শীর্ষ ১০ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অর্ধবার্ষিক এডিপি বাস্তবায়ন -নাজুক অবস্থা যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও পানিসম্পদের
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে রীতিমতো হতাশ সরকারের শীর্ষ মহল। দেশের অবকাঠামো দিন দিন ক্রমেই নাজুক অবস্থায় চলে যাচ্ছে। কিন্তু নতুন বিনিয়োগে সরকারের অর্থ বরাদ্দ থাকলেও তার বাস্তবায়ন হচ্ছে অত্যন্ত ধীরগতিতে।
চলতি অর্থবছরের এডিপিতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মোট বরাদ্দ তিন হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। কিন্তু ছয় মাসে মন্ত্রণালয়ের একাধিক সংস্থা মিলে মাত্র ৫৯৭ কোটি টাকা খরচ করতে পেরেছে।
শুধু যোগাযোগ মন্ত্রণালয় নয়, বরাদ্দের বিচারে শীর্ষ ১০ মন্ত্রণালয়ের অর্ধেক মন্ত্রণালয়ের অবস্থায় এ রকম নাজুক অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
তবে সরকার চিন্তিত বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি নিয়ে। কারণ এই খাতগুলোর সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক জড়িত।
জানা গেছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে সরকার নানা পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করলেও প্রথম ছয় মাসে এডিপির মাত্র ২৮ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এডিপি বাস্তবায়নের বরাদ্দের শীর্ষে থাকা ১০ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। তাদের বরাদ্দকৃত ৬৮৩ কোটি টাকার মধ্যে ছয় মাসে ৫০৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ৭৪ শতাংশ।
এর পরে আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের বরাদ্দকৃত ৯৪৭ কোটি টাকার মধ্যে ছয় মাসে ৩৮৬ কোটি টাকা খরচ করেছে, যা তাদের মোট এডিপি বরাদ্দে ৪১ শতাংশ।
তৃতীয় অবস্থানে আছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয় বরাদ্দকৃত দুই হাজার ৮২৮ কোটি টাকার মধ্যে ছয় মাসে ৩৯ শতাংশ খরচ করে ফেলেছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জন্য চলতি অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ছিল ছয় হাজার ৫১৩ কোটি টাকা। ছয় মাসে তারা মোট ব্যয় করতে পেরেছে দুই হাজার ৫৭০ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৩৯ শতাংশ।
এডিপি বাস্তবায়নে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি মোটামুটি সন্তোষজনক। গত ছয় মাসে তাদের বরাদ্দের ৩৮ শতাংশ খরচ হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এই মন্ত্রণালয়ের মোট বরাদ্দ ৮৬০ কোটি টাকা।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চলতি অর্থবছরে মোট বরাদ্দ আছে তিন হাজার ৬৩ কোটি টাকা। ছয় মাসে মন্ত্রণালয় খরচ করেছে ৮৭৬ কোটি টাকা, যা তাদের মোট বরাদ্দের ২৯ শতাংশ।
দেশের বিদ্যুতের সংকট প্রকট থাকলেও এ খাতের সক্ষমতা বাড়াতে মন্ত্রণালয়ের কাজে তেমন একটা গতি নেই। ২০০৯-১০ অর্থবছরে বিদ্যুত্ বিভাগের জন্য মোট বরাদ্দ রয়েছে তিন হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। ছয় মাসে বিদ্যুৎ বিভাগ ব্যয় করতে পেরেছে মাত্র ৬৭৫ কোটি টাকা, যা তাদের মোট বরাদ্দের মাত্র ২২ শতাংশ।
এডিপি বাস্তবায়নে সবচেয়ে নিচে আছে গৃহায়ণ ও পূর্ত মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়টি এ বছর এডিপি বাবদ বরাদ্দ পায় ৫৪৪ কোটি টাকা। ছয় মাসে তারা ব্যয় করতে পেরেছে মাত্র ২১ কোটি টাকা, যা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের বিপরীতে মাত্র চার শতাংশ।
আবার পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় তাদের মোট বরাদ্দের মাত্র ১৮ শতাংশ ব্যয় করেছে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা পরিচালক জায়েদ বখ্ত প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতি অর্থবছরই প্রথম ছয় মাসে এডিপির বাস্তবায়নের হার কিছুটা শ্লথ থাকে। সে বিবেচনায় এবারও কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। তবে যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নের হার হতাশজনক।’
জায়েদ বখ্ত আরও বলেন, ‘আমাদের অবকাঠামো খাতের বিনিয়োগ পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে না পারলে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার সব পরিকল্পনাই পিছিয়ে পড়বে।’
প্রসঙ্গত, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়ন সব সময়ই দুর্বল; এবারের বিশেষ ভয় হলো যে এটি এতই উচ্চাভিলাষী যে ব্যর্থতার আশঙ্কা ব্যাপক। তাই শুরু থেকেই পরিবীক্ষণ, দেখাশোনা ও মূল্যায়নে জোর দিতে হবে।’
