অস্তিত্বহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান -প্রতিষ্ঠার আগেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বই নেই, তা বোর্ডের অনুমোদন ও স্বীকৃতি পায় কীভাবে? অথচ এই অবিশ্বাস্য কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন কথিত আক্কেলপুর মডেল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের উদ্যোক্তারা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, এমনকি সাইনবোর্ড টাঙানোর আগেই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন এর স্বঘোষিত উদ্যোক্তারা। ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায়। কল্পিত ইনস্টিটিউটের সভাপতি হিসেবে যাঁর নাম ও টেলিফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে, তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। রহস্যটি এখানেই। সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে একশ্রেণীর লোক ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে যে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে লিপ্ত হয়, আক্কেলপুরের ঘটনাই এর প্রমাণ।
এ ধরনের ভুঁইফোড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে উদ্যোক্তারা সাধারণত চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে যেমন মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেন, তেমনি লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষার্থীদের টানতে সচেষ্ট হন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন’ বলে দায়িত্ব শেষ করতে পারেন না। তাঁর উপজেলায় এ রকম অস্তিত্বহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে যাতে কেউ বাণিজ্য করতে না পারে, তা দেখার দায়িত্ব তাঁরই।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে পত্রিকায় প্রায়ই এ ধরনের চটকদার বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হওয়ার পর প্রথম আলোর আক্কেলপুর প্রতিনিধি সরেজমিনে খোঁজখবর নিয়ে দেখতে পেয়েছেন, সেখানে আক্কেলপুর মডেল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট নামে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। এ রকম ঘটনা শুধু আক্কেলপুরে ঘটেছে, তা ভাবার কারণ নেই। সারা দেশেই অনুমোদিত ও অননুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে শিক্ষাবাণিজ্য চলে আসছে। এগুলো তদারক করার দায়িত্ব যাঁদের, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে থাকেন।
যেকোনো নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের কিছু নিয়মকানুন ও শর্ত পূরণ করতে হয়। সেসব পূরণ না করে ন্যূনতম অবকাঠামো তৈরি করার আগেই কীভাবে আক্কেলপুর মডেল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের নামে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলো, তা তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষাক্ষেত্রে অস্তিত্বহীনদের যে দৌরাত্ম্য চলছে, তা বন্ধ করতে না পারলে শিক্ষাব্যবস্থার অস্তিত্বই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
এ ধরনের ভুঁইফোড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে উদ্যোক্তারা সাধারণত চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে যেমন মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেন, তেমনি লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষার্থীদের টানতে সচেষ্ট হন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন’ বলে দায়িত্ব শেষ করতে পারেন না। তাঁর উপজেলায় এ রকম অস্তিত্বহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে যাতে কেউ বাণিজ্য করতে না পারে, তা দেখার দায়িত্ব তাঁরই।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে পত্রিকায় প্রায়ই এ ধরনের চটকদার বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হওয়ার পর প্রথম আলোর আক্কেলপুর প্রতিনিধি সরেজমিনে খোঁজখবর নিয়ে দেখতে পেয়েছেন, সেখানে আক্কেলপুর মডেল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট নামে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। এ রকম ঘটনা শুধু আক্কেলপুরে ঘটেছে, তা ভাবার কারণ নেই। সারা দেশেই অনুমোদিত ও অননুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে শিক্ষাবাণিজ্য চলে আসছে। এগুলো তদারক করার দায়িত্ব যাঁদের, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে থাকেন।
যেকোনো নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের কিছু নিয়মকানুন ও শর্ত পূরণ করতে হয়। সেসব পূরণ না করে ন্যূনতম অবকাঠামো তৈরি করার আগেই কীভাবে আক্কেলপুর মডেল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের নামে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলো, তা তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষাক্ষেত্রে অস্তিত্বহীনদের যে দৌরাত্ম্য চলছে, তা বন্ধ করতে না পারলে শিক্ষাব্যবস্থার অস্তিত্বই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
No comments