তালেবানদের শান্তি আলোচনায় বসার আহ্বান কারজাইয়ের
অর্থ এবং চাকরির বিনিময়ে শীর্ষস্থানীয় তালেবান নেতাদের সংঘাতের পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই আহ্বান জানিয়েছেন। কারজাইয়ের ওই পরিকল্পনাকে সমর্থন দিয়েছে তাঁর পশ্চিমা মিত্ররা। গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত আফগানিস্তানবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ওই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট কারজাই। ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে মিত্র দেশগুলো আফগানিস্তানকে ১৪ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। একই সঙ্গে এ বছরের শেষ নাগাদ আফগানিস্তানের কয়েকটি প্রদেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব আফগানদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়েও সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়।
সংঘাত ছেড়ে রাজনীতির মূল স্রোতে এবং চূড়ান্তভাবে সরকারে যোগ দেওয়ার জন্য শান্তি আলোচনায় বসতে এর আগেও তালেবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন আফগান প্রেসিডেন্ট কারজাই। কিন্তু এবার তিনি বিশ্বনেতাদের সামনে ওই আহ্বান জানালেন।
তালেবানদের শান্তি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে হামিদ কারজাই বলেন, ‘দেশের সবার সঙ্গেই আমাদের কথা বলতে হবে। বিশেষ করে যারা সংঘাতের পথ ছেড়ে দিয়েছে, আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত নেই এবং যারা দেশের সংবিধান মেনে নিয়েছে।’
এরই মধ্যে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত কাই এইদে দুবাইতে তালেবান নেতাদের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা বলেছেন। এ সময় তিনি আফগান সরকারের সঙ্গে তালেবানদের শান্তি আলোচনা শুরুর বিষয়ে আলোচনা করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, শান্তি আলোচনার বিষয়ে কথা বলার জন্য তালেবান নেতারা একটি বৈঠকের আয়োজন করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তা ছাড়া প্রকাশ্যে আসার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা চেয়েছেন তাঁরা।
তবে তালেবান নেতাদের সঙ্গে ওই দিন দুবাইতে কথা বলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এইদে। তিনি জানিয়েছেন, সেদিন তিনি কাবুলে আসার জন্য দুবাইতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য যাত্রাবিরতি করেছিলেন। কিন্তু অন্য কোনো দিন তালেবান নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে এইদে কোনো কথা বলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের খবর সত্যা নাকি মিথ্যা, তা নিয়ে আমি কখনো কথা বলি না।’
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, তালেবান নেতাদের সঙ্গে এইদের বৈঠকের খবর সত্য হলে সেটা হবে জঙ্গিদের সঙ্গে সরকারের শান্তি আলোচনা শুরুর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
তবে তালেবান বরাবর বলে আসছে, কারজাই সরকারের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। যদিও তালেবান মুখপাত্র কারি মোহাম্মদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘শান্তি আলোচনার বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। তবে শান্তি আলোচনায় বসবে কি বসবে না, এ বিষয়ে তালেবান নেতারা শিগগির সিদ্ধান্ত নেবেন।’
সম্মেলনে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ আফগানিস্তানের কয়েকটি প্রদেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব আফগান বাহিনীর হাতে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এভাবে পুরো দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব পর্যায়ক্রমে তাদের হাতে তুলে দিতে প্রায় পাঁচ বছর লেগে যেতে পারে।
অর্থ ও চাকরির বিনিময়ে তালেবানদের সংঘাতের পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে আফগান সরকারের পরিকল্পনাকেও সমর্থন করেছে তাদের পশ্চিমা মিত্ররা। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ড তাঁর দেশের সমর্থন নিশ্চিত করে বলেন, সম্মেলনে যোগ দেওয়া অন্যরাও এই পরিকল্পনা সমর্থন করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন জানিয়েছেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সাহায্যের অর্থ যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের সংস্কার পরিকল্পনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে সব সময় নজর রাখবে।
সংঘাত ছেড়ে রাজনীতির মূল স্রোতে এবং চূড়ান্তভাবে সরকারে যোগ দেওয়ার জন্য শান্তি আলোচনায় বসতে এর আগেও তালেবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন আফগান প্রেসিডেন্ট কারজাই। কিন্তু এবার তিনি বিশ্বনেতাদের সামনে ওই আহ্বান জানালেন।
তালেবানদের শান্তি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে হামিদ কারজাই বলেন, ‘দেশের সবার সঙ্গেই আমাদের কথা বলতে হবে। বিশেষ করে যারা সংঘাতের পথ ছেড়ে দিয়েছে, আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত নেই এবং যারা দেশের সংবিধান মেনে নিয়েছে।’
এরই মধ্যে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত কাই এইদে দুবাইতে তালেবান নেতাদের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা বলেছেন। এ সময় তিনি আফগান সরকারের সঙ্গে তালেবানদের শান্তি আলোচনা শুরুর বিষয়ে আলোচনা করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, শান্তি আলোচনার বিষয়ে কথা বলার জন্য তালেবান নেতারা একটি বৈঠকের আয়োজন করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তা ছাড়া প্রকাশ্যে আসার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা চেয়েছেন তাঁরা।
তবে তালেবান নেতাদের সঙ্গে ওই দিন দুবাইতে কথা বলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এইদে। তিনি জানিয়েছেন, সেদিন তিনি কাবুলে আসার জন্য দুবাইতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য যাত্রাবিরতি করেছিলেন। কিন্তু অন্য কোনো দিন তালেবান নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে এইদে কোনো কথা বলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের খবর সত্যা নাকি মিথ্যা, তা নিয়ে আমি কখনো কথা বলি না।’
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, তালেবান নেতাদের সঙ্গে এইদের বৈঠকের খবর সত্য হলে সেটা হবে জঙ্গিদের সঙ্গে সরকারের শান্তি আলোচনা শুরুর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
তবে তালেবান বরাবর বলে আসছে, কারজাই সরকারের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। যদিও তালেবান মুখপাত্র কারি মোহাম্মদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘শান্তি আলোচনার বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। তবে শান্তি আলোচনায় বসবে কি বসবে না, এ বিষয়ে তালেবান নেতারা শিগগির সিদ্ধান্ত নেবেন।’
সম্মেলনে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ আফগানিস্তানের কয়েকটি প্রদেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব আফগান বাহিনীর হাতে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এভাবে পুরো দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব পর্যায়ক্রমে তাদের হাতে তুলে দিতে প্রায় পাঁচ বছর লেগে যেতে পারে।
অর্থ ও চাকরির বিনিময়ে তালেবানদের সংঘাতের পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে আফগান সরকারের পরিকল্পনাকেও সমর্থন করেছে তাদের পশ্চিমা মিত্ররা। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ড তাঁর দেশের সমর্থন নিশ্চিত করে বলেন, সম্মেলনে যোগ দেওয়া অন্যরাও এই পরিকল্পনা সমর্থন করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন জানিয়েছেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সাহায্যের অর্থ যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের সংস্কার পরিকল্পনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে সব সময় নজর রাখবে।
No comments