রোমের নিয়ন্ত্রণ নিতে সংঘবদ্ধ হচ্ছে ইতালির চারটি মাফিয়া গোষ্ঠী -অপরাধ দমনের প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর
ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাঁর সরকার ২০১৩ সালের মধ্যে দেশের সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রকে দমন করবে। গত বৃহস্পতিবার ইতালির জাতীয় বেতার মাধ্যমে এ প্রতিশ্রুতির কথা জানান তিনি। এদিকে রাজধানী রোমের ব্যবসা ও অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ নিতে ইতালির মাফিয়া গোষ্ঠীগুলো সংঘবদ্ধ হচ্ছে বলে সতর্কবার্তা জানিয়েছেন বিশ্লেষকেরা। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইতালির অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রমের ওপর নজরদারি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান ‘লিবেরা ইনফরমািসওন’ এই সতর্কবার্তা জানায়। খবর ডেইলি টেলিগ্রাফ ও বিবিসির।
বারলুসকোনি বলেন, ‘মাফিয়া একটি রোগের মতো। সরকারের চলতি মেয়াদের মধ্যেই এই অপরাধী চক্রকে চিরকালের জন্য দমন করতে চাই আমরা।’ দেশের ইতিহাসে আর কোনো সরকার এত আন্তরিকতা নিয়ে মাফিয়াদের দমনের জন্য কাজ করেনি বলেও দাবি করেন তিনি। অবশ্য চলতি মাসের শুরুতে মাফিয়াবিষয়ক এক তথ্যদাতা গাসপারে স্পাতুজ্জা অভিযোগ করেন, সিসিলির একজন মাফিয়া নেতার সঙ্গে বারলুসকোনির ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বারলুসকোনির একজন মুখপাত্র তখন বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এদিকে গবেষণা প্রতিবেদনে লিবেরা ইনফরমািসওনের বিশ্লেষকেরা জানান, অপরাধী চক্রের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ ইতালির চারটি মূল অপরাধী গোষ্ঠী—সিসিলির কোসা নেস্ত্রা, কাম্পানিয়ার কামোরা, কালাব্রিয়ার এনদ্রাঘেতা ও পুগলিয়ার কোরোনা ইউনিতা এখন নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে রোমে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সংঘবদ্ধ হচ্ছে। এতে বলা হয়, এই অপরাধী গোষ্ঠী অনেক বেশি ব্যবসায়ী মনোভাবাপন্ন। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার প্রচলিত প্রথার বাইরে এসে নিজেরাই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার উদ্যোগ নিয়েছে তারা। এ জন্য মাফিয়ারা উত্তরে এসে ব্যবসা করার নতুন কার্যপদ্ধতিও তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, নতুন উদ্যোগের অংশ হিসেবে এসব অপরাধী চক্র বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কিনে নিচ্ছে বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। চলতি বছরের শুরুতে রোমের একটি সুপরিচিত রেস্তোরাঁ কাফে ডি প্যারিসে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযোগ ছিল প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছে মাফিয়া গোষ্ঠী এনদ্রাঘেতা।
গবেষক গিতানো লিয়ার্দো বলেন, মাফিয়ারা রোমের রেস্তোরাঁ ও অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করছে এবং অপরাধকে ভিন্ন প্রক্রিয়ায় এগিয়ে নিচ্ছে। রোমের উত্তরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ফিউমিচিনো ও সমুদ্রবন্দর সিভিতাভেচ্চিয়া মাদক পাচারের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, দক্ষিণ ইতালির সঙ্গে পাল্লা দিয়েই চলছে রোমের অপরাধ কর্মকাণ্ড। গত শতকের সত্তরের দশকে রোমে মাফিয়াদের উপস্থিতি কম ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অপরাধীদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বেড়ে যাওয়ায় তাদের অপরাধের পরিধিও বাড়িয়ে দিয়েছে। পতিতাবৃত্তি, মাদক পাচার, ভোগ্যপণ্যের পাচার ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে তাদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। আর এসব অবৈধ ব্যবসার প্রসারের ক্ষেত্রে দক্ষিণ ইতালির অপরাধী চক্র এখন রোমের বিদেশি অপরাধীদের সঙ্গেও আঁতাত করছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। এসব বিদেশি অপরাধী চক্রের মধ্যে রয়েছে রুশ, চীনা, আলবেনিয়া ও রুমানিয়ার সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র।
গত জুলাই মাসে পুলিশ সাতজন মাফিয়া সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব লািসওকে কেনার চেষ্টা করছিল। রোমের মাফিয়াবিরোধী পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তে জানা গেছে, ২০০৫ ও ২০০৬ সালের দিকে উয়েফা কাপ ও ইতালিয়ান কাপ টুর্নামেন্টে লািসওর স্পন্সর হওয়ার জন্য ২০ লাখ ইউরো দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল মাফিয়ারা।
