যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে তিন কোটি লোক সরকারি খাদ্য সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল
যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে তিন কোটি জনগোষ্ঠী
এখন সরকারি খাদ্য সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। ‘ফুড স্টাম্প’ নামে বহুল পরিচিত
সরকারি খাদ্য সহযোগিতার পরিসর সম্প্রতি আরও বিস্তৃত করা হয়েছে। অর্থনৈতিক
মন্দার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সচ্ছল অঞ্চল হিসেবে পরিচিত এলাকাগুলোয়ও এখন
ফুড স্টাম্প গ্রহণের লম্বা লাইন।
একসময়ের বহুল সমালোচিত সরকারি এ খাদ্য সহযোগিতা গ্রহীতার সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রতি আটজন বয়স্ক নাগরিকের মধ্যে একজন এবং প্রতি চার শিশুর মধ্যে একজন এখন ফুড স্টাম্প গ্রহীতা।
দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে খাদ্য সহযোগিতা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত ফুড স্টাম্প কর্মসূচি দীর্ঘদিন থেকে চালু রয়েছে। নিম্ন আয়, দারিদ্র্যসীমার নিচে বা কাছাকাছি অবস্থানের জনগোষ্ঠী ফুড স্টাম্পের জন্য আবেদন করতে পারেন। নারী, বয়স্কজন ও শিশুদের জন্য এর আবেদনপ্রক্রিয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। হঠাত্ কর্মহীন, অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়া পরিবারগুলো সরকারের পক্ষ থেকে এ সহযোগিতা পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। বাসস্থান, চিকিত্সাসেবা বা অন্যান্য জরুরি সরকারি সাহায্যের বাইরে কেবল খাদ্য সহযোগিতার জন্য প্রতিজনকে গড়ে ১৩০ ডলারের অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। নগদ অর্থ দেওয়ার পরিবর্তে অনুদান গ্রহণকারীকে এখন কার্ড প্রদান করা হয়। ক্রেডিট কার্ডের মতো ব্যবহার করে নাগরিকেরা কেবল খাদ্যসামগ্রী কিনতে পারেন।
ফুড স্টাম্প কর্মসূচির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকে সোচ্চার একটি মহল। মানবিক ও কল্যাণকর কর্মসূচি হিসেবে ফুড স্টাম্প অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কাছে পরিচিত। যদিও রক্ষণশীলেরা মনে করে, এ কর্মসূচি দীর্ঘস্থায়ী জনকল্যাণে একটি ব্যর্থ আয়োজন। ফুড স্টাম্প অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে আরও কর্মবিমুখ করে তোলে। তাদের মতে, সরকারি এ খাদ্য সহযোগিতা গ্রহণকারীরা দিনের পর দিন কর্মহীন থাকায় ও অতি ভোজনের ফলে ডায়াবেটিক, স্থূলতাসহ নানা রোগের শিকার হচ্ছে। এসব জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার জন্যও সরকারকে সহযোগিতা প্রদান করতে হয়। ফুড স্টাম্প ঢালাওভাবে চালুর পরিণামে স্থায়ীভাবে ব্যাপক কর্মহীন ও অতি ভোজনকারী জনগোষ্ঠীর সৃষ্টি হবে। খয়রাতি বরাদ্দের ব্যয়বহুল চক্রে ব্যয় হবে কর্মক্ষম ও করদাতা নাগরিকদের উপার্জনের অর্থ।
এসব সমালোচনা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সময় ফুড স্টাম্প কর্মসূচি ব্যাপকভাবে চালু হয়। রক্ষণশীলদের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ এ কর্মসূচিকে আরও বিস্তৃত করেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় ফুড স্টাম্প অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য একটি নিরাপত্তার কর্মসূচি হিসেবে মনে করা হচ্ছে। ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক মন্দা তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুড স্টাম্পের জন্য রাজ্য সরকারগুলো কেন্দ্র থেকে বর্ধিত বরাদ্দ পাচ্ছে। উদারনৈতিক মহল ফুড স্টাম্পকে পুষ্টি কর্মসূচি হিসেবে এখনো আখ্যায়িত করেন।
নিউইয়র্ক টাইমস গত রোববার এ-সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ফুড স্টাম্পের জন্য প্রতিদিন নতুন করে ২০ হাজার লোকের আবেদন জমা পড়ছে। ফুড স্টাম্পের জন্য যোগ্য জনগোষ্ঠীকে আবেদনের জন্য উত্সাহিত করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। ওবামা প্রশাসনের কৃষিবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী কেভিন কনকেনন বলেছেন, ‘সরকারি পরিসংখ্যান মতে দেশের আরও দেড় কোটি জনগোষ্ঠী ফুড স্টাম্প পাওয়ার যোগ্য।’
যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনগোষ্ঠীর ১২ শতাংশ এখন সরকারের খাদ্য সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল।রক্ষণশীল সংগঠন হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র রবার্ট রেকটর সরকারি খাদ্য সহযোগিতার সমালোচনা করে বলেন, দারিদ্র্যবিরোধী দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ে কর্মসূচিটি ক্ষতিকর। তিনি বলেন, এধরণের সহযোগিতা লোকজনকে কর্মবিমুখ করে তোলে।
একসময়ের বহুল সমালোচিত সরকারি এ খাদ্য সহযোগিতা গ্রহীতার সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রতি আটজন বয়স্ক নাগরিকের মধ্যে একজন এবং প্রতি চার শিশুর মধ্যে একজন এখন ফুড স্টাম্প গ্রহীতা।
দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে খাদ্য সহযোগিতা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত ফুড স্টাম্প কর্মসূচি দীর্ঘদিন থেকে চালু রয়েছে। নিম্ন আয়, দারিদ্র্যসীমার নিচে বা কাছাকাছি অবস্থানের জনগোষ্ঠী ফুড স্টাম্পের জন্য আবেদন করতে পারেন। নারী, বয়স্কজন ও শিশুদের জন্য এর আবেদনপ্রক্রিয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। হঠাত্ কর্মহীন, অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়া পরিবারগুলো সরকারের পক্ষ থেকে এ সহযোগিতা পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। বাসস্থান, চিকিত্সাসেবা বা অন্যান্য জরুরি সরকারি সাহায্যের বাইরে কেবল খাদ্য সহযোগিতার জন্য প্রতিজনকে গড়ে ১৩০ ডলারের অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। নগদ অর্থ দেওয়ার পরিবর্তে অনুদান গ্রহণকারীকে এখন কার্ড প্রদান করা হয়। ক্রেডিট কার্ডের মতো ব্যবহার করে নাগরিকেরা কেবল খাদ্যসামগ্রী কিনতে পারেন।
ফুড স্টাম্প কর্মসূচির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকে সোচ্চার একটি মহল। মানবিক ও কল্যাণকর কর্মসূচি হিসেবে ফুড স্টাম্প অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কাছে পরিচিত। যদিও রক্ষণশীলেরা মনে করে, এ কর্মসূচি দীর্ঘস্থায়ী জনকল্যাণে একটি ব্যর্থ আয়োজন। ফুড স্টাম্প অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে আরও কর্মবিমুখ করে তোলে। তাদের মতে, সরকারি এ খাদ্য সহযোগিতা গ্রহণকারীরা দিনের পর দিন কর্মহীন থাকায় ও অতি ভোজনের ফলে ডায়াবেটিক, স্থূলতাসহ নানা রোগের শিকার হচ্ছে। এসব জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার জন্যও সরকারকে সহযোগিতা প্রদান করতে হয়। ফুড স্টাম্প ঢালাওভাবে চালুর পরিণামে স্থায়ীভাবে ব্যাপক কর্মহীন ও অতি ভোজনকারী জনগোষ্ঠীর সৃষ্টি হবে। খয়রাতি বরাদ্দের ব্যয়বহুল চক্রে ব্যয় হবে কর্মক্ষম ও করদাতা নাগরিকদের উপার্জনের অর্থ।
এসব সমালোচনা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সময় ফুড স্টাম্প কর্মসূচি ব্যাপকভাবে চালু হয়। রক্ষণশীলদের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ এ কর্মসূচিকে আরও বিস্তৃত করেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় ফুড স্টাম্প অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য একটি নিরাপত্তার কর্মসূচি হিসেবে মনে করা হচ্ছে। ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক মন্দা তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুড স্টাম্পের জন্য রাজ্য সরকারগুলো কেন্দ্র থেকে বর্ধিত বরাদ্দ পাচ্ছে। উদারনৈতিক মহল ফুড স্টাম্পকে পুষ্টি কর্মসূচি হিসেবে এখনো আখ্যায়িত করেন।
নিউইয়র্ক টাইমস গত রোববার এ-সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ফুড স্টাম্পের জন্য প্রতিদিন নতুন করে ২০ হাজার লোকের আবেদন জমা পড়ছে। ফুড স্টাম্পের জন্য যোগ্য জনগোষ্ঠীকে আবেদনের জন্য উত্সাহিত করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। ওবামা প্রশাসনের কৃষিবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী কেভিন কনকেনন বলেছেন, ‘সরকারি পরিসংখ্যান মতে দেশের আরও দেড় কোটি জনগোষ্ঠী ফুড স্টাম্প পাওয়ার যোগ্য।’
যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনগোষ্ঠীর ১২ শতাংশ এখন সরকারের খাদ্য সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল।রক্ষণশীল সংগঠন হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র রবার্ট রেকটর সরকারি খাদ্য সহযোগিতার সমালোচনা করে বলেন, দারিদ্র্যবিরোধী দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ে কর্মসূচিটি ক্ষতিকর। তিনি বলেন, এধরণের সহযোগিতা লোকজনকে কর্মবিমুখ করে তোলে।
No comments