৯/১১ হামলার সন্ত্রাসীদের বিচার নিউইয়র্কে না করার সিদ্ধান্ত
ওবামা প্রশাসন ৯/১১ হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের বিচার নিউইয়র্কে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতর ও বাইরে এবং নিউইয়র্কবাসীর আপত্তির মুখে হোয়াইট হাউস এ সিদ্ধান্ত নিল। তবে বিচার করার নতুন স্থান ঘোষণা করেনি মার্কিন প্রশাসন। এর ফলে ২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচার-প্রক্রিয়া আরও পিছিয়ে গেল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট গতকাল শনিবার ওবামা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছে, ‘নিউইয়র্কে বিচার হচ্ছে না। আমরা বিকল্প স্থান খুঁজছি।’ আরেক প্রভাবশালী পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিচারের বিকল্প স্থান নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা সামরিক ঘাঁটি এবং কারাগারকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। সন্ত্রাসীদের বিচারের স্থান বদলের সিদ্ধান্তকে ওবামা প্রশাসনের জন্য আরেকটি ধাক্কা বলে অভিহিত করেছে পত্রিকা দুটি। খবর এএফপি ও এপির।
মার্কিন আইনপ্রণেতা ও নিউইয়র্কের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ৯/১১ হামলার আত্মস্বীকৃত পরিকল্পনাকারী খালিদ শেখ মোহাম্মদের বিচার নিউইয়র্কে হলে এখানকার নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। তাছাড়া ওই সন্ত্রাসী হামলায় বেঁচে যাওয়া লোকজন এবং নিহতের স্বজনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে।
গুয়ানতানামো কারাগার বন্ধ করে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতে খালিদ মোহাম্মদসহ অন্য চার সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর বিচার করার ঘোষণা দিয়েছিল ওবামা প্রশাসন। গ্রাউন্ড জিরোর কাছে অবস্থিত এই আদালত। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিশেষ করে নিউইয়র্কে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিরোধী শিবির রিপাবলিকানদের পাশাপাশি ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলায় বেঁচে যাওয়া লোকজন ও নিহতদের আত্মীয়স্বজনরা বলেছে, গ্রাউন্ড জিরোর কাছে সন্ত্রাসীদের বিচার করা উচিত হবে না। এমনকি মার্কিন আইনের মাধ্যমে তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়াও ঠিক হবে না।
নিউইয়র্কের ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তারা সরকারের ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সন্ত্রাসীদের নিউইয়র্কে বিচার করা হলে ওয়াল স্ট্রিটের পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তা হুমকি দেখা দেবে।
সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির চেয়ারম্যান ফেটইস্টেইন বলেন, ‘বড়দিনে যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টার ঘটনা আমাদের বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রে আল-কায়েদা ও এর সহযোগীদের হামলার ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতারই অংশ ছিল এটি। এই ষড়যন্ত্রের এখানেই শেষ নয়।’ তিনি বলেন, ‘১৯৯৩ সালে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে বোমা হামলার পর থেকে সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যস্থলে পরিণত হয়েছে নিউইয়র্ক। কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের নিউইয়র্কে বিচার করা হলে এ নগর আরও ঝুঁকির মুখে পড়বে।’
নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ প্রথমে সরকারি সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানালেও পরে তাঁর মত পাল্টেছেন। তিনি গত শুক্রবার বলেছেন, নিউইয়র্কের বদলে সন্ত্রাসীদের অন্যত্র বিচার করা হোক। সন্ত্রাসীদের এমন স্থানে বিচার করা হোক, যেখানে কোটি কোটি ডলার খরচ হবে না। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের নিউইয়র্কে বিচার করা হলে এখানকার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হবে। এর চেয়ে বরং কোনো সামরিক ঘাঁটিতে তাঁদের বিচার করা হোক। যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এতে করে সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টাও সহজতর হবে।
ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর চাক সুমার বৃহস্পতিবার বলেন, নিউইয়র্কের বদলে অন্য কোথাও সন্ত্রাসীদের বিচার করার জন্য তিনি হোয়াইট হাউসের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, চারদিক থেকে বিরাধিতা আসায় ওবামা প্রশাসন সন্ত্রাসীদের নিউইয়র্কে বিচার করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে।
নিউইয়র্কের মেয়র না চাইলেও নিউবুর্গের মেয়র চান, তাঁর শহরে সন্ত্রাসীদের বিচার করা হোক। নিউইয়র্ক পোস্টকে তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসীদের নিউবুর্গে বিচার করা হলে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি এ শহরে নিপতিত হবে। এ শহর সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠবে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য এটা একটা বিশাল উপায়।
খালিদ মোহাম্মদের পাশাপাশি সন্দেহভাজন আরও চার সন্ত্রাসীর বিচার করার কথা রয়েছে। তাঁরা হলেন, মোহাম্মদ রামজি বিনালশিভ, ওয়ালিদ বিন আত্তাশ, আলী আবদুল আজিজ আলী ও মুস্তাফা আহমেদ আল-হাওয়াসাবি। তাঁরা সবাই বর্তমানে গুয়ানতানামো কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
ওবামা প্রশাসন সন্ত্রাসীদের বিচারের দিনক্ষণ এখনো ঘোষণা করেনি। এমনকি বিচারের স্থান পরিবর্তন নিয়েও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
ওবামা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, খালিদ মোহাম্মদসহ অন্য সন্ত্রাসীদের ফেডারেল কোর্টেই বিচার করা হবে। যদিও কংগ্রেসের কিছু সদস্য তাঁদের সামরিক আদালতে বিচার করার দাবি জানিয়ে আসছে।
হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সচিব বিল বার্টন বৃহস্পতিবার বলেন, খালিদ মোহাম্মদ একজন আত্মস্বীকৃত ঘৃণ্য খুনি। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তিনি সবচেয়ে ঘৃণ্য অপরাধ করেছেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই অপরাধীর বিচার করতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট গতকাল শনিবার ওবামা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছে, ‘নিউইয়র্কে বিচার হচ্ছে না। আমরা বিকল্প স্থান খুঁজছি।’ আরেক প্রভাবশালী পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিচারের বিকল্প স্থান নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা সামরিক ঘাঁটি এবং কারাগারকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। সন্ত্রাসীদের বিচারের স্থান বদলের সিদ্ধান্তকে ওবামা প্রশাসনের জন্য আরেকটি ধাক্কা বলে অভিহিত করেছে পত্রিকা দুটি। খবর এএফপি ও এপির।
মার্কিন আইনপ্রণেতা ও নিউইয়র্কের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ৯/১১ হামলার আত্মস্বীকৃত পরিকল্পনাকারী খালিদ শেখ মোহাম্মদের বিচার নিউইয়র্কে হলে এখানকার নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। তাছাড়া ওই সন্ত্রাসী হামলায় বেঁচে যাওয়া লোকজন এবং নিহতের স্বজনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে।
গুয়ানতানামো কারাগার বন্ধ করে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতে খালিদ মোহাম্মদসহ অন্য চার সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর বিচার করার ঘোষণা দিয়েছিল ওবামা প্রশাসন। গ্রাউন্ড জিরোর কাছে অবস্থিত এই আদালত। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিশেষ করে নিউইয়র্কে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিরোধী শিবির রিপাবলিকানদের পাশাপাশি ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলায় বেঁচে যাওয়া লোকজন ও নিহতদের আত্মীয়স্বজনরা বলেছে, গ্রাউন্ড জিরোর কাছে সন্ত্রাসীদের বিচার করা উচিত হবে না। এমনকি মার্কিন আইনের মাধ্যমে তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়াও ঠিক হবে না।
নিউইয়র্কের ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তারা সরকারের ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সন্ত্রাসীদের নিউইয়র্কে বিচার করা হলে ওয়াল স্ট্রিটের পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তা হুমকি দেখা দেবে।
সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির চেয়ারম্যান ফেটইস্টেইন বলেন, ‘বড়দিনে যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টার ঘটনা আমাদের বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রে আল-কায়েদা ও এর সহযোগীদের হামলার ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতারই অংশ ছিল এটি। এই ষড়যন্ত্রের এখানেই শেষ নয়।’ তিনি বলেন, ‘১৯৯৩ সালে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে বোমা হামলার পর থেকে সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যস্থলে পরিণত হয়েছে নিউইয়র্ক। কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের নিউইয়র্কে বিচার করা হলে এ নগর আরও ঝুঁকির মুখে পড়বে।’
নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ প্রথমে সরকারি সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানালেও পরে তাঁর মত পাল্টেছেন। তিনি গত শুক্রবার বলেছেন, নিউইয়র্কের বদলে সন্ত্রাসীদের অন্যত্র বিচার করা হোক। সন্ত্রাসীদের এমন স্থানে বিচার করা হোক, যেখানে কোটি কোটি ডলার খরচ হবে না। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের নিউইয়র্কে বিচার করা হলে এখানকার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হবে। এর চেয়ে বরং কোনো সামরিক ঘাঁটিতে তাঁদের বিচার করা হোক। যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এতে করে সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টাও সহজতর হবে।
ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর চাক সুমার বৃহস্পতিবার বলেন, নিউইয়র্কের বদলে অন্য কোথাও সন্ত্রাসীদের বিচার করার জন্য তিনি হোয়াইট হাউসের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, চারদিক থেকে বিরাধিতা আসায় ওবামা প্রশাসন সন্ত্রাসীদের নিউইয়র্কে বিচার করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে।
নিউইয়র্কের মেয়র না চাইলেও নিউবুর্গের মেয়র চান, তাঁর শহরে সন্ত্রাসীদের বিচার করা হোক। নিউইয়র্ক পোস্টকে তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসীদের নিউবুর্গে বিচার করা হলে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি এ শহরে নিপতিত হবে। এ শহর সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠবে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য এটা একটা বিশাল উপায়।
খালিদ মোহাম্মদের পাশাপাশি সন্দেহভাজন আরও চার সন্ত্রাসীর বিচার করার কথা রয়েছে। তাঁরা হলেন, মোহাম্মদ রামজি বিনালশিভ, ওয়ালিদ বিন আত্তাশ, আলী আবদুল আজিজ আলী ও মুস্তাফা আহমেদ আল-হাওয়াসাবি। তাঁরা সবাই বর্তমানে গুয়ানতানামো কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
ওবামা প্রশাসন সন্ত্রাসীদের বিচারের দিনক্ষণ এখনো ঘোষণা করেনি। এমনকি বিচারের স্থান পরিবর্তন নিয়েও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
ওবামা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, খালিদ মোহাম্মদসহ অন্য সন্ত্রাসীদের ফেডারেল কোর্টেই বিচার করা হবে। যদিও কংগ্রেসের কিছু সদস্য তাঁদের সামরিক আদালতে বিচার করার দাবি জানিয়ে আসছে।
হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সচিব বিল বার্টন বৃহস্পতিবার বলেন, খালিদ মোহাম্মদ একজন আত্মস্বীকৃত ঘৃণ্য খুনি। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তিনি সবচেয়ে ঘৃণ্য অপরাধ করেছেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই অপরাধীর বিচার করতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।
No comments