ওবামার রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্য অর্জন কঠিন হতে পারে
আগামী পাঁচ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানির পরিমাণ দ্বিগুণ করতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ঘোষিত পরিকল্পনাকে উচ্চাভিলাষী বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বাণিজ্য বাধা দূর করতে বড় ধরনের পদক্ষেপ ছাড়া এই লক্ষ্য অর্জন করা খুবই কঠিন হতে পারে।
গত বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রথম স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে প্রেসিডেন্ট ওবামা জানান, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী পাঁচ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানির পরিমাণ দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য পূরণ হলে দেশের আরও ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে তিনি মনে করেন।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, ওবামার ঘোষিত লক্ষ্য পূরণ হতে হলে প্রতিবছর অব্যাহতভাবে রপ্তানির পরিমাণ ১৫ শতাংশ বাড়াতে হবে। কিন্তু ১৯৭৬ থেকে ১৯৮১ সাল—এ সময়কাল ছাড়া সেটা কখনোই সম্ভব হয়নি।
রপ্তানি বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এখন তৃতীয়। ১৯৯০-এর দশকে তারা জার্মানির কাছে প্রথম স্থান হারায়।
তবে ব্যবসায়ী নেতাদের কাছ থেকে ওবামার এই লক্ষ্য প্রশংসা পেয়েছে। ন্যাশনাল ফরেন ট্রেড কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বিল রিঞ্চ বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে রপ্তানি দ্বিগুণ করতে প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব এবং এর মাধ্যমে ২০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন বাজার সৃষ্টি করবে।’
তবে রিঞ্চ বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য নিয়ে দোহা আলোচনা ইতিবাচক ফলাফল এবং কলম্বিয়া, পানামা, দক্ষিণ কোরিয়াসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) অনুমোদনের ওপরই সবকিছু নির্ভর করছে।’
কয়েকটি বাণিজ্য অঞ্চলের মধ্যে মতানৈক্যের কারণে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এই দোহা আলোচনা কয়েক বছর ধরে অচলাবস্থায় রয়েছে। তবে এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রধান বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন ‘বিজনেস রাউন্ডটেবিল’ ওবামার পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে। সংগঠনটি বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কংগ্রেসে আটকে থাকা এফটিএগুলো পাস করাতে হবে। আমরা মনে করি, এখনই সেই সময়। মার্কিন অর্থনীতির পরিধি বাড়াতে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
অনেক বিশ্লেষক আবার ওবামার লক্ষ্য পূরণের আশঙ্কা নিয়ে সন্দিহান। গ্লুস্কিন শেফ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের অর্থনীতিবিদ ডেভিড রোজেনবার্গ বলেন, ‘অনেকভাবেই আপনি বাণিজ্য বাড়াতে পারেন, কিন্ত ভোক্তা দেশের চাহিদার পরিমাণ তো আর আপনি বাড়াতে পারেন না। সেটা করতে হলে আপনাকে নির্দিষ্ট পণ্যের কর মওকুফ অথবা ভর্তুকি দিতে হবে। তবে সেটা হবে রক্ষণবাদী এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এ ক্ষেত্রে নিয়মনীতি আছে।’
চন্দ্রাভিযান বাদ দেওয়ার প্রস্তাব: আগামী সোমবার কংগ্রেসে ২০১১ সালের বাজেট পেশ করতে যাচ্ছে ওবামা সরকার। নতুন বাজেটে চাঁদে নভোচারী পাঠানোর প্রকল্প বাদ দেওয়ার জন্য মহাকাশ সংস্থা নাসাকে আহ্বান জানানো হবে। পরিবর্তে নাসাকে বলা হবে অন্যান্য অভিযানের দিকে নজর দিতে। প্রশাসন ও নাসা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ফ্লোরিডার দুটি পত্রিকা এ খবর জানিয়েছে।
গত বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রথম স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে প্রেসিডেন্ট ওবামা জানান, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী পাঁচ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানির পরিমাণ দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য পূরণ হলে দেশের আরও ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে তিনি মনে করেন।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, ওবামার ঘোষিত লক্ষ্য পূরণ হতে হলে প্রতিবছর অব্যাহতভাবে রপ্তানির পরিমাণ ১৫ শতাংশ বাড়াতে হবে। কিন্তু ১৯৭৬ থেকে ১৯৮১ সাল—এ সময়কাল ছাড়া সেটা কখনোই সম্ভব হয়নি।
রপ্তানি বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এখন তৃতীয়। ১৯৯০-এর দশকে তারা জার্মানির কাছে প্রথম স্থান হারায়।
তবে ব্যবসায়ী নেতাদের কাছ থেকে ওবামার এই লক্ষ্য প্রশংসা পেয়েছে। ন্যাশনাল ফরেন ট্রেড কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বিল রিঞ্চ বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে রপ্তানি দ্বিগুণ করতে প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব এবং এর মাধ্যমে ২০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন বাজার সৃষ্টি করবে।’
তবে রিঞ্চ বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য নিয়ে দোহা আলোচনা ইতিবাচক ফলাফল এবং কলম্বিয়া, পানামা, দক্ষিণ কোরিয়াসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) অনুমোদনের ওপরই সবকিছু নির্ভর করছে।’
কয়েকটি বাণিজ্য অঞ্চলের মধ্যে মতানৈক্যের কারণে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এই দোহা আলোচনা কয়েক বছর ধরে অচলাবস্থায় রয়েছে। তবে এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রধান বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন ‘বিজনেস রাউন্ডটেবিল’ ওবামার পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে। সংগঠনটি বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কংগ্রেসে আটকে থাকা এফটিএগুলো পাস করাতে হবে। আমরা মনে করি, এখনই সেই সময়। মার্কিন অর্থনীতির পরিধি বাড়াতে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
অনেক বিশ্লেষক আবার ওবামার লক্ষ্য পূরণের আশঙ্কা নিয়ে সন্দিহান। গ্লুস্কিন শেফ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের অর্থনীতিবিদ ডেভিড রোজেনবার্গ বলেন, ‘অনেকভাবেই আপনি বাণিজ্য বাড়াতে পারেন, কিন্ত ভোক্তা দেশের চাহিদার পরিমাণ তো আর আপনি বাড়াতে পারেন না। সেটা করতে হলে আপনাকে নির্দিষ্ট পণ্যের কর মওকুফ অথবা ভর্তুকি দিতে হবে। তবে সেটা হবে রক্ষণবাদী এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এ ক্ষেত্রে নিয়মনীতি আছে।’
চন্দ্রাভিযান বাদ দেওয়ার প্রস্তাব: আগামী সোমবার কংগ্রেসে ২০১১ সালের বাজেট পেশ করতে যাচ্ছে ওবামা সরকার। নতুন বাজেটে চাঁদে নভোচারী পাঠানোর প্রকল্প বাদ দেওয়ার জন্য মহাকাশ সংস্থা নাসাকে আহ্বান জানানো হবে। পরিবর্তে নাসাকে বলা হবে অন্যান্য অভিযানের দিকে নজর দিতে। প্রশাসন ও নাসা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ফ্লোরিডার দুটি পত্রিকা এ খবর জানিয়েছে।
No comments