সাংসদকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা -ব্যয়ের উত্স খুঁজে বের করা প্রয়োজন
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগদানের কৃতিত্ব জাহির করতে নিজ নির্বাচনী এলাকায় বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা নিয়েছেন একজন সরকারদলীয় সাংসদ। গত শুক্রবার বরগুনা-২ আসনের সাংসদ গোলাম সবুরকে সংবর্ধনা জানাতে বেতাগী, বামনা, পাথরঘাটায় ব্যাপক ও ব্যয়বহুল আয়োজন করা হয়। তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে সংবর্ধিত হয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমানও। বরগুনার প্রতিটি উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে এই সংবর্ধনার আয়োজন চাঁদাবাজি ছাড়া কিছু নয়।
এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী একজন সরকারি কর্মকর্তা। জনগণের করের পয়সায় তাঁর বেতন-ভাতা গুনতে হয়। সে ক্ষেত্রে তাঁকে সংবর্ধনার কী যুক্তি থাকতে পারে? আর এই সংবর্ধনার সঙ্গে যখন উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ঠিকাদারদের নাম যুক্ত হয়, তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না যে অর্থ কোথা থেকে এসেছে, কেনই বা তাঁরা সংবর্ধনা দিতে এত উত্সাহী হয়েছেন। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে যখন মন্ত্রী ও সাংসদেরা সাড়ম্বরে সংবর্ধনা নিচ্ছিলেন, কেউ কেউ মাথায় সোনার মুকুট পরেছিলেন, তখন আওয়ামী লীগের নেতারা কঠোর ভাষায় এর সমালোচনা করেন। আজ দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ দিনবদলের অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় এলেও সাংসদেরা মোটেই বদলাননি।
সাংসদ গোলাম সবুর বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষায়। কিন্তু তিনি সংবর্ধনার নামে পথে পথে তোরণ নির্মাণ করিয়ে দেশের; আরও নির্দিষ্ট করে বললে তাঁর নির্বাচনী এলাকার পরিবেশ যে নষ্ট করলেন, এর জবাব কী?
সাংসদের দায়িত্ব এলাকার জনগণের জন্য কাজ করা, স্থানীয় প্রশাসন ঠিকমতো সরকারের কর্মসূচি পালন করছে কি না, তা তদারক করা। যাঁর কাজের তদারক তিনি করবেন, তাঁকে সঙ্গে নিয়েই যদি সংবর্ধনা নেন, তাহলে জবাবদিহি আসবে কীভাবে! সংবর্ধনার সংস্কৃতি থেকে মন্ত্রী-সাংসদদের কাজের সংস্কৃতিতে ফিরে আসতে হবে। অন্যথায় তাঁদের দিন বদলালেও জনগণের ভাগ্য বদল হবে না।
এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী একজন সরকারি কর্মকর্তা। জনগণের করের পয়সায় তাঁর বেতন-ভাতা গুনতে হয়। সে ক্ষেত্রে তাঁকে সংবর্ধনার কী যুক্তি থাকতে পারে? আর এই সংবর্ধনার সঙ্গে যখন উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ঠিকাদারদের নাম যুক্ত হয়, তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না যে অর্থ কোথা থেকে এসেছে, কেনই বা তাঁরা সংবর্ধনা দিতে এত উত্সাহী হয়েছেন। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে যখন মন্ত্রী ও সাংসদেরা সাড়ম্বরে সংবর্ধনা নিচ্ছিলেন, কেউ কেউ মাথায় সোনার মুকুট পরেছিলেন, তখন আওয়ামী লীগের নেতারা কঠোর ভাষায় এর সমালোচনা করেন। আজ দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ দিনবদলের অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় এলেও সাংসদেরা মোটেই বদলাননি।
সাংসদ গোলাম সবুর বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষায়। কিন্তু তিনি সংবর্ধনার নামে পথে পথে তোরণ নির্মাণ করিয়ে দেশের; আরও নির্দিষ্ট করে বললে তাঁর নির্বাচনী এলাকার পরিবেশ যে নষ্ট করলেন, এর জবাব কী?
সাংসদের দায়িত্ব এলাকার জনগণের জন্য কাজ করা, স্থানীয় প্রশাসন ঠিকমতো সরকারের কর্মসূচি পালন করছে কি না, তা তদারক করা। যাঁর কাজের তদারক তিনি করবেন, তাঁকে সঙ্গে নিয়েই যদি সংবর্ধনা নেন, তাহলে জবাবদিহি আসবে কীভাবে! সংবর্ধনার সংস্কৃতি থেকে মন্ত্রী-সাংসদদের কাজের সংস্কৃতিতে ফিরে আসতে হবে। অন্যথায় তাঁদের দিন বদলালেও জনগণের ভাগ্য বদল হবে না।
No comments