আবার উজ্জীবিত বাংলাদেশ
খেলা শেষ। বাংলাদেশ দলের ড্রেসিং রুমেও বইছে আনন্দের ঢেউ। আমিনুল, রজনী, ওয়ালী, ফয়সালরা কমলালেবুর খোসা ছড়িয়ে মুখে দিচ্ছেন। চোখে-মুখে আত্মতৃপ্তির ছোঁয়া। উরুতে বরফ লাগাতে ব্যস্ত এমিলির মুখে নেই এতটুকু ক্লান্তির ছাপ। থাকে কী করে, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে যে সাফ ফুটবলের সেমিফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ।
এই জয়ে বড় অবদান স্ট্রাইকার এনামুলের। ভুটানের বিপক্ষে দুই গোলের পর কাল দুই গোল—তিন ম্যাচে করে ফেললেন চার গোল। তবে এনামুল ব্যক্তিগত লক্ষ্যের চেয়ে দলের লক্ষ্যটাই বড় করে দেখতে চাইলেন ম্যাচের পর, ‘আমার কাজ গোল করা। গোল পাচ্ছি। এতেই আমি খুশি। তবে দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে আরও ভূমিকা রাখতে চাই আমি।’
এনামুল কাল দুটি গোল করলেও অপচয় করেছেন কয়েকটি। এ কারণে কোচ সাহীদুর রহমান সান্টু পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন বলে মনে হলো, ‘ওর কাছে যেমনটি আশা করছি, সেটা এখনো পাইনি। গোলের সহজ কয়েকটি সুযোগ মিস করেছেন। ওকে নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।’
এনামুল অবশ্য গোল মিসকে খেলার অংশই দেখতে চান, ‘স্ট্রাইকার কখনো মিস করবে, আবার গোল করবে, এটাই তো খেলার অংশ।’
গত ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক খেলে ড্র করেছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু কাল মাঠে ছিল আক্রমণাত্মক এক বাংলাদেশ। সান্টু বললেন, ‘আমরা এই ম্যাচে ছক পরিবর্তন করেছি। আক্রমণাত্মক খেলেছি। এটাই জয়ের কারণ বলে মনে করি।’
দিনের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান ৭-০ গোলে ভুটানকে হারানোর পর একটু চাপেই পড়ে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে উঠতে হলে অন্তত ড্র করতেই হতো। তবে এটা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না সান্টু, ‘আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, কমপক্ষে ১ পয়েন্ট এই ম্যাচ থেকে পাবই। তাই কোনো রকম চাপটাপ অনুভব করিনি।’
দুই জয় নিয়ে আগেই সেমিতে উঠে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচে তাই নির্ভারই তারা। তারপরও বাংলাদেশের কাছে হারতে চায়নি। চেয়েছে এক পয়েন্ট, সেটি পেলেই হয়ে যেত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। শেষ পর্যন্ত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে না পেরে হতাশই মনে হলো শ্রীলঙ্কা দলকে।
ট্রেনার সুমিত ওয়ালপোলা সংবাদ সম্মেলনে এসে বললেন, ‘আমরা আমাদের অধিনায়কসহ ছয়জন খেলোয়াড়কে মাঠে নামাতে পারিনি। জ্বরে ভুগছেন অধিনায়ক। ইনজুরি আছে আরও দু-তিনজনের। সেরা একাদশটা নামাতে পারিনি বলেই এই হার।’ তবে প্রশংসা করলেন বাংলাদেশ দলের, ‘এই ম্যাচে বাংলাদেশ চাপে ছিল। তারা নিজেদের সেরা ফুটবল খেলেই সেমিফাইনালে উঠেছে। ঘরের মাঠের সুবিধাটা বাংলাদেশ দল কাজে লাগিয়েছে।’
১১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপের সঙ্গে খেলবে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। সেই রানার্সআপ ঠিক হবে আজ। ভারত-মালদ্বীপ ম্যাচের পরই ঠিক হবে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ। আজ মালদ্বীপ জিতলে ভারতকে পাবে বাংলাদেশ। ড্র হলে মালদ্বীপকে পাবে।
