বাংলাদেশের মূল স্রোতে মিশে যাওয়ার স্বপ্ন -উর্দুভাষী জনগোষ্ঠী by নূর ইসলাম
বাংলাদেশে বসবাসরত উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর জীবনে ২৯ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঐতিহাসিক এক অধ্যায়। এই প্রথমবারের মতো তারা বাংলাদেশের কোনো জাতীয় নির্বাচনে সরাসরি ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেল। এই জনগোষ্ঠীর জন্য এ এক অসামান্য অর্জন। অবশ্য এই প্রাপ্তির পেছনে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। কঠোর পরিশ্রম ও সমালোচনার মধ্যে এ জনগোষ্ঠীর একদল অগ্রদূতকে এ কাজ সমাধা করতে হয়েছে। তাদের নিরলস প্রচেষ্টা ও শ্রমের ফলে উর্দুভাষীরা আজ এ দেশের নাগরিক। মহামান্য আদালতের দু-দুটি রায়ে এ কথাই বলা হয়েছে যে, এ জনগোষ্ঠীর সবাই বাংলাদেশের নাগরিক এবং আর সব নাগরিকের মতো এরাও সমান অধিকার পাবে।
এবারই প্রথমবার উর্দুভাষী জনগোষ্ঠী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছিল বলে নির্বাচনের আগে তাদের মধ্যে উত্সাহ-উদ্দীপনার কমতি ছিল না। নির্বাচনী প্রচারণায় সরগরম ছিল ক্যাম্পের জীর্ণ গলিগুলো। আর ওই পথ ধরে বাংলাদেশের খ্যাতনামা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছিল এই জনবসতিগুলো। নির্বাচনের পুরো সময়ে ক্যাম্পে ব্যতিব্যস্ত সময় কাটান নেতা-কর্মীরা। নির্বাচনী সভা-সমাবেশ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান সম্পর্কে অবহিত হওয়ার সুযোগ পায় তারা। আর সেই থেকে উন্মেষ ঘটে বাংলাদেশের সুনাগরিক হয়ে ওঠার স্বপ্নের। এই প্রথমবারের মতো নির্বাচনী ফলাফল শোনার জন্য অধীর আগ্রহে কেউ টেলিভিশনের সামনে, কেউ বা রেডিও হাতে পথে-দোকানে-ঘরে একাগ্রচিত্তে মগ্ন থাকে। এ নিয়ে বিবিসিতে একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রচারিত হয়েছে। নির্বাচনের আগে ও পরে উর্দুভাষীদের বিভিন্ন সংগঠন রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে। রাজনৈতিক দলগুলোও জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের স্বার্থে নানা পরিকল্পনার কথা বলে। সেসব শুনে নিজেদের উন্নয়নার্থে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিপুল সংখ্যায় নির্বাচনে অংশ নেয়।
বাংলাদেশে উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর ক্যাম্পের সংখ্যা এবং সেই সঙ্গে সমস্যা কম নয়। ঢাকার বাইরের; বিশেষ করে সৈয়দপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ ও আদমজীর ক্যাম্পগুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত। এই ক্যাম্পগুলোর আর্থসামাজিক অবস্থাও ঢাকার ক্যাম্পগুলোর তুলনায় সঙ্গিন। মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প ঢাকার উর্দুভাষীদের অন্যতম জনবসতি। এই ক্যাম্পে হাজারো সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হচ্ছে পানি, পয়োনিষ্কাশন ও আবাসন। স্বাস্থ্যসেবার সুযোগও নেই বললেই চলে। চরম ঘনবসতিতে বসবাস করতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। আট ফুট বাই ১০ ফুট ঘরগুলোয় বসবাস করতে হয় আট থেকে ১০ জন, কখনো কখনো তার চেয়েও বেশি মানুষকে। বাংলাদেশের সব ক্যাম্পের চিত্রই কমবেশি এ রকম। ১৯৯০ সালের ‘রাবেতা আল আলামে আল ইসলামী’ ও এসপিজিআরসির জরিপের সময় যেসব পরিবারের সদস্য ছিল ছয়জন, ২০০৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে। ১৯৯০ সালে আট ফুট বাই ১০ ফুট ঘরে বাস করত একটি পরিবার। এখন সেখানে দুই থেকে তিনটি পরিবার, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি পরিবার একসঙ্গে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির আনুপাতিক হারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এ জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যাও। সত্যি বলতে কি, ক্যাম্পগুলো সম্পর্কে সঠিক পরিসংখ্যানের অভাব প্রকট। বিভিন্ন সংখ্যা ও তথ্য-উপাত্ত নিয়েও বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে রয়েছে দ্বিমত। ফলে জেনেভা ক্যাম্পের লোকসংখ্যা এখন কত এবং কতগুলো পরিবার এখানে বসবাস করছে, তা বলা কঠিন।
মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পটি যে সংসদীয় আসনে পড়েছে, গত নির্বাচনে সেখান থেকে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক। নির্বাচনের আগে তিনি তাঁর এলাকার ক্যাম্পগুলোয় প্রচারণা চালান। সে সময় তিনি বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে দেখেন এবং ক্যাম্পগুলোর সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হন। কয়েক মাস আগে জেনেভা ক্যাম্পের বাজারে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তাতে বহু দোকানঘর একেবারে পুড়ে যায়। জাহাঙ্গীর কবির নানক অগ্নিকাণ্ডের সময়ে সশরীরে উপস্থিত থেকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছিলেন। পরে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের তিনি আর্থিক সাহায্যও দেন।
এসব কার্যক্রম দেখে উর্দুভাষী জনগোষ্ঠী এখন অনেক আশাবাদী। তারা মনে করছে, অদূর ভবিষ্যতে তাদের সমস্যার সমাধান হবে; তাদের সন্তানেরা সুন্দর ভবিষ্যত্ গড়ে তুলতে পারবে। আমরা উপলব্ধি করি, অতীতে এ দেশের মূল স্রোত থেকে এ জনগোষ্ঠীর বিচ্ছিন্ন থাকার প্রবণতাও ধীরে ধীরে মুছে যাবে এবং তারা মূল স্রোতে একীভূত হবে। পূর্ব-অভিজ্ঞতা ও সদ্য লব্ধ নাগরিকতার মধ্য দিয়ে উন্নয়নের সঠিক পথ তাদের বেছে নিতে হবে। উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীকে কেবল সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকলে চলবে না, তাদের নিজেদেরও সচেতন হতে হবে। তাদের নিজেদের মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মতৈক্যে পৌঁছাতে হবে এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে হবে। তাদের জন্য এখন যা সবচেয়ে জরুরি, তা হলো, নিজেদের উন্নয়ন তথা বাংলাদেশে পুনর্বাসনের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা।
এমন অবস্থায় সরকারের কাছে উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর প্রধান দাবি, মর্যাদার সঙ্গে বাংলাদেশে তাদের পুনর্বাসন। জনগোষ্ঠীর সঠিক পরিসংখ্যান ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে একটি গঠনমূলক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকা এ সমস্যার সমাধান করবে বলে তারা আশাবাদী। গত এক বছরে পত্রপত্রিকায় নানা পরিকল্পনার কথা শোনা গেছে। এমনকি প্রয়াত উর্দুভাষী নেতা নাসিম খানের মৃত্যুবার্ষিকীতে জেনেভা ক্যাম্পের এক সভায় স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের উচ্চমহলে বৈঠকের কথা বলেছেন। এটি সরকারের ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে। সবাই আশা করছে, এ কার্যক্রম আলোর মুখ দেখবে এবং উর্দুভাষী জনগোষ্ঠী অন্ধকার পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসে এ দেশের মূল উন্নয়নের ধারায় নিজেদের যুক্ত করতে পারবে। সবার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে তারাও বলতে পারবে—এ মাটি আমার, এ দেশ আমার, আমি এ দেশেরই মানুষ।
নূর ইসলাম: বাংলাদেশের উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর একজন সদস্য।
islam.bp@gmail.com
এবারই প্রথমবার উর্দুভাষী জনগোষ্ঠী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছিল বলে নির্বাচনের আগে তাদের মধ্যে উত্সাহ-উদ্দীপনার কমতি ছিল না। নির্বাচনী প্রচারণায় সরগরম ছিল ক্যাম্পের জীর্ণ গলিগুলো। আর ওই পথ ধরে বাংলাদেশের খ্যাতনামা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছিল এই জনবসতিগুলো। নির্বাচনের পুরো সময়ে ক্যাম্পে ব্যতিব্যস্ত সময় কাটান নেতা-কর্মীরা। নির্বাচনী সভা-সমাবেশ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান সম্পর্কে অবহিত হওয়ার সুযোগ পায় তারা। আর সেই থেকে উন্মেষ ঘটে বাংলাদেশের সুনাগরিক হয়ে ওঠার স্বপ্নের। এই প্রথমবারের মতো নির্বাচনী ফলাফল শোনার জন্য অধীর আগ্রহে কেউ টেলিভিশনের সামনে, কেউ বা রেডিও হাতে পথে-দোকানে-ঘরে একাগ্রচিত্তে মগ্ন থাকে। এ নিয়ে বিবিসিতে একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রচারিত হয়েছে। নির্বাচনের আগে ও পরে উর্দুভাষীদের বিভিন্ন সংগঠন রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে। রাজনৈতিক দলগুলোও জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের স্বার্থে নানা পরিকল্পনার কথা বলে। সেসব শুনে নিজেদের উন্নয়নার্থে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিপুল সংখ্যায় নির্বাচনে অংশ নেয়।