এই সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের অর্থের অভাব নেই জানিয়ে আরেকটি ইতালীয় পরামর্শক সংস্থা ইউরিসপেস জানায়, ২০০৮ সালে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র ১৩ হাজার কোটি ইউরো আয় করেছে। এই আয়ের অর্ধেকই এসেছে মাদক ব্যবসার মাধ্যমে।
বারলুসকোনি বলেন, ‘মাফিয়া একটি রোগের মতো। সরকারের চলতি মেয়াদের মধ্যেই এই অপরাধী চক্রকে চিরকালের জন্য দমন করতে চাই আমরা।’ দেশের ইতিহাসে আর কোনো সরকার এত আন্তরিকতা নিয়ে মাফিয়াদের দমনের জন্য কাজ করেনি বলেও দাবি করেন তিনি। অবশ্য চলতি মাসের শুরুতে মাফিয়াবিষয়ক এক তথ্যদাতা গাসপারে স্পাতুজ্জা অভিযোগ করেন, সিসিলির একজন মাফিয়া নেতার সঙ্গে বারলুসকোনির ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বারলুসকোনির একজন মুখপাত্র তখন বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এদিকে গবেষণা প্রতিবেদনে লিবেরা ইনফরমািসওনের বিশ্লেষকেরা জানান, অপরাধী চক্রের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ ইতালির চারটি মূল অপরাধী গোষ্ঠী—সিসিলির কোসা নেস্ত্রা, কাম্পানিয়ার কামোরা, কালাব্রিয়ার এনদ্রাঘেতা ও পুগলিয়ার কোরোনা ইউনিতা এখন নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে রোমে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সংঘবদ্ধ হচ্ছে। এতে বলা হয়, এই অপরাধী গোষ্ঠী অনেক বেশি ব্যবসায়ী মনোভাবাপন্ন। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার প্রচলিত প্রথার বাইরে এসে নিজেরাই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার উদ্যোগ নিয়েছে তারা। এ জন্য মাফিয়ারা উত্তরে এসে ব্যবসা করার নতুন কার্যপদ্ধতিও তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, নতুন উদ্যোগের অংশ হিসেবে এসব অপরাধী চক্র বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কিনে নিচ্ছে বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। চলতি বছরের শুরুতে রোমের একটি সুপরিচিত রেস্তোরাঁ কাফে ডি প্যারিসে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযোগ ছিল প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছে মাফিয়া গোষ্ঠী এনদ্রাঘেতা।
গবেষক গিতানো লিয়ার্দো বলেন, মাফিয়ারা রোমের রেস্তোরাঁ ও অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করছে এবং অপরাধকে ভিন্ন প্রক্রিয়ায় এগিয়ে নিচ্ছে। রোমের উত্তরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ফিউমিচিনো ও সমুদ্রবন্দর সিভিতাভেচ্চিয়া মাদক পাচারের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, দক্ষিণ ইতালির সঙ্গে পাল্লা দিয়েই চলছে রোমের অপরাধ কর্মকাণ্ড। গত শতকের সত্তরের দশকে রোমে মাফিয়াদের উপস্থিতি কম ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অপরাধীদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বেড়ে যাওয়ায় তাদের অপরাধের পরিধিও বাড়িয়ে দিয়েছে। পতিতাবৃত্তি, মাদক পাচার, ভোগ্যপণ্যের পাচার ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে তাদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। আর এসব অবৈধ ব্যবসার প্রসারের ক্ষেত্রে দক্ষিণ ইতালির অপরাধী চক্র এখন রোমের বিদেশি অপরাধীদের সঙ্গেও আঁতাত করছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। এসব বিদেশি অপরাধী চক্রের মধ্যে রয়েছে রুশ, চীনা, আলবেনিয়া ও রুমানিয়ার সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র।
গত জুলাই মাসে পুলিশ সাতজন মাফিয়া সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব লািসওকে কেনার চেষ্টা করছিল। রোমের মাফিয়াবিরোধী পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তে জানা গেছে, ২০০৫ ও ২০০৬ সালের দিকে উয়েফা কাপ ও ইতালিয়ান কাপ টুর্নামেন্টে লািসওর স্পন্সর হওয়ার জন্য ২০ লাখ ইউরো দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল মাফিয়ারা।
এই সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের অর্থের অভাব নেই জানিয়ে আরেকটি ইতালীয় পরামর্শক সংস্থা ইউরিসপেস জানায়, ২০০৮ সালে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র ১৩ হাজার কোটি ইউরো আয় করেছে। এই আয়ের অর্ধেকই এসেছে মাদক ব্যবসার মাধ্যমে।
No comments