সন্তু লারমার গাড়িবহরে হামলা
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা ও বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক বিশেষ সহকারী রাজা দেবাশীষ রায়ের গাড়িবহরে গত বুধবার যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা এককথায় কাপুরুষোচিত। রাঙামাটি থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে দফা হামলার ঘটনায় সন্তু লারমাকে বহনকারী গাড়ির কাচ ভেঙে যায়, সন্তু লারমাসহ কয়েকজন আঘাত পান। আমরা এ হামলার নিন্দা জানাচ্ছি এবং দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
যাঁরা পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চান, তাঁরা পরিকল্পিতভাবে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির চুক্তি স্বাক্ষরে সন্তু লারমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে তিনি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে সোচ্চার রয়েছেন। হামলার সময়ও তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে খাগড়াছড়ি যাচ্ছিলেন। তাঁর মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তির ওপর হামলা তাই সরকারের বিশেষ মনোযোগ দাবি করে।
হামলার জন্য সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিবিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছেন। এ অভিযোগ তদন্ত করে অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি সংগঠনের মধ্যে যেন নতুন কোনো সহিংসতা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য দুই দলের নেতৃত্বকে সতর্ক থাকতে হবে এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। তাঁদের উপলব্ধি করা উচিত, পাহাড়িদের দুটি সংগঠন নিজেদের মধ্যে সংঘাত ও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়লে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিরোধীদের হাতই শক্তিশালী হবে।
প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগও করেছেন সন্তু লারমা। এ ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়িত্বহীনতার দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও স্থিতিশীলতা যেন কোনোভাবেই হুমকির মুখে না পড়ে, সে জন্য সরকারের পূর্ণ মনোযোগ প্রত্যাশিত
যাঁরা পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চান, তাঁরা পরিকল্পিতভাবে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির চুক্তি স্বাক্ষরে সন্তু লারমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে তিনি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে সোচ্চার রয়েছেন। হামলার সময়ও তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে খাগড়াছড়ি যাচ্ছিলেন। তাঁর মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তির ওপর হামলা তাই সরকারের বিশেষ মনোযোগ দাবি করে।
হামলার জন্য সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিবিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছেন। এ অভিযোগ তদন্ত করে অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি সংগঠনের মধ্যে যেন নতুন কোনো সহিংসতা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য দুই দলের নেতৃত্বকে সতর্ক থাকতে হবে এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। তাঁদের উপলব্ধি করা উচিত, পাহাড়িদের দুটি সংগঠন নিজেদের মধ্যে সংঘাত ও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়লে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিরোধীদের হাতই শক্তিশালী হবে।
প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগও করেছেন সন্তু লারমা। এ ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়িত্বহীনতার দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও স্থিতিশীলতা যেন কোনোভাবেই হুমকির মুখে না পড়ে, সে জন্য সরকারের পূর্ণ মনোযোগ প্রত্যাশিত
No comments