এখন সংসদে ফিরে যাওয়া উচিত -বিএনপির কাউন্সিল
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়জুড়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর দিয়ে যে ঝড়ঝাপটা বয়ে গেছে, তাতে অনেকেরই ধারণা হয়েছিল যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি ও সংহতি ধ্বস্ত হয়েছে; হতাশা, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, সুবিধাবাদ, পলায়নপরতায় দেশের প্রধান বিরোধী দলটি যারপরনাই বিপর্যস্ত। কিন্তু মঙ্গলবার ঢাকায় বিপুল উত্সাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে কাউন্সিল অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দলটির সাংগঠনিক সংহতির লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। এটা শুধু বিএনপির জন্যই নয়, বাংলাদেশের মূলত দুই-দলভিত্তিক গণতন্ত্রের জন্য স্বস্তিদায়ক। কার্যকর ও শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল খুব প্রয়োজন। এ কাউন্সিলের আরেকটি তাত্পর্যপূর্ণ দিক হলো, সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব (আদেশ) আইন অনুযায়ী দলটি তার গঠনতন্ত্রে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনেছে এবং কাউন্সিল সেই পূর্ণাঙ্গ ও স্থায়ী গঠনতন্ত্র অনুমোদন করেছে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনর্নির্বাচিত চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কাউন্সিলে এক দীর্ঘ ভাষণ দিয়েছেন। তাঁর অনেক কথার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি হলো: ১. তিনি বলেছেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করলে সরকারকে তাঁর দল সহযোগিতা করবে; ২. দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ বা চুক্তি করলে তাঁর দল সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলবে। হুঁশিয়ারি বলি বা সাধারণ বার্তাই বলি—এ রকমই হওয়া উচিত প্রধান বিরোধী দলের যথার্থ অবস্থান। জনগণের কল্যাণের কাজে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সহযোগিতা অবশ্যপ্রয়োজন, এখানে বিরোধিতার প্রশ্ন থাকা উচিত নয়। একইভাবে, সরকারের দায়িত্বশীলতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার কাজেও বিরোধী দলের বিরাট ভূমিকা আছে। জনস্বার্থবিরোধী পদক্ষেপ থেকে বিরত রাখতে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন বিরোধী দল করতেই পারে। তবে হরতাল, অবরোধ ইত্যাদি যেসব পন্থা জনজীবনে ভোগান্তি, আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ হয়, সেগুলো পরিহার করতেই হবে। বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সংসদকে কার্যকর করতেও বিএনপি সরকারকে সহযোগিতা করবে। এ অবস্থায় এখন বিএনপির দায়িত্ব হচ্ছে সংসদে ফিরে গিয়ে সরকারের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তাদের অবস্থান তুলে ধরা।
কোনো সংগঠনের জাতীয় কাউন্সিল থেকে প্রত্যাশা থাকে যে সেখানে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি গঠিত হবে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর অনুষ্ঠিত বিএনপির এই জাতীয় কাউন্সিলে তেমনটি ঘটেনি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া, আর তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট। মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ নতুন নেতৃত্ব গঠনের সব ক্ষমতা এককভাবে অর্পণ করা হয়েছে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপর। এটাই এ কাউন্সিলের অপূর্ণাঙ্গতার সবচেয়ে বড় দিক। কাউন্সিলে তারেক রহমানের একটি ভিডিও-ধারণকৃত ভাষণ প্রচার করা হয়েছে। দেখা গেছে, দলে তারেক রহমানের এক ধরনের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তবে অতীতের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে সমাজে তাঁর সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা রয়েছে, এটাও সত্য।
সফল কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে বিএনপি নতুনভাবে কাজ শুরু করবে, দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালনে তত্পর হবে—এটা আমরা আশা করি। খালেদা জিয়া তাঁর ভাষণে সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসকে গণতন্ত্রের শত্রু হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আমরা বিএনপিকে একটি উদারনৈতিক ও গণতান্ত্রিক দল হিসেবেই দেখতে চাই। এখন সবকিছুর আগে তাদের উচিত সংসদে ফিরে যাওয়া।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনর্নির্বাচিত চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কাউন্সিলে এক দীর্ঘ ভাষণ দিয়েছেন। তাঁর অনেক কথার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি হলো: ১. তিনি বলেছেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করলে সরকারকে তাঁর দল সহযোগিতা করবে; ২. দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ বা চুক্তি করলে তাঁর দল সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলবে। হুঁশিয়ারি বলি বা সাধারণ বার্তাই বলি—এ রকমই হওয়া উচিত প্রধান বিরোধী দলের যথার্থ অবস্থান। জনগণের কল্যাণের কাজে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সহযোগিতা অবশ্যপ্রয়োজন, এখানে বিরোধিতার প্রশ্ন থাকা উচিত নয়। একইভাবে, সরকারের দায়িত্বশীলতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার কাজেও বিরোধী দলের বিরাট ভূমিকা আছে। জনস্বার্থবিরোধী পদক্ষেপ থেকে বিরত রাখতে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন বিরোধী দল করতেই পারে। তবে হরতাল, অবরোধ ইত্যাদি যেসব পন্থা জনজীবনে ভোগান্তি, আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ হয়, সেগুলো পরিহার করতেই হবে। বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সংসদকে কার্যকর করতেও বিএনপি সরকারকে সহযোগিতা করবে। এ অবস্থায় এখন বিএনপির দায়িত্ব হচ্ছে সংসদে ফিরে গিয়ে সরকারের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তাদের অবস্থান তুলে ধরা।
কোনো সংগঠনের জাতীয় কাউন্সিল থেকে প্রত্যাশা থাকে যে সেখানে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি গঠিত হবে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর অনুষ্ঠিত বিএনপির এই জাতীয় কাউন্সিলে তেমনটি ঘটেনি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া, আর তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট। মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ নতুন নেতৃত্ব গঠনের সব ক্ষমতা এককভাবে অর্পণ করা হয়েছে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপর। এটাই এ কাউন্সিলের অপূর্ণাঙ্গতার সবচেয়ে বড় দিক। কাউন্সিলে তারেক রহমানের একটি ভিডিও-ধারণকৃত ভাষণ প্রচার করা হয়েছে। দেখা গেছে, দলে তারেক রহমানের এক ধরনের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তবে অতীতের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে সমাজে তাঁর সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা রয়েছে, এটাও সত্য।
সফল কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে বিএনপি নতুনভাবে কাজ শুরু করবে, দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালনে তত্পর হবে—এটা আমরা আশা করি। খালেদা জিয়া তাঁর ভাষণে সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসকে গণতন্ত্রের শত্রু হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আমরা বিএনপিকে একটি উদারনৈতিক ও গণতান্ত্রিক দল হিসেবেই দেখতে চাই। এখন সবকিছুর আগে তাদের উচিত সংসদে ফিরে যাওয়া।
No comments