নিবন্ধন কমে যাওয়ায় এক মাসের মধ্যে জমির মূল্য পুনর্নির্ধারণ হচ্ছে
জমির সরকারি মূল্য কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে তা কার্যকর হবে। কমানো হলেও গত বছরের তুলনায় জমির মূল্য বেশিই থাকবে। অর্থাত্ গত সেপ্টেম্বরে যা বাড়ানো হয়েছিল, সেই মূল্যকে ভিত্তি ধরে কিছুটা কমিয়ে এলাকাভিত্তিক জমির মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হচ্ছে।
জমির মূল্য কমলেও জমি নিবন্ধন ফি কিছুটা বাড়তে পারে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। সূত্রমতে, গত সেপ্টেম্বরে নিবন্ধন ফি কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনলেও নতুন হার জমির নিবন্ধনবান্ধব হয়নি। নিবন্ধন ফি যে হারে কমানো হয়েছে, সে তুলনায় জমির মূল্য বাড়ানো হয়েছে তিন থেকে চার গুণ বেশি। এতে গ্রাহকদের খরচ বেড়ে গেছে প্রায় দ্বিগুণ।
দাম বেশি বাড়ানোর কারণে জমির নিবন্ধন অনেক হ্রাস পাওয়ায় মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। জমির মূল্য কমানো বা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে গঠিত কমিটিও মূল্য কমানোরই পরামর্শ দিয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে কয়েক মাস আগে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সরেজমিন জরিপ করে দেখা গেছে, গত তিন-চার মাসে দেশব্যাপী জমি নিবন্ধন অনেক কমে গেছে।’
অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, সেটিই চূড়ান্ত। গত বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জমির মূল্য ও নিবন্ধন ফি পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান, অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন আহমেদসহ আইন মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের জানান, রাজধানী, বিভাগীয়, জেলা শহরসহ সব পর্যায়ে জমির মূল্য যা বাড়ানো হয়েছে, তা কিছুটা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী এক মাসের মধ্যেই নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। অর্থমন্ত্রী আরও জানান, জমিজমার মূল্য, নিবন্ধন ফিসহ গোটা বিষয়টিরই বাস্তবায়ন অনেক জটিল। গত সেপ্টেম্বরে জমির দাম বাড়ানো হয়েছিল। তবে কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছিল জমি নিবন্ধন ও হস্তান্তর ফি। কিন্তু জমির দাম এত বেশি বাড়ানোর কারণে অনেকেই জমি নিবন্ধন করা থেকে বিরত থাকছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবার প্রতিবেদন তৈরির আগে কমিটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একবার করে বসে। কমিটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। ফি কত হবে, মূল্য কীভাবে নির্ধারিত হওয়া উচিত—প্রতিবেদনে খুঁটিনাটি এ রকম অনেক কিছুর ব্যাখ্যা দেওয়া রয়েছে। আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো কার্যকর করতে পারব।’
বাজারমূল্যের সঙ্গে সরকারি জমির সামঞ্জস্য না থাকার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি কালো টাকার মালিকদের পক্ষে যায়। নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জনগণের কী সুবিধা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এতে কালো টাকা কমবে এবং মানুষের হয়রানি দূর হবে। নিবন্ধন ফি শহরাঞ্চলে আট শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে ছয় শতাংশ বহাল থাকবে কি না—এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হুবহু এই হারই থাকছে কি না, এখনই বলা যাচ্ছে না।’
এর আগে জমি কেনাবেচায় হস্তান্তর ফি, নিবন্ধন ফি, উেস কর ও স্থানীয় ফি—এই চার পর্যায়ে ১৪ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত টাকা খরচের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, এক কোটি টাকার জমি কিনলে নিবন্ধন ফি হিসেবে সরকারকেই দিয়ে দিতে হয় ১৮ লাখ টাকা। এ কারণে অনেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অর্থাত্ জমির প্রকৃত মূল্য উল্লেখ না করে দলিল করে থাকেন। এতে সরকার রাজস্ব কম পায়।
জমির মূল্য কমলেও জমি নিবন্ধন ফি কিছুটা বাড়তে পারে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। সূত্রমতে, গত সেপ্টেম্বরে নিবন্ধন ফি কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনলেও নতুন হার জমির নিবন্ধনবান্ধব হয়নি। নিবন্ধন ফি যে হারে কমানো হয়েছে, সে তুলনায় জমির মূল্য বাড়ানো হয়েছে তিন থেকে চার গুণ বেশি। এতে গ্রাহকদের খরচ বেড়ে গেছে প্রায় দ্বিগুণ।
দাম বেশি বাড়ানোর কারণে জমির নিবন্ধন অনেক হ্রাস পাওয়ায় মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। জমির মূল্য কমানো বা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে গঠিত কমিটিও মূল্য কমানোরই পরামর্শ দিয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে কয়েক মাস আগে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সরেজমিন জরিপ করে দেখা গেছে, গত তিন-চার মাসে দেশব্যাপী জমি নিবন্ধন অনেক কমে গেছে।’
অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, সেটিই চূড়ান্ত। গত বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জমির মূল্য ও নিবন্ধন ফি পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান, অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন আহমেদসহ আইন মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের জানান, রাজধানী, বিভাগীয়, জেলা শহরসহ সব পর্যায়ে জমির মূল্য যা বাড়ানো হয়েছে, তা কিছুটা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী এক মাসের মধ্যেই নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। অর্থমন্ত্রী আরও জানান, জমিজমার মূল্য, নিবন্ধন ফিসহ গোটা বিষয়টিরই বাস্তবায়ন অনেক জটিল। গত সেপ্টেম্বরে জমির দাম বাড়ানো হয়েছিল। তবে কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছিল জমি নিবন্ধন ও হস্তান্তর ফি। কিন্তু জমির দাম এত বেশি বাড়ানোর কারণে অনেকেই জমি নিবন্ধন করা থেকে বিরত থাকছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবার প্রতিবেদন তৈরির আগে কমিটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একবার করে বসে। কমিটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। ফি কত হবে, মূল্য কীভাবে নির্ধারিত হওয়া উচিত—প্রতিবেদনে খুঁটিনাটি এ রকম অনেক কিছুর ব্যাখ্যা দেওয়া রয়েছে। আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো কার্যকর করতে পারব।’
বাজারমূল্যের সঙ্গে সরকারি জমির সামঞ্জস্য না থাকার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি কালো টাকার মালিকদের পক্ষে যায়। নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জনগণের কী সুবিধা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এতে কালো টাকা কমবে এবং মানুষের হয়রানি দূর হবে। নিবন্ধন ফি শহরাঞ্চলে আট শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে ছয় শতাংশ বহাল থাকবে কি না—এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হুবহু এই হারই থাকছে কি না, এখনই বলা যাচ্ছে না।’
এর আগে জমি কেনাবেচায় হস্তান্তর ফি, নিবন্ধন ফি, উেস কর ও স্থানীয় ফি—এই চার পর্যায়ে ১৪ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত টাকা খরচের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, এক কোটি টাকার জমি কিনলে নিবন্ধন ফি হিসেবে সরকারকেই দিয়ে দিতে হয় ১৮ লাখ টাকা। এ কারণে অনেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অর্থাত্ জমির প্রকৃত মূল্য উল্লেখ না করে দলিল করে থাকেন। এতে সরকার রাজস্ব কম পায়।
No comments