ভোলায় লঞ্চডুবি -এতগুলো মৃত্যুর দায় কার?
ঈদের আগের দিন রাতে ভোলার লালমোহনে ঘটে যাওয়া লঞ্চ দুর্ঘটনা কয়েক শ পরিবারের জীবন কীভাবে তছনছ করে দিয়েছে, তা ভুক্তভোগী ছাড়া অনুমান করা কঠিন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ যাত্রীর সংখ্যা শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পঞ্চাশেরও বেশি। তাঁদের স্বজনেরা ঘটনার তিন দিন পরও অপেক্ষায় আছেন, অন্তত লাশটি যদি পাওয়া যায়! মর্মান্তিক! আমরা এই পরিবারগুলোর প্রতি আমাদের শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। নিহত ব্যক্তিদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
কেন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা? এতগুলো মৃত্যুর দায় কার? প্রাথমিকভাবে যে কারণ জানা যাচ্ছে, তাতে দুর্ঘটনার শিকার এমভি কোকো-৪ লঞ্চের মালিকপক্ষকেই এ জন্য দায়ী করতে হচ্ছে। লঞ্চটিতে যেখানে ধারণক্ষমতা ছিল ৩৭০ জন, সেখানে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দাবি অনুযায়ী, ঢাকা থেকে লঞ্চটি যাত্রা করেছিল তিন হাজার যাত্রী নিয়ে। বেশি লাভের আশায় মালিকপক্ষ এই অনৈতিক কাজ করেছে, এতে সন্দেহ নেই। মানুষের জীবনের মূল্য এখানে কোনো বিবেচনা পায় না। একদিকে বেশি যাত্রী বহন, অন্যদিকে টিকিট পরীক্ষার নামে আনসার দিয়ে যাত্রীদের লাঠিপেটা করে লঞ্চের একদিকে জড়ো করা—যে ঘটনাকে দুর্ঘটনার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে, কোনো কিছুতেই কম জুড়ি নেই এই মালিকপক্ষের। ঘাটের কাছে এসে লঞ্চটি ডুবে শেষ পর্যন্ত এতগুলো মানুষের প্রাণহানি ঘটাল। আরও একটি তথ্য হচ্ছে, ২০০৭ সালের পর এ লঞ্চটির ফিটনেস পরীক্ষা করা হয়নি। কিন্তু লঞ্চটি নিয়মিত যাত্রী বহন করে গেছে।
সরকার বা অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকেও এ ঘটনার দায় সমভাবে নিতে হবে। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী যদি কোনো লঞ্চ বহন করে, তবে সেই লঞ্চের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব তো তাদের। সেই নজরদারি যে ছিল না, কোনো সন্দেহ নেই। কর্তৃপক্ষের কি জানা ছিল না যে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ থাকবে এবং লঞ্চমালিকেরা সে সুযোগ নেবেন; তাঁরা বেশি যাত্রী বহন করবেন; বেশি ভাড়া আদায় করবেন? আর ২০০৭ সালের পর যে লঞ্চটির ফিটনেস পরীক্ষা করা হয়নি, সেটি কীভাবে যাত্রী বহন করে যাচ্ছিল—এর কী জবাব দেবে কর্তৃপক্ষ?
সব লঞ্চ দুর্ঘটনার পর যা হয়, এবারও তা-ই হয়েছে; একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। হয়তো একটি প্রতিবেদনও পাওয়া যাবে এই কমিটির কাছ থেকে। কিন্তু লঞ্চমালিকদের অতিরিক্ত অর্থলিপ্সা আর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার ফলে এ ধরনের দুর্ঘটনা আর ঘটবে না, এর নিশ্চয়তা কি কর্তৃপক্ষ দিতে পারবে? আমরা সে নিশ্চয়তা চাই।
কেন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা? এতগুলো মৃত্যুর দায় কার? প্রাথমিকভাবে যে কারণ জানা যাচ্ছে, তাতে দুর্ঘটনার শিকার এমভি কোকো-৪ লঞ্চের মালিকপক্ষকেই এ জন্য দায়ী করতে হচ্ছে। লঞ্চটিতে যেখানে ধারণক্ষমতা ছিল ৩৭০ জন, সেখানে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দাবি অনুযায়ী, ঢাকা থেকে লঞ্চটি যাত্রা করেছিল তিন হাজার যাত্রী নিয়ে। বেশি লাভের আশায় মালিকপক্ষ এই অনৈতিক কাজ করেছে, এতে সন্দেহ নেই। মানুষের জীবনের মূল্য এখানে কোনো বিবেচনা পায় না। একদিকে বেশি যাত্রী বহন, অন্যদিকে টিকিট পরীক্ষার নামে আনসার দিয়ে যাত্রীদের লাঠিপেটা করে লঞ্চের একদিকে জড়ো করা—যে ঘটনাকে দুর্ঘটনার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে, কোনো কিছুতেই কম জুড়ি নেই এই মালিকপক্ষের। ঘাটের কাছে এসে লঞ্চটি ডুবে শেষ পর্যন্ত এতগুলো মানুষের প্রাণহানি ঘটাল। আরও একটি তথ্য হচ্ছে, ২০০৭ সালের পর এ লঞ্চটির ফিটনেস পরীক্ষা করা হয়নি। কিন্তু লঞ্চটি নিয়মিত যাত্রী বহন করে গেছে।
সরকার বা অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকেও এ ঘটনার দায় সমভাবে নিতে হবে। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী যদি কোনো লঞ্চ বহন করে, তবে সেই লঞ্চের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব তো তাদের। সেই নজরদারি যে ছিল না, কোনো সন্দেহ নেই। কর্তৃপক্ষের কি জানা ছিল না যে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ থাকবে এবং লঞ্চমালিকেরা সে সুযোগ নেবেন; তাঁরা বেশি যাত্রী বহন করবেন; বেশি ভাড়া আদায় করবেন? আর ২০০৭ সালের পর যে লঞ্চটির ফিটনেস পরীক্ষা করা হয়নি, সেটি কীভাবে যাত্রী বহন করে যাচ্ছিল—এর কী জবাব দেবে কর্তৃপক্ষ?
সব লঞ্চ দুর্ঘটনার পর যা হয়, এবারও তা-ই হয়েছে; একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। হয়তো একটি প্রতিবেদনও পাওয়া যাবে এই কমিটির কাছ থেকে। কিন্তু লঞ্চমালিকদের অতিরিক্ত অর্থলিপ্সা আর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার ফলে এ ধরনের দুর্ঘটনা আর ঘটবে না, এর নিশ্চয়তা কি কর্তৃপক্ষ দিতে পারবে? আমরা সে নিশ্চয়তা চাই।
No comments