পশ্চিম আফ্রিকায় তীব্র খাদ্যসংকট, লাখ লাখ মানুষ ঝুঁকির মুখে
সাহারা মরুভূমির দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোতে অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণে নাইজার ও পশ্চিম আফ্রিকাজুড়ে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের সাহায্য সংস্থা বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
ইউরোপিয়ান কমিশন হিউমেনিটারিয়ান এইডের (ইসিএইচও) আঞ্চলিক প্রধান ব্রায়ান ও’নেইল বলেছেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে চরম খাদ্যঝুঁকির মুখে পড়েছি। এরই মধ্যে এ অঞ্চলের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত লোকজন দুর্দশায় পড়েছে।’
খাদ্যসংকট সবচেয়ে বেশি দেখা দিয়েছে নাইজারে। সেখানে ১০ লাখ টন খাদ্যশস্যের সংকট দেখা দেবে বলে জানানো হয়েছে। এতে সে দেশের ২৭ লাখ লোকের খাদ্যসংকটে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ ছাড়া আরও ৫০ লাখ লোকের মাঝারি ধরনের ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ব্রায়ান ও’নেইল বলেন, ২০০৯-১০ কৃষি মৌসুমে অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, নাইজার, শাদ ও নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে এ সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
ও’নেইল বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের সাহায্যার্থে এ মুহূর্তে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় নেতৃত্বের প্রয়োজন। এ ব্যাপারে আগেভাগে পদক্ষেপ নেওয়া গেলে এ সংকট দুর্ভিক্ষে রূপ নেবে না। আর সেটা করতে ব্যর্থ হলে চরম বিপর্যয় নেমে আসবে।
এর আগে ২০০৫ সালে নাইজারে চরম খাদ্যসংকট দেখা দেয়। তখন নাইজারসহ আফ্রিকার এ অঞ্চলের দেশগুলোতে প্রচুর আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্য আসে। সেসব দেশের শিশুদের অপুষ্টি দূরীকরণে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে আসছে।
ইউনিসেফের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ও’নেইল বলেন, অপুষ্টিসহ নানা কারণে আফ্রিকার এ অঞ্চলে বছরে মোট ছয় লাখ শিশু মারা যায়। সারা বিশ্বের মধ্যে এ অঞ্চলেই শিশুমৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। তিন লাখ শিশু মারা যায় শুধু অপুষ্টিজনিত কারণে। তিনি বলেন, ‘সুনামিতে যত মানুষ মারা যায়, এ অঞ্চলেও তত মানুষ মারা যায়। কিন্তু এটা কারোরই নজরে আসে না। কেউই এদিকে ফিরে চায় না।’
ও’নেইল বলেন, এ বছর খাদ্যসাহায্য বাবদ নাইজারের ২৩ কোটি মার্কিন ডলার সাহায্যের প্রয়োজন হবে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে।
ইউরোপিয়ান কমিশন হিউমেনিটারিয়ান এইডের (ইসিএইচও) আঞ্চলিক প্রধান ব্রায়ান ও’নেইল বলেছেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে চরম খাদ্যঝুঁকির মুখে পড়েছি। এরই মধ্যে এ অঞ্চলের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত লোকজন দুর্দশায় পড়েছে।’
খাদ্যসংকট সবচেয়ে বেশি দেখা দিয়েছে নাইজারে। সেখানে ১০ লাখ টন খাদ্যশস্যের সংকট দেখা দেবে বলে জানানো হয়েছে। এতে সে দেশের ২৭ লাখ লোকের খাদ্যসংকটে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ ছাড়া আরও ৫০ লাখ লোকের মাঝারি ধরনের ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ব্রায়ান ও’নেইল বলেন, ২০০৯-১০ কৃষি মৌসুমে অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, নাইজার, শাদ ও নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে এ সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
ও’নেইল বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের সাহায্যার্থে এ মুহূর্তে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় নেতৃত্বের প্রয়োজন। এ ব্যাপারে আগেভাগে পদক্ষেপ নেওয়া গেলে এ সংকট দুর্ভিক্ষে রূপ নেবে না। আর সেটা করতে ব্যর্থ হলে চরম বিপর্যয় নেমে আসবে।
এর আগে ২০০৫ সালে নাইজারে চরম খাদ্যসংকট দেখা দেয়। তখন নাইজারসহ আফ্রিকার এ অঞ্চলের দেশগুলোতে প্রচুর আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্য আসে। সেসব দেশের শিশুদের অপুষ্টি দূরীকরণে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে আসছে।
ইউনিসেফের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ও’নেইল বলেন, অপুষ্টিসহ নানা কারণে আফ্রিকার এ অঞ্চলে বছরে মোট ছয় লাখ শিশু মারা যায়। সারা বিশ্বের মধ্যে এ অঞ্চলেই শিশুমৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। তিন লাখ শিশু মারা যায় শুধু অপুষ্টিজনিত কারণে। তিনি বলেন, ‘সুনামিতে যত মানুষ মারা যায়, এ অঞ্চলেও তত মানুষ মারা যায়। কিন্তু এটা কারোরই নজরে আসে না। কেউই এদিকে ফিরে চায় না।’
ও’নেইল বলেন, এ বছর খাদ্যসাহায্য বাবদ নাইজারের ২৩ কোটি মার্কিন ডলার সাহায্যের প্রয়োজন হবে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে।
No comments