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছর এডিপিতে মোট ৮৮৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত অর্থবছর ছিল ৯০৪টি। গত অর্থবছর সংশোধিত এডিপির আয়তন ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা গেছে ১৯ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, যা মোট বরাদ্দের ৮৬ শতাংশ।
এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গত অর্থবছরের জন্য ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মূল এডিপি নির্ধারণ করে। পরবর্তী সময়ে এই সরকার এসে তা কমিয়ে আনে। চলতি অর্থবছরেও সরকার মূল এডিপিকে ইতিমধ্যেই কিছুটা কাটছাঁট করে সাড়ে ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থেকে সাড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে এনেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: এদিকে গতকাল বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাফা মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় মন্ত্রণালয়ের চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালের এডিপি বাস্তবায়নের চিত্র প্রকাশ করা হয়।
সভায় বলা হয়, এডিপি বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার ৬২ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি।
জানা গেছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরের এডিপিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ছয়টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ প্রকল্পগুলোর অনুকূলে বরাদ্দের পরিমাণ ৪৫ কোটি নয় লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের অর্থায়ন দুই কোটি ৫৯ লাখ টাকা। বাকি ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রকল্প সাহায্য। ছয় মাসে প্রকল্পগুলোর অনুকূলে ২৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ছয় প্রকল্প হচ্ছে—স্ট্রেনদেনিং অ্যাকাউন্টিং অডিটিং স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড প্র্যাকটিসেস ইন দ্য করপোরেট সেক্টর, বাংলাদেশ ট্রেড সাপোর্ট প্রোগ্রাম, কোয়ালিটি সাপোর্ট এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন প্রোগ্রাম, প্রমোশন অব সোশ্যাল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড প্রডাকটিভিটি স্ট্যান্ডার্ড ইন দ্য আরএমজি সেক্টর, স্মল হোল্ডিং টি কালটিভেশন ইন চিটাগাং হিল ট্রাক্টস এবং ডেভেলপমেন্ট অব স্মল হোল্ডিং টি কালটিভেশন ইন নর্দান বাংলাদেশ।
চলতি অর্থবছরের এডিপিতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মোট বরাদ্দ তিন হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। কিন্তু ছয় মাসে মন্ত্রণালয়ের একাধিক সংস্থা মিলে মাত্র ৫৯৭ কোটি টাকা খরচ করতে পেরেছে।
শুধু যোগাযোগ মন্ত্রণালয় নয়, বরাদ্দের বিচারে শীর্ষ ১০ মন্ত্রণালয়ের অর্ধেক মন্ত্রণালয়ের অবস্থায় এ রকম নাজুক অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
তবে সরকার চিন্তিত বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি নিয়ে। কারণ এই খাতগুলোর সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক জড়িত।
জানা গেছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে সরকার নানা পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করলেও প্রথম ছয় মাসে এডিপির মাত্র ২৮ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এডিপি বাস্তবায়নের বরাদ্দের শীর্ষে থাকা ১০ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। তাদের বরাদ্দকৃত ৬৮৩ কোটি টাকার মধ্যে ছয় মাসে ৫০৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ৭৪ শতাংশ।
এর পরে আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের বরাদ্দকৃত ৯৪৭ কোটি টাকার মধ্যে ছয় মাসে ৩৮৬ কোটি টাকা খরচ করেছে, যা তাদের মোট এডিপি বরাদ্দে ৪১ শতাংশ।
তৃতীয় অবস্থানে আছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয় বরাদ্দকৃত দুই হাজার ৮২৮ কোটি টাকার মধ্যে ছয় মাসে ৩৯ শতাংশ খরচ করে ফেলেছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জন্য চলতি অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ছিল ছয় হাজার ৫১৩ কোটি টাকা। ছয় মাসে তারা মোট ব্যয় করতে পেরেছে দুই হাজার ৫৭০ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৩৯ শতাংশ।
