যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক বিনিময় স্থগিত করল চীন
তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ৬৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনার প্রতিবাদে চীন ও মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যকার সফর কর্মসূচি ও নিরাপত্তা সংলাপ স্থগিত করেছে বেইজিং। তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মার্কিন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে চীনা কর্তৃপক্ষ। গতকাল শনিবার চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এ কথা বলা হয়।
চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, অস্ত্র চুক্তি সম্পর্কে অভিযোগ করার জন্য শনিবার সন্ধ্যায় বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশেকে ডেকে পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্র-সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কুইআন লিহুয়া।
মার্কিন কর্মকর্তাকে ডেকে পাঠানো সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য তাত্ক্ষণিকভাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। বার্তা সংস্থাটিও এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। এর আগে সিনহুয়া পরিবেশিত একটি প্রতিবেদনে রোববার একটি সামরিক সফরের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে পরিবেশিত প্রতিবেদনে ওই সফরের বিষয়টি আর উল্লেখ করা হয়নি।
গতকাল চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে সামরিক বিনিময় স্থগিত করেছে। এ ছাড়া কৌশলগত নিরাপত্তা, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও পরমাণু অস্ত্রবিস্তার রোধসংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের একটি সংলাপও স্থগিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওই চুক্তির ফলে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সহযোগিতা অবশ্যম্ভাবীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চীনের কাছে অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে সম্পৃক্ত মার্কিন কোম্পানিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
গতকাল চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হি ইয়াফেই এক বিবৃতিতে বলেন, ওই অস্ত্র বিক্রি চুক্তির কারণে চীন-মার্কিন সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য। ওই চুক্তি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যকার বিনিময় এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ওই চুক্তি এমন ফল বয়ে নিয়ে আসবে, যা কোনো পক্ষই দেখতে চায় না।
গত শুক্রবার মার্কিন কর্তৃপক্ষ প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারসহ তাইওয়ানের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রির একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে।
উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে বলেন, সর্বশেষ ওই পদক্ষেপ চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্থূল হস্তক্ষেপ, যা চীনের জাতীয় নিরাপত্তাকে মারাত্মক হুমকির দিকে ঠেলে দেবে। চীনের শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণকেও এটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে। চীনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন হান্টসম্যানের কাছেও বিবৃতিটি পাঠানো হয়েছে। তাইওয়ানকে নিজস্ব ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে চীন। পুনরেকত্রীকরণের জন্য প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের হুমকিও দিয়ে রেখেছে বেইজিং।
তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির ফলে যে মারাত্মক ক্ষতি হবে, সেটা পুরোপুরি অনুধাবন করার জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানান উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হি ইয়াফেই। চীনের অবস্থানকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির ভুল সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহারের জন্যও ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, অস্ত্র চুক্তি সম্পর্কে অভিযোগ করার জন্য শনিবার সন্ধ্যায় বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশেকে ডেকে পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্র-সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কুইআন লিহুয়া।
মার্কিন কর্মকর্তাকে ডেকে পাঠানো সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য তাত্ক্ষণিকভাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। বার্তা সংস্থাটিও এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। এর আগে সিনহুয়া পরিবেশিত একটি প্রতিবেদনে রোববার একটি সামরিক সফরের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে পরিবেশিত প্রতিবেদনে ওই সফরের বিষয়টি আর উল্লেখ করা হয়নি।
গতকাল চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে সামরিক বিনিময় স্থগিত করেছে। এ ছাড়া কৌশলগত নিরাপত্তা, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও পরমাণু অস্ত্রবিস্তার রোধসংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের একটি সংলাপও স্থগিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওই চুক্তির ফলে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সহযোগিতা অবশ্যম্ভাবীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চীনের কাছে অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে সম্পৃক্ত মার্কিন কোম্পানিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
গতকাল চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হি ইয়াফেই এক বিবৃতিতে বলেন, ওই অস্ত্র বিক্রি চুক্তির কারণে চীন-মার্কিন সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য। ওই চুক্তি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যকার বিনিময় এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ওই চুক্তি এমন ফল বয়ে নিয়ে আসবে, যা কোনো পক্ষই দেখতে চায় না।
গত শুক্রবার মার্কিন কর্তৃপক্ষ প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারসহ তাইওয়ানের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রির একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে।
উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে বলেন, সর্বশেষ ওই পদক্ষেপ চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্থূল হস্তক্ষেপ, যা চীনের জাতীয় নিরাপত্তাকে মারাত্মক হুমকির দিকে ঠেলে দেবে। চীনের শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণকেও এটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে। চীনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন হান্টসম্যানের কাছেও বিবৃতিটি পাঠানো হয়েছে। তাইওয়ানকে নিজস্ব ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে চীন। পুনরেকত্রীকরণের জন্য প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের হুমকিও দিয়ে রেখেছে বেইজিং।
তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির ফলে যে মারাত্মক ক্ষতি হবে, সেটা পুরোপুরি অনুধাবন করার জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানান উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হি ইয়াফেই। চীনের অবস্থানকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির ভুল সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহারের জন্যও ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
No comments