সংসদে ফিরে যাওয়ার বিকল্প নেই -বিরোধী দলের আহ্বান
বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন নেতা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য সরকারের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা ভালো। তবে এতে কতটা আন্তরিকতা রয়েছে আর কতটা রয়েছে রাজনীতি, তা বলা কঠিন। কারণ জাতীয় সংসদের ফটকগুলো খোলা রয়েছে, প্রধান বিরোধী দল যদি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরাকে জরুরি কর্তব্য মনে করে, তবে তারা সংসদে গিয়েই তা করতে পারে। মাঠে-ময়দানে সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানোর কিছু নেই।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নবম জাতীয় সংসদের শুধু প্রথম অধিবেশনে যোগ দিয়েছিল। তারপর বাজেট অধিবেশনের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনসহ দুটি অধিবেশনে দলটি এক দিনের জন্যও অংশ নেয়নি। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে চতুর্থ অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, বিএনপি সে অধিবেশনেও যোগ দেবে না বলে আভাস-ইঙ্গিত দিয়েছে। সংসদ বর্জনের যুক্তি হিসেবে তারা বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকার ও সরকারি দলের নির্যাতন-হয়রানির অভিযোগ করছে। তারা বলে চলেছে, বিরোধী দল সংসদে যেতে চায়, কিন্তু যাওয়ার পরিবেশ নেই; সরকার সে ধরনের পরিবেশ সৃষ্টির ব্যাপারে আগ্রহী নয়, ইত্যাদি।
বিরোধী দলগুলোর সংসদ বর্জনের এসব অজুহাত পুরোনো হয়ে গেছে। সব সংসদের আমলে সব বিরোধী দলের মুখে একই ধরনের কথাবার্তা দেশবাসী শুনে আসছে। বাস্তবিক অর্থে এই কথাগুলো সংসদ বর্জনের অজুহাত ছাড়া কিছু নয়। সংসদ বর্জনকে ব্যবহার করা হয় রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে; বর্জনকারী বিরোধী দল মনে করে, এটা করে তারা রাজনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে তাদের লাভ হয় না। কারণ জনগণ প্রত্যাশা করে, বিরোধী দল সংসদে অংশগ্রহণ করুক। অধিবেশনের পর অধিবেশন তারা বর্জনকৌশল চালিয়ে গেলে জনগণ বিরক্ত হয়। আরও বীতশ্রদ্ধ হয়, যখন দেখতে পায় সংসদে যোগ না দিয়েই নির্ধারিত বেতন-ভাতাসহ সব সুযোগ-সুবিধা সাংসদেরা ভোগ করে চলেছেন।
জনগণ সংসদ সদস্যদের নির্বাচিত করেছে সংসদে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে। নির্বাচনের সময় সাংসদদের কোনো শর্ত থাকে না যে কী ধরনের ‘পরিবেশ’ পেলে তাঁরা সংসদে যোগ দেবেন, আর কী ‘পরিবেশে’ দেবেন না। তাঁদের সংসদে যোগদান একটি নিঃশর্ত বিষয়, এর জন্য প্রত্যেক সাংসদ ও তাঁর দল দায়বদ্ধ সংশ্লিষ্ট ভোটারমণ্ডলী ও সামগ্রিকভাবে গোটা জাতির কাছে। সরকার বা সরকারি দলের কোনো আচরণের ওপরই বিরোধী দলের সাংসদদের সংসদে যোগ দেওয়া বা না দেওয়া নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। বিরোধী দলের ওপর সরকারপক্ষের অত্যাচার-নির্যাতন-হয়রানি থাকলে তা অবশ্যই অন্যায়; কিন্তু এর সঙ্গে সংসদে যোগদান করা বা না করার কোনো সম্পর্ক থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। বরং উল্টো, কোনো