এডিপি বাস্তবায়নে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি মোটামুটি সন্তোষজনক। গত ছয় মাসে তাদের বরাদ্দের ৩৮ শতাংশ খরচ হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এই মন্ত্রণালয়ের মোট বরাদ্দ ৮৬০ কোটি টাকা।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চলতি অর্থবছরে মোট বরাদ্দ আছে তিন হাজার ৬৩ কোটি টাকা। ছয় মাসে মন্ত্রণালয় খরচ করেছে ৮৭৬ কোটি টাকা, যা তাদের মোট বরাদ্দের ২৯ শতাংশ।
দেশের বিদ্যুতের সংকট প্রকট থাকলেও এ খাতের সক্ষমতা বাড়াতে মন্ত্রণালয়ের কাজে তেমন একটা গতি নেই। ২০০৯-১০ অর্থবছরে বিদ্যুত্ বিভাগের জন্য মোট বরাদ্দ রয়েছে তিন হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। ছয় মাসে বিদ্যুৎ বিভাগ ব্যয় করতে পেরেছে মাত্র ৬৭৫ কোটি টাকা, যা তাদের মোট বরাদ্দের মাত্র ২২ শতাংশ।
এডিপি বাস্তবায়নে সবচেয়ে নিচে আছে গৃহায়ণ ও পূর্ত মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়টি এ বছর এডিপি বাবদ বরাদ্দ পায় ৫৪৪ কোটি টাকা। ছয় মাসে তারা ব্যয় করতে পেরেছে মাত্র ২১ কোটি টাকা, যা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের বিপরীতে মাত্র চার শতাংশ।
আবার পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় তাদের মোট বরাদ্দের মাত্র ১৮ শতাংশ ব্যয় করেছে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা পরিচালক জায়েদ বখ্ত প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতি অর্থবছরই প্রথম ছয় মাসে এডিপির বাস্তবায়নের হার কিছুটা শ্লথ থাকে। সে বিবেচনায় এবারও কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। তবে যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নের হার হতাশজনক।’
জায়েদ বখ্ত আরও বলেন, ‘আমাদের অবকাঠামো খাতের বিনিয়োগ পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে না পারলে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার সব পরিকল্পনাই পিছিয়ে পড়বে।’
প্রসঙ্গত, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়ন সব সময়ই দুর্বল; এবারের বিশেষ ভয় হলো যে এটি এতই উচ্চাভিলাষী যে ব্যর্থতার আশঙ্কা ব্যাপক। তাই শুরু থেকেই পরিবীক্ষণ, দেখাশোনা ও মূল্যায়নে জোর দিতে হবে।’
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছর এডিপিতে মোট ৮৮৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত অর্থবছর ছিল ৯০৪টি। গত অর্থবছর সংশোধিত এডিপির আয়তন ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা গেছে ১৯ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, যা মোট বরাদ্দের ৮৬ শতাংশ।
এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গত অর্থবছরের জন্য ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মূল এডিপি নির্ধারণ করে। পরবর্তী সময়ে এই সরকার এসে তা কমিয়ে আনে। চলতি অর্থবছরেও সরকার মূল এডিপিকে ইতিমধ্যেই কিছুটা কাটছাঁট করে সাড়ে ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থেকে সাড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে এনেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: এদিকে গতকাল বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাফা মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় মন্ত্রণালয়ের চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালের এডিপি বাস্তবায়নের চিত্র প্রকাশ করা হয়।
সভায় বলা হয়, এডিপি বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার ৬২ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি।
জানা গেছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরের এডিপিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ছয়টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ প্রকল্পগুলোর অনুকূলে বরাদ্দের পরিমাণ ৪৫ কোটি নয় লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের অর্থায়ন দুই কোটি ৫৯ লাখ টাকা। বাকি ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রকল্প সাহায্য। ছয় মাসে প্রকল্পগুলোর অনুকূলে ২৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ছয় প্রকল্প হচ্ছে—স্ট্রেনদেনিং অ্যাকাউন্টিং অডিটিং স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড প্র্যাকটিসেস ইন দ্য করপোরেট সেক্টর, বাংলাদেশ ট্রেড সাপোর্ট প্রোগ্রাম, কোয়ালিটি সাপোর্ট এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন প্রোগ্রাম, প্রমোশন অব সোশ্যাল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড প্রডাকটিভিটি স্ট্যান্ডার্ড ইন দ্য আরএমজি সেক্টর, স্মল হোল্ডিং টি কালটিভেশন ইন চিটাগাং হিল ট্রাক্টস এবং ডেভেলপমেন্ট অব স্মল হোল্ডিং টি কালটিভেশন ইন নর্দান বাংলাদেশ।
No comments