আম্পায়ারদের ওপর নতুন চাপ
থিয়েরি অঁরির ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবলের পর থেকে রেফারিংয়ে আরও বেশি প্রযুক্তি নিয়ে যখন শোরগোল চলছে, ওদিকে ক্রিকেটের আম্পায়ারিংয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বলছেন, ‘রিভিউ পদ্ধতি’ লাভের চেয়ে ক্ষতিই করছে বেশি। বিতর্কিত সিদ্ধান্তের ফয়সালা তো টানতে পারছেই না, উল্টো এ নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে আরও।
ঘটনার শুরু কাল শেষ হওয়া অ্যাডিলেড টেস্টে। ওই টেস্টের প্রথম দিন শেষে সরে দাঁড়ান আম্পায়ার মার্ক বেনসন। তাঁর জায়গা নেন টিভি আম্পায়ার আসাদ রউফ। তখন আইসিসির তরফ থেকে বলা হয়েছিল, অসুস্থ বোধ করায় এই ইংলিশ আম্পায়ার আর দায়িত্ব পালন করেননি। কিন্তু ইংলিশ পত্রপত্রিকা জানিয়েছিল অন্য খবর। সেই ‘অন্য খবর’টা এবার স্বীকার করে নিল আইসিসিও। সংস্থাটির ক্রিকেট ম্যানেজার ডেভ রিচার্ডসন জানিয়েছেন, শুধু স্বাস্থ্যগত সমস্যাই বেনসনের সরে দাঁড়ানোর একমাত্র কারণ নয়। অন্য কারণটি ছিল ‘চাপ’।
অ্যাডিলেড টেস্টে বেনসনের কিছু সিদ্ধান্ত ‘রিভিউ’ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। টেস্টের প্রথম দিন শিবনারায়ণ চন্দরপলের বিপক্ষে অস্ট্রেলীয়দের কট বিহাইন্ডের জোরালো দুটি আবেদন নাকচ করে দেন বেনসন। দুবারই তাঁর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন রিকি পন্টিং। প্রথমবার টিভি আম্পায়ার বেনসনের পক্ষে রায় দিলে ডগ বলিঞ্জার ও পন্টিং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। দ্বিতীয়বার চন্দরপলের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদনে বেনসন নট আউট বলে দিলে রিভিউ চান পন্টিং। টিভি রিপ্লেতে নিশ্চিত করে কিছু বোঝা না গেলেও টিভি আম্পায়ার আসাদ রউফ আউট দিয়ে দেন। ওয়েবসাইট।
এটাই ক্ষুব্ধ করে তোলে বেনসনকে। যে কারণে শুধু ওই ম্যাচ থেকে নয়, আম্পায়ারদের এলিট প্যানেল থেকেই তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত কাল এক বিবৃতিতে পদত্যাগের গুঞ্জন নাকচ করে দেন তিনি। কেবল ‘স্বাস্থ্যগত কারণে’ই দ্বিতীয় দিন থেকে দায়িত্ব পালন করেননি বলেও জানিয়েছেন বিবৃতিতে। যদিও ওই ঘটনার পর থেকে জোরেশোরে শুরু হয়ে গেছে এই আলোচনা—রিভিউ পদ্ধতি মাঠের আম্পায়ারদের ওপর তৈরি করছে বাড়তি চাপ।
সব আম্পায়ারই এই সমস্যার মুখে। প্রতিটা সিদ্ধান্ত নিতে মানসিক চাপে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। এতে ভুল হওয়ার আশঙ্কা আরও বাড়ছে। সাবেক খ্যাতিমান আম্পায়ার ডিকি বার্ড তাই মনে করেন, এই প্রযুক্তিই সব নষ্টের গোড়া। ৬৬ টেস্ট ও ৬৯টি ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করা বার্ড বলছেন, ‘আমি কখনোই এর পক্ষে নই। এটা মাঠের আম্পায়ারদের কর্তৃত্ব ছিনিয়ে নিচ্ছে এবং এতে সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই হচ্ছে বেশি। আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে আগেও পানশালা কিংবা ক্লাবে আলোচনা হতো। তবে সেটা হতো আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, এটা মেনে নিয়েই।’
এদিকে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই পক্ষই যখন রিভিউ পদ্ধতির সমালোচনায় মুখর, তখন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা দাবি করছেন, মুম্বাইয়ে শেষ টেস্টে তাঁদের পরাজয়ের বড় কারণ হলো রিভিউ পদ্ধতির সুবিধা না থাকা! এদিকে যাঁর কারণে এই বিতর্কের শুরু, সেই পন্টিং কিন্তু কাল সংবাদ সম্মেলনে আম্পায়ারদের প্রতি সমবেদনাই জানালেন। বিষয়টি নিয়ে অ্যাডিলেড টেস্টের দুই আম্পায়ার আসাদ রউফ ও ইয়ান গোল্ডের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন, ‘আমি আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলে পুরো পদ্ধতি সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি আর মতামত জানতে চাই। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কখনো কখনো নিয়ম পরিবর্তনকারী সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আমরা গুরুত্বপূর্ণ লোকদের কথাই ভুলে যাই।’
