাধের তদন্ত ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। আবার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ঘটনাও ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে সে রকম কিছু হবে না বলেই প্রত্যাশা। যত দ্রুত সম্ভব তাপসের ওপর বোমা হামলার তদন্ত দ্রুত শেষ ও অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
No comments