এনজিওর বৈধ-অবৈধ বিস্তার -এই খাত শৃঙ্খলা ও জবাবদিহির বাইরে থাকতে পারে না
এনজিও মাত্রই জনসেবায় নিয়োজিত, বেসরকারি সংস্থা মানেই অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, প্রায় চার দশকের অভিজ্ঞতায় এ কথা বলার আর জো নেই। জনস্বার্থে কাজ করার পাশাপাশি এনজিও নামের বিষয়টি অনেক অসাধু উদ্দেশ্যেও ব্যবহূত হতে দেখা গেছে। সে কারণেই বেসরকারি সংস্থা তথা এনজিও প্রতিষ্ঠা, পরিচালনাসহ এর সার্বিক কার্যক্রমের ওপর দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের নজর থাকার প্রয়োজনের কথা নাগরিক মহল থেকে বারবার উচ্চারিত হয়েছে। এই চাওয়া যে অহেতুক ছিল না, তা বোঝা যায় গত বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোর শিরোনামে। সংবাদটি বলছে, দেশে বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট আড়াই হাজার এনজিওর মধ্যে এক হাজার ৩০৯টিই অবৈধভাবে চলছে। এগুলো হয় কখনো নিবন্ধিতই হয়নি, অথবা তাদের নিবন্ধনের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও নবায়ন করা হয়নি।
যে দেশে অনিবন্ধিত অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয় চালানোও কঠিন, সেখানে এত বিপুলসংখ্যক এনজিও কীভাবে নিবন্ধন ছাড়াই দেশময় কাজ চালাতে পারছে, তা বোধগম্য নয়। বিশেষত, যখন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, এমনকি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঢাল হিসেবে অনেক এনজিওকে ব্যবহূত হতে দেখা গেছে। আর্থিক প্রতারণা, দারিদ্র্য ব্যবসা থেকে শুরু করে জঙ্গিবাদী কার্যকলাপের কৌশলী হাতিয়ার হিসেবে এনজিওর ব্যবহার যখন আর অজানা বিষয় নয়, তখন বিষয়টিকে মোটেই খাটো করে দেখার উপায় নেই। ১৯৭৮ সাল থেকে এনজিও রেগুলেশন রুলস নামের একটি আইন বিদ্যমান। জরুরি এই প্রসঙ্গটি উপেক্ষিত থাকা মোটেই ভালো কাজ হয়নি।
তবে ফেডারেশন অব এনজিওস অব বাংলাদেশের (এফএনবি) ভাষ্য হচ্ছে, এনজিওবিষয়ক ব্যুরো নিবন্ধন করার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ নয়। এখানে নিবন্ধিত না হওয়া অনেক এনজিওই সমাজসেবা অধিদপ্তর কিংবা অন্য কোথাও নিবন্ধিত রয়েছে। তাঁদের মতে, এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর কাজ বৈদেশিক অর্থসাহায্য ছাড় করানো। কিন্তু যেহেতু উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও অধিকার প্রশ্নে এনজিও খাতের বিরাট ভূমিকা রয়েছে, সেহেতু একটি বিভাগ থেকেই সামগ্রিক সমন্বয় হওয়া প্রয়োজন; বিশেষ করে, বিদেশি অর্থসাহায্যের ব্যবহার আইনানুগভাবে ঘোষিত উদ্দেশ্যে হচ্ছে কি না, দুর্নীতি হচ্ছে কি না এবং সর্বোপরি দেশবিরোধী কাজে এই অর্থ ব্যবহূত হচ্ছে কি না, এর তদারকির প্রয়োজন রয়েছে।
এই তদারকি কেবল ছোট এনজিওর বেলাতেই নয়, বিরাটাকারের দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় এনজিওর বেলায়ও প্রয়োজন। বিভিন্ন সময় অনেক খ্যাতনামা এনজিওর কাজের সমালোচনা গণমাধ্যমে আসতে দেখা গেছে। তবে নিয়মবদ্ধ বা নিবন্ধিত করার নামে এ ক্ষেত্রে যেন সরকারি খবরদারি চলে না আসে।
যে দেশে অনিবন্ধিত অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয় চালানোও কঠিন, সেখানে এত বিপুলসংখ্যক এনজিও কীভাবে নিবন্ধন ছাড়াই দেশময় কাজ চালাতে পারছে, তা বোধগম্য নয়। বিশেষত, যখন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, এমনকি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঢাল হিসেবে অনেক এনজিওকে ব্যবহূত হতে দেখা গেছে। আর্থিক প্রতারণা, দারিদ্র্য ব্যবসা থেকে শুরু করে জঙ্গিবাদী কার্যকলাপের কৌশলী হাতিয়ার হিসেবে এনজিওর ব্যবহার যখন আর অজানা বিষয় নয়, তখন বিষয়টিকে মোটেই খাটো করে দেখার উপায় নেই। ১৯৭৮ সাল থেকে এনজিও রেগুলেশন রুলস নামের একটি আইন বিদ্যমান। জরুরি এই প্রসঙ্গটি উপেক্ষিত থাকা মোটেই ভালো কাজ হয়নি।
তবে ফেডারেশন অব এনজিওস অব বাংলাদেশের (এফএনবি) ভাষ্য হচ্ছে, এনজিওবিষয়ক ব্যুরো নিবন্ধন করার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ নয়। এখানে নিবন্ধিত না হওয়া অনেক এনজিওই সমাজসেবা অধিদপ্তর কিংবা অন্য কোথাও নিবন্ধিত রয়েছে। তাঁদের মতে, এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর কাজ বৈদেশিক অর্থসাহায্য ছাড় করানো। কিন্তু যেহেতু উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও অধিকার প্রশ্নে এনজিও খাতের বিরাট ভূমিকা রয়েছে, সেহেতু একটি বিভাগ থেকেই সামগ্রিক সমন্বয় হওয়া প্রয়োজন; বিশেষ করে, বিদেশি অর্থসাহায্যের ব্যবহার আইনানুগভাবে ঘোষিত উদ্দেশ্যে হচ্ছে কি না, দুর্নীতি হচ্ছে কি না এবং সর্বোপরি দেশবিরোধী কাজে এই অর্থ ব্যবহূত হচ্ছে কি না, এর তদারকির প্রয়োজন রয়েছে।
এই তদারকি কেবল ছোট এনজিওর বেলাতেই নয়, বিরাটাকারের দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় এনজিওর বেলায়ও প্রয়োজন। বিভিন্ন সময় অনেক খ্যাতনামা এনজিওর কাজের সমালোচনা গণমাধ্যমে আসতে দেখা গেছে। তবে নিয়মবদ্ধ বা নিবন্ধিত করার নামে এ ক্ষেত্রে যেন সরকারি খবরদারি চলে না আসে।
No comments