ঘটনার শুরু কাল শেষ হওয়া অ্যাডিলেড টেস্টে। ওই টেস্টের প্রথম দিন শেষে সরে দাঁড়ান আম্পায়ার মার্ক বেনসন। তাঁর জায়গা নেন টিভি আম্পায়ার আসাদ রউফ। তখন আইসিসির তরফ থেকে বলা হয়েছিল, অসুস্থ বোধ করায় এই ইংলিশ আম্পায়ার আর দায়িত্ব পালন করেননি। কিন্তু ইংলিশ পত্রপত্রিকা জানিয়েছিল অন্য খবর। সেই ‘অন্য খবর’টা এবার স্বীকার করে নিল আইসিসিও। সংস্থাটির ক্রিকেট ম্যানেজার ডেভ রিচার্ডসন জানিয়েছেন, শুধু স্বাস্থ্যগত সমস্যাই বেনসনের সরে দাঁড়ানোর একমাত্র কারণ নয়। অন্য কারণটি ছিল ‘চাপ’।
অ্যাডিলেড টেস্টে বেনসনের কিছু সিদ্ধান্ত ‘রিভিউ’ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। টেস্টের প্রথম দিন শিবনারায়ণ চন্দরপলের বিপক্ষে অস্ট্রেলীয়দের কট বিহাইন্ডের জোরালো দুটি আবেদন নাকচ করে দেন বেনসন। দুবারই তাঁর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন রিকি পন্টিং। প্রথমবার টিভি আম্পায়ার বেনসনের পক্ষে রায় দিলে ডগ বলিঞ্জার ও পন্টিং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। দ্বিতীয়বার চন্দরপলের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদনে বেনসন নট আউট বলে দিলে রিভিউ চান পন্টিং। টিভি রিপ্লেতে নিশ্চিত করে কিছু বোঝা না গেলেও টিভি আম্পায়ার আসাদ রউফ আউট দিয়ে দেন। ওয়েবসাইট।
এটাই ক্ষুব্ধ করে তোলে বেনসনকে। যে কারণে শুধু ওই ম্যাচ থেকে নয়, আম্পায়ারদের এলিট প্যানেল থেকেই তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত কাল এক বিবৃতিতে পদত্যাগের গুঞ্জন নাকচ করে দেন তিনি। কেবল ‘স্বাস্থ্যগত কারণে’ই দ্বিতীয় দিন থেকে দায়িত্ব পালন করেননি বলেও জানিয়েছেন বিবৃতিতে। যদিও ওই ঘটনার পর থেকে জোরেশোরে শুরু হয়ে গেছে এই আলোচনা—রিভিউ পদ্ধতি মাঠের আম্পায়ারদের ওপর তৈরি করছে বাড়তি চাপ।
সব আম্পায়ারই এই সমস্যার মুখে। প্রতিটা সিদ্ধান্ত নিতে মানসিক চাপে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। এতে ভুল হওয়ার আশঙ্কা আরও বাড়ছে। সাবেক খ্যাতিমান আম্পায়ার ডিকি বার্ড তাই মনে করেন, এই প্রযুক্তিই সব নষ্টের গোড়া। ৬৬ টেস্ট ও ৬৯টি ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করা বার্ড বলছেন, ‘আমি কখনোই এর পক্ষে নই। এটা মাঠের আম্পায়ারদের কর্তৃত্ব ছিনিয়ে নিচ্ছে এবং এতে সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই হচ্ছে বেশি। আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে আগেও পানশালা কিংবা ক্লাবে আলোচনা হতো। তবে সেটা হতো আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, এটা মেনে নিয়েই।’
এদিকে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই পক্ষই যখন রিভিউ পদ্ধতির সমালোচনায় মুখর, তখন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা দাবি করছেন, মুম্বাইয়ে শেষ টেস্টে তাঁদের পরাজয়ের বড় কারণ হলো রিভিউ পদ্ধতির সুবিধা না থাকা! এদিকে যাঁর কারণে এই বিতর্কের শুরু, সেই পন্টিং কিন্তু কাল সংবাদ সম্মেলনে আম্পায়ারদের প্রতি সমবেদনাই জানালেন। বিষয়টি নিয়ে অ্যাডিলেড টেস্টের দুই আম্পায়ার আসাদ রউফ ও ইয়ান গোল্ডের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন, ‘আমি আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলে পুরো পদ্ধতি সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি আর মতামত জানতে চাই। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কখনো কখনো নিয়ম পরিবর্তনকারী সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আমরা গুরুত্বপূর্ণ লোকদের কথাই ভুলে যাই।’
No comments