বাধাবিপত্তি থাকলে তা অগ্রাহ্য করেই বিরোধী দলের সংসদে যোগদান করা উচিত। খুব ভালো হয়, যদি বিএনপি সামনের মাসে চতুর্থ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে স্থায়ীভাবে সংসদে ফিরে যায়। আরও ভালো হয়, যদি প্রবল তর্কে-বিতর্কে সংসদ প্রাণবন্ত, কখনো কখনো উত্তপ্তও হয়ে ওঠে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নবম জাতীয় সংসদের শুধু প্রথম অধিবেশনে যোগ দিয়েছিল। তারপর বাজেট অধিবেশনের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনসহ দুটি অধিবেশনে দলটি এক দিনের জন্যও অংশ নেয়নি। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে চতুর্থ অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, বিএনপি সে অধিবেশনেও যোগ দেবে না বলে আভাস-ইঙ্গিত দিয়েছে। সংসদ বর্জনের যুক্তি হিসেবে তারা বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকার ও সরকারি দলের নির্যাতন-হয়রানির অভিযোগ করছে। তারা বলে চলেছে, বিরোধী দল সংসদে যেতে চায়, কিন্তু যাওয়ার পরিবেশ নেই; সরকার সে ধরনের পরিবেশ সৃষ্টির ব্যাপারে আগ্রহী নয়, ইত্যাদি।
বিরোধী দলগুলোর সংসদ বর্জনের এসব অজুহাত পুরোনো হয়ে গেছে। সব সংসদের আমলে সব বিরোধী দলের মুখে একই ধরনের কথাবার্তা দেশবাসী শুনে আসছে। বাস্তবিক অর্থে এই কথাগুলো সংসদ বর্জনের অজুহাত ছাড়া কিছু নয়। সংসদ বর্জনকে ব্যবহার করা হয় রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে; বর্জনকারী বিরোধী দল মনে করে, এটা করে তারা রাজনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে তাদের লাভ হয় না। কারণ জনগণ প্রত্যাশা করে, বিরোধী দল সংসদে অংশগ্রহণ করুক। অধিবেশনের পর অধিবেশন তারা বর্জনকৌশল চালিয়ে গেলে জনগণ বিরক্ত হয়। আরও বীতশ্রদ্ধ হয়, যখন দেখতে পায় সংসদে যোগ না দিয়েই নির্ধারিত বেতন-ভাতাসহ সব সুযোগ-সুবিধা সাংসদেরা ভোগ করে চলেছেন।
জনগণ সংসদ সদস্যদের নির্বাচিত করেছে সংসদে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে। নির্বাচনের সময় সাংসদদের কোনো শর্ত থাকে না যে কী ধরনের ‘পরিবেশ’ পেলে তাঁরা সংসদে যোগ দেবেন, আর কী ‘পরিবেশে’ দেবেন না। তাঁদের সংসদে যোগদান একটি নিঃশর্ত বিষয়, এর জন্য প্রত্যেক সাংসদ ও তাঁর দল দায়বদ্ধ সংশ্লিষ্ট ভোটারমণ্ডলী ও সামগ্রিকভাবে গোটা জাতির কাছে। সরকার বা সরকারি দলের কোনো আচরণের ওপরই বিরোধী দলের সাংসদদের সংসদে যোগ দেওয়া বা না দেওয়া নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। বিরোধী দলের ওপর সরকারপক্ষের অত্যাচার-নির্যাতন-হয়রানি থাকলে তা অবশ্যই অন্যায়; কিন্তু এর সঙ্গে সংসদে যোগদান করা বা না করার কোনো সম্পর্ক থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। বরং উল্টো, কোনো বাধাবিপত্তি থাকলে তা অগ্রাহ্য করেই বিরোধী দলের সংসদে যোগদান করা উচিত। খুব ভালো হয়, যদি বিএনপি সামনের মাসে চতুর্থ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে স্থায়ীভাবে সংসদে ফিরে যায়। আরও ভালো হয়, যদি প্রবল তর্কে-বিতর্কে সংসদ প্রাণবন্ত, কখনো কখনো উত্তপ্তও হয়ে ওঠে।
No comments