বাংলাদেশে উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর ক্যাম্পের সংখ্যা এবং সেই সঙ্গে সমস্যা কম নয়। ঢাকার বাইরের; বিশেষ করে সৈয়দপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ ও আদমজীর ক্যাম্পগুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত। এই ক্যাম্পগুলোর আর্থসামাজিক অবস্থাও ঢাকার ক্যাম্পগুলোর তুলনায় সঙ্গিন। মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প ঢাকার উর্দুভাষীদের অন্যতম জনবসতি। এই ক্যাম্পে হাজারো সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হচ্ছে পানি, পয়োনিষ্কাশন ও আবাসন। স্বাস্থ্যসেবার সুযোগও নেই বললেই চলে। চরম ঘনবসতিতে বসবাস করতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। আট ফুট বাই ১০ ফুট ঘরগুলোয় বসবাস করতে হয় আট থেকে ১০ জন, কখনো কখনো তার চেয়েও বেশি মানুষকে। বাংলাদেশের সব ক্যাম্পের চিত্রই কমবেশি এ রকম। ১৯৯০ সালের ‘রাবেতা আল আলামে আল ইসলামী’ ও এসপিজিআরসির জরিপের সময় যেসব পরিবারের সদস্য ছিল ছয়জন, ২০০৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে। ১৯৯০ সালে আট ফুট বাই ১০ ফুট ঘরে বাস করত একটি পরিবার। এখন সেখানে দুই থেকে তিনটি পরিবার, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি পরিবার একসঙ্গে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির আনুপাতিক হারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এ জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যাও। সত্যি বলতে কি, ক্যাম্পগুলো সম্পর্কে সঠিক পরিসংখ্যানের অভাব প্রকট। বিভিন্ন সংখ্যা ও তথ্য-উপাত্ত নিয়েও বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে রয়েছে দ্বিমত। ফলে জেনেভা ক্যাম্পের লোকসংখ্যা এখন কত এবং কতগুলো পরিবার এখানে বসবাস করছে, তা বলা কঠিন।
মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পটি যে সংসদীয় আসনে পড়েছে, গত নির্বাচনে সেখান থেকে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক। নির্বাচনের আগে তিনি তাঁর এলাকার ক্যাম্পগুলোয় প্রচারণা চালান। সে সময় তিনি বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে দেখেন এবং ক্যাম্পগুলোর সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হন। কয়েক মাস আগে জেনেভা ক্যাম্পের বাজারে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তাতে বহু দোকানঘর একেবারে পুড়ে যায়। জাহাঙ্গীর কবির নানক অগ্নিকাণ্ডের সময়ে সশরীরে উপস্থিত থেকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছিলেন। পরে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের তিনি আর্থিক সাহায্যও দেন।
এসব কার্যক্রম দেখে উর্দুভাষী জনগোষ্ঠী এখন অনেক আশাবাদী। তারা মনে করছে, অদূর ভবিষ্যতে তাদের সমস্যার সমাধান হবে; তাদের সন্তানেরা সুন্দর ভবিষ্যত্ গড়ে তুলতে পারবে। আমরা উপলব্ধি করি, অতীতে এ দেশের মূল স্রোত থেকে এ জনগোষ্ঠীর বিচ্ছিন্ন থাকার প্রবণতাও ধীরে ধীরে মুছে যাবে এবং তারা মূল স্রোতে একীভূত হবে। পূর্ব-অভিজ্ঞতা ও সদ্য লব্ধ নাগরিকতার মধ্য দিয়ে উন্নয়নের সঠিক পথ তাদের বেছে নিতে হবে। উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীকে কেবল সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকলে চলবে না, তাদের নিজেদেরও সচেতন হতে হবে। তাদের নিজেদের মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মতৈক্যে পৌঁছাতে হবে এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে হবে। তাদের জন্য এখন যা সবচেয়ে জরুরি, তা হলো, নিজেদের উন্নয়ন তথা বাংলাদেশে পুনর্বাসনের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা।
এমন অবস্থায় সরকারের কাছে উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর প্রধান দাবি, মর্যাদার সঙ্গে বাংলাদেশে তাদের পুনর্বাসন। জনগোষ্ঠীর সঠিক পরিসংখ্যান ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে একটি গঠনমূলক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকা এ সমস্যার সমাধান করবে বলে তারা আশাবাদী। গত এক বছরে পত্রপত্রিকায় নানা পরিকল্পনার কথা শোনা গেছে। এমনকি প্রয়াত উর্দুভাষী নেতা নাসিম খানের মৃত্যুবার্ষিকীতে জেনেভা ক্যাম্পের এক সভায় স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের উচ্চমহলে বৈঠকের কথা বলেছেন। এটি সরকারের ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে। সবাই আশা করছে, এ কার্যক্রম আলোর মুখ দেখবে এবং উর্দুভাষী জনগোষ্ঠী অন্ধকার পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসে এ দেশের মূল উন্নয়নের ধারায় নিজেদের যুক্ত করতে পারবে। সবার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে তারাও বলতে পারবে—এ মাটি আমার, এ দেশ আমার, আমি এ দেশেরই মানুষ।
নূর ইসলাম: বাংলাদেশের উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর একজন সদস্য।
islam.bp@gmail.com
No comments