পুনর্নির্বাচিত হওয়াই সব সমালোচনার উচিত জবাব: রাজাপক্ষে
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষে বলেছেন, তামিল বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-কৌশল নিয়ে যারা তাঁর সমালোচনা করেছিল, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর পুনর্নির্বাচিত হওয়াই এই সমালোচনার উচিত জবাব। এদিকে রাজাপক্ষের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সেনাপ্রধান শরত ফনসেকা হামলার ভয়ে আত্মগোপন করেছেন বলে জানা গেছে। এএফপি।
মঙ্গলবারের নির্বাচনে ৫৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন রাজাপক্ষে। আর ফনসেকা পান ৪০ দশমিক ১ শতাংশ ভোট।
গত বছর তামিল টাইগারদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত যুদ্ধে রাজাপক্ষের যুদ্ধ-কৌশল নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয় তাঁর নিজের দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। যুদ্ধে তামিল জনগণকে নির্বাচারে হত্যার অভিযোগ ওঠে। শ্রীলঙ্কা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ তদন্তের দাবি তোলে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্ব। তবে শ্রীলঙ্কা সরকার ও সেনাবাহিনী ওই অভিযোগ কানে তোলেনি।
এক বিবৃতিতে রাজাপক্ষে বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণের এই বিশাল রায়ই ওই সব সমালোচকের জবাব।’ তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার মানুষ দেখিয়েছে, তারা হুমকিকে ভয় পায় না।
তবে পশ্চিমা সমালোচকদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিতও দিয়েছেন রাজাপক্ষে। নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পরপরই বুধবার রাতে তিনি বলেন, ‘মূলত যুদ্ধ নিয়েই আমাদের মধ্যে যত ভুল বোঝাবুঝি। যুদ্ধ শেষ হয়েছে। আমি দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসেছি। এখন যেকোনো ইস্যুতেই আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।’
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন জানিয়েছেন, নির্বাচনের দিন কিছু সহিংসতা হলেও নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ফলাফল মেনে নেওয়ার জন্য তিনি বিরোধীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বান কি মুন বলেন, ‘আমি আশা করছি, জাতীয় স্বার্থে সব পক্ষই সংযম ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে। আর সেটি হবে ভবিষ্যত্ নির্বাচন ও জাতীয় ঐক্যের শুভ লক্ষণ।’
তবে ফলাফল ঘোষণার পরপরই তা প্রত্যাখ্যান করেন ফনসেকা। তিনি বলেন, ‘ভোট কারচুপি ও নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করে আমাদের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
সাবেক সেনাপ্রধান জানান, তিনি এবং তাঁর পক্ষে সমর্থন দেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন।
তবে বুধবার সন্ধ্যায়ই তিনি জানান, সরকার তাঁর নিরাপত্তা দিচ্ছে না। তাঁর নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮০ সদস্যের নিরাপত্তা দলকেও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এতে করে তাঁকে জঙ্গি এবং সরকারি সমর্থকদের হামলার লক্ষ্যে পরিণত হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার। বাধ্য হয়ে তাঁকে হয়তো বিদেশে আশ্রয় নিতে হতে পারে।
অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রাণ বাঁচাতে প্রতিবেশী দেশের সাহায্যচেয়েছেন শরত্ ফনসেকা। প্রতিবেশী দেশটিকে ভারত বলেমনে করা হচ্ছে। তবে নয়াদিল্লির তরফে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। বরং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল রাজাপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
নির্বাচনের দিন ফনসেকা মূলত একটি হোটেলেই অবরুদ্ধ ছিলেন। হোটেলটি ঘিরে রেখেছিল সেনাসদস্যরা। ফনসেকার এক দেহরক্ষী বুধবার রাতে বলেন, ‘আমরা কলম্বোর একটি বাড়িতে সরে গেছি। তবে সেটা কোথায় তা অবশ্যই বলা যাবে না।’
এদিকে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত এবং পরাজিত প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কলম্বোর মার্কিন দূতাবাস।
মঙ্গলবারের নির্বাচনে ৫৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন রাজাপক্ষে। আর ফনসেকা পান ৪০ দশমিক ১ শতাংশ ভোট।
গত বছর তামিল টাইগারদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত যুদ্ধে রাজাপক্ষের যুদ্ধ-কৌশল নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয় তাঁর নিজের দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। যুদ্ধে তামিল জনগণকে নির্বাচারে হত্যার অভিযোগ ওঠে। শ্রীলঙ্কা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ তদন্তের দাবি তোলে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্ব। তবে শ্রীলঙ্কা সরকার ও সেনাবাহিনী ওই অভিযোগ কানে তোলেনি।
এক বিবৃতিতে রাজাপক্ষে বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণের এই বিশাল রায়ই ওই সব সমালোচকের জবাব।’ তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার মানুষ দেখিয়েছে, তারা হুমকিকে ভয় পায় না।
তবে পশ্চিমা সমালোচকদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিতও দিয়েছেন রাজাপক্ষে। নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পরপরই বুধবার রাতে তিনি বলেন, ‘মূলত যুদ্ধ নিয়েই আমাদের মধ্যে যত ভুল বোঝাবুঝি। যুদ্ধ শেষ হয়েছে। আমি দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসেছি। এখন যেকোনো ইস্যুতেই আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।’
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন জানিয়েছেন, নির্বাচনের দিন কিছু সহিংসতা হলেও নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ফলাফল মেনে নেওয়ার জন্য তিনি বিরোধীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বান কি মুন বলেন, ‘আমি আশা করছি, জাতীয় স্বার্থে সব পক্ষই সংযম ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে। আর সেটি হবে ভবিষ্যত্ নির্বাচন ও জাতীয় ঐক্যের শুভ লক্ষণ।’
তবে ফলাফল ঘোষণার পরপরই তা প্রত্যাখ্যান করেন ফনসেকা। তিনি বলেন, ‘ভোট কারচুপি ও নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করে আমাদের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
সাবেক সেনাপ্রধান জানান, তিনি এবং তাঁর পক্ষে সমর্থন দেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন।
তবে বুধবার সন্ধ্যায়ই তিনি জানান, সরকার তাঁর নিরাপত্তা দিচ্ছে না। তাঁর নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮০ সদস্যের নিরাপত্তা দলকেও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এতে করে তাঁকে জঙ্গি এবং সরকারি সমর্থকদের হামলার লক্ষ্যে পরিণত হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার। বাধ্য হয়ে তাঁকে হয়তো বিদেশে আশ্রয় নিতে হতে পারে।
অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রাণ বাঁচাতে প্রতিবেশী দেশের সাহায্যচেয়েছেন শরত্ ফনসেকা। প্রতিবেশী দেশটিকে ভারত বলেমনে করা হচ্ছে। তবে নয়াদিল্লির তরফে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। বরং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল রাজাপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
নির্বাচনের দিন ফনসেকা মূলত একটি হোটেলেই অবরুদ্ধ ছিলেন। হোটেলটি ঘিরে রেখেছিল সেনাসদস্যরা। ফনসেকার এক দেহরক্ষী বুধবার রাতে বলেন, ‘আমরা কলম্বোর একটি বাড়িতে সরে গেছি। তবে সেটা কোথায় তা অবশ্যই বলা যাবে না।’
এদিকে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত এবং পরাজিত প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কলম্বোর মার্কিন দূতাবাস।
No comments