চর দখল নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১
ব্রহ্মপুত্র নদে জেগে ওঠা একটি চরের দখল
নিয়ে গতকাল সোমবার শেরপুর ও জামালপুরের ছয়টি গ্রামের কয়েক হাজার গ্রামবাসীর
মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় আবুল হোসেন (১৬) নামের এক কিশোর নিহত
হয়েছে। পরিবারের দাবি, পুলিশের গুলিতে সে নিহত হয়েছে। পুলিশ এ অভিযোগ
অস্বীকার করেছে। সংঘর্ষে চারজন পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত
হয়েছে।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদে জেগে ওঠা কয়েক শ একর আয়তনের একটি চর নিয়ে শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ভাগলগড়, জঙ্গলদী ও ডাকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং জামালপুর সদর উপজেলার পাথালিয়া, গোয়াবাড়িয়া ও নাওভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। গতকাল সকাল থেকে উভয় জেলার ছয়টি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা ওই চরের দখল নেওয়ার জন্য দা, ফালা, লাঠি, বল্লমসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে সেখানে সমবেত হয়।
সংবাদ পেয়ে শেরপুর ও জামালপুরের জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য সেখানে অবস্থান নেন। পুলিশের উপস্থিতিতেই উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় জামালপুর সদর থানার হাবিলদার মো. জোহায়ের আলীসহ পুলিশের চার সদস্য আহত হন। উত্তেজিত লোকজন জোহায়ের আলীর কাছ থেকে একটি শটগান কেড়ে নেয়। পরে অবশ্য তা উদ্ধার হয়।
একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলিবর্ষণ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে শেরপুর সদর উপজেলার ডাকপাড়া গ্রামের আবুল হোসেন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার বাবার নাম সমশের আলী।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে জামালপুর সদর থানার হাবিলদার জোহায়ের আলীকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়েছে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষের সময় শেরপুরের পাইঠাপাড়া ও ভাগলগড়ের ১৫-২০টি ঘর প্রতিপক্ষের লোকজন আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় তারা লুটতরাজ চালায়।
শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে অবস্থানরত নিহত আবুল হোসেনের দুই চাচা মো. মোস্তফা (৫৫), মো. খোকা (৪৫) ও বড় ভাই মো. মিজান (২৬) অভিযোগ করেন, পুলিশের গুলিতেই আবুল হোসেন মারা গেছে। আবুল হোসেন সংঘর্ষের ঘটনা দেখতে চর এলাকায় যায়।
নিহত আবুল হোসেনের আত্মীয়স্বজনের অভিযোগ অস্বীকার করে জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আবুল কীভাবে মারা গেছে, তাঁরা তা জানেন না। তবে জামালপুর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য শটগানের ৫১টি গুলি বর্ষণ ও কাঁদানে গ্যাসের ১০টি শেল নিক্ষেপ করেছে।
অপরদিকে শেরপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, ঘটনার সময় শেরপুর পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো রকম গুলিবর্ষণ করা হয়নি। বর্তমানে চরের নিয়ন্ত্রণ পুলিশের হাতে রয়েছে।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদে জেগে ওঠা কয়েক শ একর আয়তনের একটি চর নিয়ে শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ভাগলগড়, জঙ্গলদী ও ডাকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং জামালপুর সদর উপজেলার পাথালিয়া, গোয়াবাড়িয়া ও নাওভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। গতকাল সকাল থেকে উভয় জেলার ছয়টি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা ওই চরের দখল নেওয়ার জন্য দা, ফালা, লাঠি, বল্লমসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে সেখানে সমবেত হয়।
সংবাদ পেয়ে শেরপুর ও জামালপুরের জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য সেখানে অবস্থান নেন। পুলিশের উপস্থিতিতেই উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় জামালপুর সদর থানার হাবিলদার মো. জোহায়ের আলীসহ পুলিশের চার সদস্য আহত হন। উত্তেজিত লোকজন জোহায়ের আলীর কাছ থেকে একটি শটগান কেড়ে নেয়। পরে অবশ্য তা উদ্ধার হয়।
একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলিবর্ষণ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে শেরপুর সদর উপজেলার ডাকপাড়া গ্রামের আবুল হোসেন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার বাবার নাম সমশের আলী।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে জামালপুর সদর থানার হাবিলদার জোহায়ের আলীকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়েছে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষের সময় শেরপুরের পাইঠাপাড়া ও ভাগলগড়ের ১৫-২০টি ঘর প্রতিপক্ষের লোকজন আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় তারা লুটতরাজ চালায়।
শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে অবস্থানরত নিহত আবুল হোসেনের দুই চাচা মো. মোস্তফা (৫৫), মো. খোকা (৪৫) ও বড় ভাই মো. মিজান (২৬) অভিযোগ করেন, পুলিশের গুলিতেই আবুল হোসেন মারা গেছে। আবুল হোসেন সংঘর্ষের ঘটনা দেখতে চর এলাকায় যায়।
নিহত আবুল হোসেনের আত্মীয়স্বজনের অভিযোগ অস্বীকার করে জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আবুল কীভাবে মারা গেছে, তাঁরা তা জানেন না। তবে জামালপুর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য শটগানের ৫১টি গুলি বর্ষণ ও কাঁদানে গ্যাসের ১০টি শেল নিক্ষেপ করেছে।
অপরদিকে শেরপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, ঘটনার সময় শেরপুর পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো রকম গুলিবর্ষণ করা হয়নি। বর্তমানে চরের নিয়ন্ত্রণ পুলিশের হাতে রয়েছে।
No comments