ভারতে কোর্ট মার্শালের রায় খারিজ হতে পারে
ভারতে ‘কোর্ট মার্শাল’-এর রায়ের বিরুদ্ধে
উচ্চ আদালতে আপিল করলে ওই রায় খারিজ হতে পারে। এত দিন কোর্ট মার্শালের
রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা গেলেও সেখানে প্রধানত রায়ের আইনি দিকটি
খতিয়ে দেখা হতো। নতুন করে মামলার শুনানি হতো না।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র উইং কমান্ডার মহেশ উপসনি জানান, সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর চাকরিসংক্রান্ত যে মামলাগুলো এত দিন সাধারণত নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টে বিচার হতো, সেগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য এবার ‘আর্মড ফোর্সেস ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা হয়েছে। ওই ট্রাইব্যুনালে কোর্ট মার্শালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে, যেখানে গোটা মামলার নতুন করে শুনানি হবে।
কলকাতায় হেস্টিংসে সেনা অফিসারদের পুরোনো কোয়ার্টার্সের সাজসজ্জা বদলে তৈরি করা হয়েছে ওই ট্রাইব্যুনালের আদালত কক্ষ। নতুন এই ট্রাইব্যুনালের ডিভিশন বেঞ্চের দায়িত্বে থাকছেন কলকাতা হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি সাধনকুমার গুপ্ত এবং সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মদন গোপাল।
এই আদালতে কোর্ট মার্শালের রায়েরও পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছেন সাধনকুমার গুপ্ত। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগে জন্মু-কাশ্মীরে এক সেনা জওয়ান এক সেনা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই জওয়ানের বক্তব্য ছিল, মুখ ঢেকে রাখা ওই কর্মকর্তার কাছে তিনি পরিচয় জানতে চান। কিন্তু ওই কর্মকর্তা পরিচয় না দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি গুলি চালান। কোর্ট মার্শালে ওই জওয়ানকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সম্প্রতি দিল্লিতে এই ট্রাইব্যুনালে কোর্ট মার্শালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন ওই সেনা জওয়ান। ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কলকাতা হাইকোর্টের সাবেক মুখ্য বিচারপতি অশোক মাথুর তাঁকে খালাস করে দেন।’
সাধনকুমার গুপ্ত বলেন, কোর্ট মার্শালের রায় অপছন্দ হলেও এত দিন তা মুখ বুজে সহ্য করা হতো। এবার আপিলের সুযোগ পাবেন সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা। সেনা সূত্র জানায়, কোর্ট মার্শালে হুঁশিয়ারি থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত সাজা দেওয়া হয়ে থাকে। গুপ্তচরবৃত্তি বা দেশের নিরাপত্তার ক্ষতি করলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার উদাহরণও রয়েছে।
সেনা সূত্র আরও জানায়, রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষের সঙ্গে গণ্ডগোলে লিপ্ত হওয়া বা অন্য কোনো আইন ভাঙলে জওয়ান বা কর্মকর্তার বিচার সাধারণ আদালতে যেমন হচ্ছিল তেমনই চলবে। কিন্তু তাঁদের পদোন্নতি, পেনশন-সংক্রান্ত বহু অভিযোগও জমা পড়ত সাধারণ আদালতে। এবার সেগুলোর বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খন্ড এবং আন্দামান নিকোবরও রয়েছে কলকাতা ট্রাইব্যুনালের অধীনে। সব মিলিয়ে প্রায় এক হাজারেরও বেশি মামলা জমে আছে। ট্রাইব্যুনালের বিচারে সন্তুষ্ট না হলে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা যাবে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র উইং কমান্ডার মহেশ উপসনি জানান, সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর চাকরিসংক্রান্ত যে মামলাগুলো এত দিন সাধারণত নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টে বিচার হতো, সেগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য এবার ‘আর্মড ফোর্সেস ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা হয়েছে। ওই ট্রাইব্যুনালে কোর্ট মার্শালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে, যেখানে গোটা মামলার নতুন করে শুনানি হবে।
কলকাতায় হেস্টিংসে সেনা অফিসারদের পুরোনো কোয়ার্টার্সের সাজসজ্জা বদলে তৈরি করা হয়েছে ওই ট্রাইব্যুনালের আদালত কক্ষ। নতুন এই ট্রাইব্যুনালের ডিভিশন বেঞ্চের দায়িত্বে থাকছেন কলকাতা হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি সাধনকুমার গুপ্ত এবং সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মদন গোপাল।
এই আদালতে কোর্ট মার্শালের রায়েরও পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছেন সাধনকুমার গুপ্ত। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগে জন্মু-কাশ্মীরে এক সেনা জওয়ান এক সেনা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই জওয়ানের বক্তব্য ছিল, মুখ ঢেকে রাখা ওই কর্মকর্তার কাছে তিনি পরিচয় জানতে চান। কিন্তু ওই কর্মকর্তা পরিচয় না দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি গুলি চালান। কোর্ট মার্শালে ওই জওয়ানকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সম্প্রতি দিল্লিতে এই ট্রাইব্যুনালে কোর্ট মার্শালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন ওই সেনা জওয়ান। ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কলকাতা হাইকোর্টের সাবেক মুখ্য বিচারপতি অশোক মাথুর তাঁকে খালাস করে দেন।’
সাধনকুমার গুপ্ত বলেন, কোর্ট মার্শালের রায় অপছন্দ হলেও এত দিন তা মুখ বুজে সহ্য করা হতো। এবার আপিলের সুযোগ পাবেন সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা। সেনা সূত্র জানায়, কোর্ট মার্শালে হুঁশিয়ারি থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত সাজা দেওয়া হয়ে থাকে। গুপ্তচরবৃত্তি বা দেশের নিরাপত্তার ক্ষতি করলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার উদাহরণও রয়েছে।
সেনা সূত্র আরও জানায়, রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষের সঙ্গে গণ্ডগোলে লিপ্ত হওয়া বা অন্য কোনো আইন ভাঙলে জওয়ান বা কর্মকর্তার বিচার সাধারণ আদালতে যেমন হচ্ছিল তেমনই চলবে। কিন্তু তাঁদের পদোন্নতি, পেনশন-সংক্রান্ত বহু অভিযোগও জমা পড়ত সাধারণ আদালতে। এবার সেগুলোর বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খন্ড এবং আন্দামান নিকোবরও রয়েছে কলকাতা ট্রাইব্যুনালের অধীনে। সব মিলিয়ে প্রায় এক হাজারেরও বেশি মামলা জমে আছে। ট্রাইব্যুনালের বিচারে সন্তুষ্ট না হলে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা যাবে।
No comments