মানবাধিকার পরিস্থিতি -বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করতে হবে
১৯৪৮ সালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণার পর থেকে প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস পালিত হয়ে আসছে। তাতে দেশের ও বহির্বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি যে সন্তোষজনক, তা বলা যাবে না। ক্ষমতাধর দেশগুলো যখন মানবাধিকার নিয়ে হরহামেশা নসিহত করছে, তখনো ইরাক-আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে নিরস্ত্র ও নিরপরাধ মানুষ যুদ্ধের শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশেও সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার রক্ষায় সচেষ্ট বলে দাবি করেছে। তার পরও মানবাধিকার পরিস্থিতির যে আশানুরূপ উন্নতি হয়নি, তার প্রমাণ পাওয়া গেল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্যে। সম্প্রতি তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদন পেশকালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ এবং প্রতিটি ঘটনার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন। তাঁর এ দাবির সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশের সুযোগ নেই।
মুখে স্বীকার না করলেও বর্তমান সরকারের আমলে একের পর এক ক্রসফায়ার বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটে চলেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ১০টি ঘটনার তদন্তের ভার নিলেও তাদের নিজস্ব তদন্তকারী কর্মকর্তা নেই। শেষ পর্যন্ত তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারস্থ হতে হয়েছে। এসব তদন্ত প্রতিবেদনে মুখস্থ কথা বলা হয়েছে— ক্রসফায়ারের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ধরনের তদন্ত প্রতিবেদনে যে সত্য উদ্ঘাটিত হবে না, তা হলফ করে বলা যায়। সে ক্ষেত্রে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এখতিয়ারে একদল দক্ষ তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে, যাঁরা সরকার বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ‘পছন্দসই’ প্রতিবেদন দেবেন না।
কোনো সভ্য ও গণতান্ত্রিক সমাজে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চলতে পারে না। অপরাধ যত গুরুতরই হোক না কেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। আদালতে আসামির শাস্তি না হওয়াকে অনেক সময় ক্রসফায়ারের পক্ষে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানো হয়। মাথাব্যথার প্রতিকার নিশ্চয়ই মাথা কেটে ফেলা নয়। আইনি প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রুটি থাকলে আইনসম্মতভাবেই এর সমাধান খুঁজতে হবে, আইনবহির্ভূত কোনো ব্যবস্থায় নয়। পুলিশের দুর্বল তদন্ত প্রতিবেদনের কারণেই চিহ্নিত অপরাধীরা জামিন ও খালাস পেয়ে থাকে—সেই পথ বন্ধ করতে হবে।
আমরা চাই না, দেশে আর একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিও এভাবে ক্রসফায়ার বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হোক। আশা করি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
মুখে স্বীকার না করলেও বর্তমান সরকারের আমলে একের পর এক ক্রসফায়ার বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটে চলেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ১০টি ঘটনার তদন্তের ভার নিলেও তাদের নিজস্ব তদন্তকারী কর্মকর্তা নেই। শেষ পর্যন্ত তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারস্থ হতে হয়েছে। এসব তদন্ত প্রতিবেদনে মুখস্থ কথা বলা হয়েছে— ক্রসফায়ারের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ধরনের তদন্ত প্রতিবেদনে যে সত্য উদ্ঘাটিত হবে না, তা হলফ করে বলা যায়। সে ক্ষেত্রে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এখতিয়ারে একদল দক্ষ তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে, যাঁরা সরকার বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ‘পছন্দসই’ প্রতিবেদন দেবেন না।
কোনো সভ্য ও গণতান্ত্রিক সমাজে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চলতে পারে না। অপরাধ যত গুরুতরই হোক না কেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। আদালতে আসামির শাস্তি না হওয়াকে অনেক সময় ক্রসফায়ারের পক্ষে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানো হয়। মাথাব্যথার প্রতিকার নিশ্চয়ই মাথা কেটে ফেলা নয়। আইনি প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রুটি থাকলে আইনসম্মতভাবেই এর সমাধান খুঁজতে হবে, আইনবহির্ভূত কোনো ব্যবস্থায় নয়। পুলিশের দুর্বল তদন্ত প্রতিবেদনের কারণেই চিহ্নিত অপরাধীরা জামিন ও খালাস পেয়ে থাকে—সেই পথ বন্ধ করতে হবে।
আমরা চাই না, দেশে আর একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিও এভাবে ক্রসফায়ার বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হোক। আশা করি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
No comments