মালদ্বীপ ভারতের কাছে এক গোলে হারলে এবং আগের ম্যাচে নেপাল আফগানিস্তানকে তিন গোলে হারালে গোলগড়ে গ্রুপ রানার্সআপ হবে নেপাল। তবে সেমিফাইনালে যে দলই আসুক, বাংলাদেশ প্রস্তুত আছে বললেন সান্টু, ‘নির্দিষ্ট কোনো দলকে সেমিফাইনালে চাই না। যে-ই আসুক, তাদের হারানোর ক্ষমতা আছে আমাদের।
এই জয়ে বড় অবদান স্ট্রাইকার এনামুলের। ভুটানের বিপক্ষে দুই গোলের পর কাল দুই গোল—তিন ম্যাচে করে ফেললেন চার গোল। তবে এনামুল ব্যক্তিগত লক্ষ্যের চেয়ে দলের লক্ষ্যটাই বড় করে দেখতে চাইলেন ম্যাচের পর, ‘আমার কাজ গোল করা। গোল পাচ্ছি। এতেই আমি খুশি। তবে দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে আরও ভূমিকা রাখতে চাই আমি।’
এনামুল কাল দুটি গোল করলেও অপচয় করেছেন কয়েকটি। এ কারণে কোচ সাহীদুর রহমান সান্টু পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন বলে মনে হলো, ‘ওর কাছে যেমনটি আশা করছি, সেটা এখনো পাইনি। গোলের সহজ কয়েকটি সুযোগ মিস করেছেন। ওকে নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।’
এনামুল অবশ্য গোল মিসকে খেলার অংশই দেখতে চান, ‘স্ট্রাইকার কখনো মিস করবে, আবার গোল করবে, এটাই তো খেলার অংশ।’
গত ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক খেলে ড্র করেছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু কাল মাঠে ছিল আক্রমণাত্মক এক বাংলাদেশ। সান্টু বললেন, ‘আমরা এই ম্যাচে ছক পরিবর্তন করেছি। আক্রমণাত্মক খেলেছি। এটাই জয়ের কারণ বলে মনে করি।’
দিনের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান ৭-০ গোলে ভুটানকে হারানোর পর একটু চাপেই পড়ে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে উঠতে হলে অন্তত ড্র করতেই হতো। তবে এটা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না সান্টু, ‘আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, কমপক্ষে ১ পয়েন্ট এই ম্যাচ থেকে পাবই। তাই কোনো রকম চাপটাপ অনুভব করিনি।’
দুই জয় নিয়ে আগেই সেমিতে উঠে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচে তাই নির্ভারই তারা। তারপরও বাংলাদেশের কাছে হারতে চায়নি। চেয়েছে এক পয়েন্ট, সেটি পেলেই হয়ে যেত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। শেষ পর্যন্ত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে না পেরে হতাশই মনে হলো শ্রীলঙ্কা দলকে।
ট্রেনার সুমিত ওয়ালপোলা সংবাদ সম্মেলনে এসে বললেন, ‘আমরা আমাদের অধিনায়কসহ ছয়জন খেলোয়াড়কে মাঠে নামাতে পারিনি। জ্বরে ভুগছেন অধিনায়ক। ইনজুরি আছে আরও দু-তিনজনের। সেরা একাদশটা নামাতে পারিনি বলেই এই হার।’ তবে প্রশংসা করলেন বাংলাদেশ দলের, ‘এই ম্যাচে বাংলাদেশ চাপে ছিল। তারা নিজেদের সেরা ফুটবল খেলেই সেমিফাইনালে উঠেছে। ঘরের মাঠের সুবিধাটা বাংলাদেশ দল কাজে লাগিয়েছে।’
১১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপের সঙ্গে খেলবে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। সেই রানার্সআপ ঠিক হবে আজ। ভারত-মালদ্বীপ ম্যাচের পরই ঠিক হবে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ। আজ মালদ্বীপ জিতলে ভারতকে পাবে বাংলাদেশ। ড্র হলে মালদ্বীপকে পাবে।
মালদ্বীপ ভারতের কাছে এক গোলে হারলে এবং আগের ম্যাচে নেপাল আফগানিস্তানকে তিন গোলে হারালে গোলগড়ে গ্রুপ রানার্সআপ হবে নেপাল। তবে সেমিফাইনালে যে দলই আসুক, বাংলাদেশ প্রস্তুত আছে বললেন সান্টু, ‘নির্দিষ্ট কোনো দলকে সেমিফাইনালে চাই না। যে-ই আসুক, তাদের হারানোর ক্ষমতা আছে আমাদের।
No comments