ইরাক অভিযান ছিল অবৈধ
ব্রিটিশ সরকারের সাবেক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাইকেল উড বলেছেন, ২০০৩ সালের ইরাক অভিযান ছিল অবৈধ। গত মঙ্গলবার ইরাক যুদ্ধবিষয়ক একটি তদন্ত কমিটির সামনে তিনি এ কথা বলেন। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ওই তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হওয়ার তিন দিন আগে মাইকেল উড এ কথা বললেন।
মাইকেল উড বলেন, ২০০৩ সালের মার্চ মাসে ইরাকের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগকে আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করছেন তিনি। ১৯৯৯ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন উড।
মাইকেল উড বলেন, তাঁর মতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ শক্তি প্রয়োগের অনুমোদন দেয়নি। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অভিযানের কোনো আইনি ভিত্তি ছিল না। তিনি বলেন, তিনি তাঁর উদ্বেগের বিষয়টি মন্ত্রীদের অবহিত করেছিলেন, কিন্তু মন্ত্রীরা তাঁর উদ্বেগকে উপেক্ষা করেছেন।
সরকারের শীর্ষ আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল পিটার গোল্ডস্মিথ সরকারকে সামরিক অভিযানের সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হওয়ার আগে তদন্তের মনোযোগ যুদ্ধের বৈধতা সম্পর্কিত বিষয়ের দিকে মোড় নিল। যুদ্ধের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও ব্রিটেনকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন তত্কালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। গত নভেম্বর মাসে এই তদন্ত শুরু হয়।
ব্যাপক গণবিধ্বংসী অস্ত্র সম্পর্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের প্রতি সাদ্দাম হোসেনের অব্যাহত অবজ্ঞার কথা উল্লেখ করে ইরাক অভিযানের ন্যায্যতা প্রতিপাদনের চেষ্টা করেছিলেন টনি ব্লেয়ার।
২০০২ সালের নভেম্বরে পাস হওয়া জাতিসংঘের ১৪৪১ প্রস্তাব সামরিক অভিযানের আইনি ভিত্তি জোগাবে—এ কথা বলে ইরাকযুদ্ধের মাত্র কয়েক দিন আগে যুদ্ধের প্রতি নিজের অনুমোদন দিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল গোল্ডস্মিথ।
কিন্তু মাইকেল উড বলেন, ১৪৪১ প্রস্তাব এটা পরিষ্কার করে দিয়েছে যে সাদ্দাম হোসেন জাতিসংঘের চাহিদা মেনে নিচ্ছেন কি না, সেটা নির্ধারণ করবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। তিনি আরও বলেন, ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে ব্রিটিশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
তত্কালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্রকে লেখা চিঠিতে উড বলেছিলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আরও কোনো উদ্যোগ ছাড়া কিংবা বড় ধরনের কোনো অগ্রগতি ছাড়া যুক্তরাজ্য আইনসম্মতভাবে ইরাকের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে না। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তাঁর এই উদ্বেগ উপেক্ষা করেছেন জ্যাক স্ট্র।
উড বলেন, ‘স্ট্র আমার ওই মতামতকে এমনভাবে নিয়েছিলেন যেন আমি খুবই যুক্তিহীন বা গোঁড়া মত প্রকাশ করেছি।’ তদন্ত কমিটির সামনে উডের এ বক্তব্য তাঁর সাবেক ডেপুটি এলিজাবেথ উলমসহার্স্টের অবস্থানকে আরও মজবুত করবে। ইরাক অভিযানকে অবৈধ হিসেবে অভিহিত করে যুদ্ধের আগে পদত্যাগ করেছিলেন এলিজাবেথ।
মাইকেল উড বলেন, ২০০৩ সালের মার্চ মাসে ইরাকের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগকে আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করছেন তিনি। ১৯৯৯ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন উড।
মাইকেল উড বলেন, তাঁর মতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ শক্তি প্রয়োগের অনুমোদন দেয়নি। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অভিযানের কোনো আইনি ভিত্তি ছিল না। তিনি বলেন, তিনি তাঁর উদ্বেগের বিষয়টি মন্ত্রীদের অবহিত করেছিলেন, কিন্তু মন্ত্রীরা তাঁর উদ্বেগকে উপেক্ষা করেছেন।
সরকারের শীর্ষ আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল পিটার গোল্ডস্মিথ সরকারকে সামরিক অভিযানের সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হওয়ার আগে তদন্তের মনোযোগ যুদ্ধের বৈধতা সম্পর্কিত বিষয়ের দিকে মোড় নিল। যুদ্ধের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও ব্রিটেনকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন তত্কালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। গত নভেম্বর মাসে এই তদন্ত শুরু হয়।
ব্যাপক গণবিধ্বংসী অস্ত্র সম্পর্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের প্রতি সাদ্দাম হোসেনের অব্যাহত অবজ্ঞার কথা উল্লেখ করে ইরাক অভিযানের ন্যায্যতা প্রতিপাদনের চেষ্টা করেছিলেন টনি ব্লেয়ার।
২০০২ সালের নভেম্বরে পাস হওয়া জাতিসংঘের ১৪৪১ প্রস্তাব সামরিক অভিযানের আইনি ভিত্তি জোগাবে—এ কথা বলে ইরাকযুদ্ধের মাত্র কয়েক দিন আগে যুদ্ধের প্রতি নিজের অনুমোদন দিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল গোল্ডস্মিথ।
কিন্তু মাইকেল উড বলেন, ১৪৪১ প্রস্তাব এটা পরিষ্কার করে দিয়েছে যে সাদ্দাম হোসেন জাতিসংঘের চাহিদা মেনে নিচ্ছেন কি না, সেটা নির্ধারণ করবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। তিনি আরও বলেন, ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে ব্রিটিশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
তত্কালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্রকে লেখা চিঠিতে উড বলেছিলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আরও কোনো উদ্যোগ ছাড়া কিংবা বড় ধরনের কোনো অগ্রগতি ছাড়া যুক্তরাজ্য আইনসম্মতভাবে ইরাকের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে না। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তাঁর এই উদ্বেগ উপেক্ষা করেছেন জ্যাক স্ট্র।
উড বলেন, ‘স্ট্র আমার ওই মতামতকে এমনভাবে নিয়েছিলেন যেন আমি খুবই যুক্তিহীন বা গোঁড়া মত প্রকাশ করেছি।’ তদন্ত কমিটির সামনে উডের এ বক্তব্য তাঁর সাবেক ডেপুটি এলিজাবেথ উলমসহার্স্টের অবস্থানকে আরও মজবুত করবে। ইরাক অভিযানকে অবৈধ হিসেবে অভিহিত করে যুদ্ধের আগে পদত্যাগ করেছিলেন এলিজাবেথ।
No comments