মহান বিজয়ের মাস -সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে
নতুন আশা, উদ্দীপনা, স্বপ্ন নিয়ে ফিরে এল ডিসেম্বর—মহান বিজয়ের মাস। তিরিশ লাখ শহীদ, দুই লাখ নিপীড়িত-অত্যাচারিত মা-বোনসহ মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে যাঁরা পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাকে সম্ভব করেছিলেন, এই মাসজুড়ে তাঁদের সবাইকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার নানা উদেযাগ-আয়োজন চলবে। সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের পেছনের মূল স্বপ্ন ও লক্ষ্য অর্জনের অঙ্গীকার ও প্রেরণা নবায়নের মাসও এই ডিসেম্বর।
স্বাধীনতাসংগ্রামে ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের মতো সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম ডিসেম্বর। সরকারের বিভিন্নমুখী ঘোষণা, পরিকল্পনা, উদেযাগ ও তত্পরতার মধ্য দিয়ে প্রতীয়মান হয়, মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা নানাভাবে অবদান রেখেছেন, তাঁদের যথাযোগ্য সম্মান জানানোর আন্তরিক আগ্রহ রয়েছে এ সরকারের।
যেমন, গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন, ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানিত নাগরিকের মর্যাদায় রেল, বাস ও লঞ্চে বিনামূল্যে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকের (ভিআইপি) মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। ইতিমধ্যে ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ও ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। শহীদ ও যুদ্ধাহত পরিবারগুলোর জন্য রেশনব্যবস্থা চালুর কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, তাঁদের সন্তানদের জন্য সরকারি-আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির কোটা এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য কোটা সংরক্ষণের ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষা ও ভবিষ্যত্ প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের মহান ইতিহাস-ঐতিহ্যের মূর্ত প্রতীক হিসেবে স্মারক, স্মৃতিস্তম্ভ ইত্যাদি স্থাপনের উদ্যোগও চলছে।
তবে একটি উদেযাগে বিলম্ব ঘটছে, যা নিয়ে কিছু হতাশা, কিছু নেতিবাচক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ লক্ষ করা যাচ্ছে। সেটি হলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে এ বিষয়টি অন্যতম বড় অঙ্গীকার ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে সরকারের মন্ত্রী-সাংসদদের অনেক বক্তৃতা-বিবৃতি শোনা গেলেও প্রকৃত কাজ এখনো শুরু করা হয়নি। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম থেকে হতাশা ব্যক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। এখন এ সংগঠনের তত্পরতা কিছুটা ঝিমিয়ে এসেছে বলে মনে হয়। সরকারি সূত্রে একবার সংবাদমাধ্যমে খবর বেরোল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে কিছু বিদেশি মহলের চাপ আছে; তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো চাপেই সরকার পিছপা হবে না। আসলে পিছপা হওয়ার কোনো উপায় নেই, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতেই হবে। ১৯৭৩ সালের ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার ক্রাইম (ট্রাইব্যুনাল) কার্যকর রয়েছে; সে আইনের আওতায় যেসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হয়েছিল, যাঁরা নিম্ন আদালতের রায়ে দণ্ডিত হয়েছিলেন, কিন্তু পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পর ক্ষমা পেয়েছিলেন, তাঁদের সম্পর্কিত নথিপত্র পুনরুদ্ধার ও পর্যালোচনা করে বিচার ও দণ্ড প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা, বিশেষত চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচার শুরু করা উচিত।
এই অসম্পন্ন কাজগুলো করার সঙ্গে সঙ্গে বিজয়ের এই মাসে যে বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত, তা হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বপ্নের বাস্তবায়ন, যা থেকে আমরা এখনো অনেক দূরে রয়েছি। সেই চেতনা ও স্বপ্ন হলো এক সুখী, সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও শান্তিময় বাংলাদেশ। আমাদের সব কর্মতত্পরতার চূড়ান্ত লক্ষ্য হওয়া উচিত সেই বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
স্বাধীনতাসংগ্রামে ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের মতো সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম ডিসেম্বর। সরকারের বিভিন্নমুখী ঘোষণা, পরিকল্পনা, উদেযাগ ও তত্পরতার মধ্য দিয়ে প্রতীয়মান হয়, মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা নানাভাবে অবদান রেখেছেন, তাঁদের যথাযোগ্য সম্মান জানানোর আন্তরিক আগ্রহ রয়েছে এ সরকারের।
যেমন, গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন, ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানিত নাগরিকের মর্যাদায় রেল, বাস ও লঞ্চে বিনামূল্যে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকের (ভিআইপি) মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। ইতিমধ্যে ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ও ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। শহীদ ও যুদ্ধাহত পরিবারগুলোর জন্য রেশনব্যবস্থা চালুর কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, তাঁদের সন্তানদের জন্য সরকারি-আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির কোটা এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য কোটা সংরক্ষণের ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষা ও ভবিষ্যত্ প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের মহান ইতিহাস-ঐতিহ্যের মূর্ত প্রতীক হিসেবে স্মারক, স্মৃতিস্তম্ভ ইত্যাদি স্থাপনের উদ্যোগও চলছে।
তবে একটি উদেযাগে বিলম্ব ঘটছে, যা নিয়ে কিছু হতাশা, কিছু নেতিবাচক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ লক্ষ করা যাচ্ছে। সেটি হলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে এ বিষয়টি অন্যতম বড় অঙ্গীকার ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে সরকারের মন্ত্রী-সাংসদদের অনেক বক্তৃতা-বিবৃতি শোনা গেলেও প্রকৃত কাজ এখনো শুরু করা হয়নি। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম থেকে হতাশা ব্যক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। এখন এ সংগঠনের তত্পরতা কিছুটা ঝিমিয়ে এসেছে বলে মনে হয়। সরকারি সূত্রে একবার সংবাদমাধ্যমে খবর বেরোল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে কিছু বিদেশি মহলের চাপ আছে; তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো চাপেই সরকার পিছপা হবে না। আসলে পিছপা হওয়ার কোনো উপায় নেই, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতেই হবে। ১৯৭৩ সালের ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার ক্রাইম (ট্রাইব্যুনাল) কার্যকর রয়েছে; সে আইনের আওতায় যেসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হয়েছিল, যাঁরা নিম্ন আদালতের রায়ে দণ্ডিত হয়েছিলেন, কিন্তু পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পর ক্ষমা পেয়েছিলেন, তাঁদের সম্পর্কিত নথিপত্র পুনরুদ্ধার ও পর্যালোচনা করে বিচার ও দণ্ড প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা, বিশেষত চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচার শুরু করা উচিত।
এই অসম্পন্ন কাজগুলো করার সঙ্গে সঙ্গে বিজয়ের এই মাসে যে বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত, তা হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বপ্নের বাস্তবায়ন, যা থেকে আমরা এখনো অনেক দূরে রয়েছি। সেই চেতনা ও স্বপ্ন হলো এক সুখী, সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও শান্তিময় বাংলাদেশ। আমাদের সব কর্মতত্পরতার চূড়ান্ত লক্ষ্য হওয়া উচিত সেই বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
No comments