মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মার্কিন নাগরিক হেডলি অভিযুক্ত by ইব্রাহীম চৌধুরী
ভারতের মুম্বাই নগরে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ডেভিড কোলম্যান হেডলির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এফবিআইয়ের হাতে আটক ডেভিড হেডলির বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনাসহ ১২টি অভিযোগ আনা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হেডলির বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মার্কিনদের রক্ষায় তাঁর প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে হেডলির বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ।
গত সোমবার মার্কিন বিচার বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, হত্যা ও সন্ত্রাসী তত্পরতা চালানোর দীর্ঘ পরিকল্পনা ছিল হেডলির। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে বিভিন্ন দেশে সফর করা তাঁর জন্য সহজ ছিল। অনেকটা সন্দেহমুক্ত অবস্থায় আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর হয়ে কাজ করছিলেন তিনি। গত অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে শিকাগো থেকে এফবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করে। বিচার বিভাগ জানায়, ওই সময় হেডলি দ্বিতীয় দফা সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা নিয়ে ভারত সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ওবামার পাশাপাশি আমিও বলছি, মার্কিনিদের রক্ষায় আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। আর আমাদের এ যাত্রায় আজকের দিনটি (সোমবার) গুরুত্বপূর্ণ।’
ওয়াশিংটনে জন্ম নেওয়া হেডলির আগের নাম ছিল দাউদ জিলানি। পাকিস্তানের এক সাবেক কূটনীতিবিদ তাঁর বাবা হলেও শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান মায়ের গর্ভে জন্ম তাঁর। জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলেও পাকিস্তানেই তাঁর কৈশোর কেটেছে। ৪৯ বছর বয়সী হেডলি অনেক আগেই তাঁর নাম পরিবর্তন করেছেন। কর্তৃপক্ষের ধারণা, সন্ত্রাসী এবং জঙ্গিবাদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দীর্ঘ পরিকল্পনা থেকেই নাম পরিবর্তন করেন তিনি।
পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততার খোঁজ পেয়েছে এফবিআই। কার্যত মার্কিন নাগরিক পরিচয়ে পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠীর হয়ে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করছিলেন হেডলি। মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার আগে কয়েক দফা ভারত সফর করেন তিনি। হামলার লক্ষ্যস্থলগুলোর ভিডিও চিত্র, কাছাকাছি নৌ ও সড়কপথের ভিডিও চিত্র গ্রহণ করেন নিছক পর্যটক হিসেবে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ মনে করে, এসব ভিডিও চিত্রের মাধ্যমেই লস্কর-ই-তাইয়েবা মুম্বাই হামলার পরিকল্পনা করে। ২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ছয়জন মার্কিন নাগরিকসহ ১৬৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। সন্ত্রাসী হামলার এ ঘটনার সঙ্গে লস্কর-ই-তাইয়েবা জড়িত বলে ব্যাপকভাবে অভিযোগ ওঠে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষের তদন্তে কানাডার নাগরিক তাহাউর হোসেনের নামও এসেছে। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত তাহাউর হোসেন কানাডার নাগরিক হলেও যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে বসবাস করতেন। ইমিগ্রেশন সার্ভিস নামে তাঁর একটি নামসর্বস্ব ব্যবসার খোঁজ পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। মার্কিন বিচার বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, তাহাউর হোসেন ইমিগ্রেশন সার্ভিসের নামে সহজে ভারত, পাকিস্তানসহ সর্বত্র যাতায়াত করতেন। সন্দেহমুক্ত অবস্থায় জঙ্গি তত্পরতা চালানোর জন্য ব্যবসার ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন তিনি।
হেডলি ও তাহাউরের পাশাপাশি পাকিস্তানের অবসরপ্রাপ্ত এক সামরিক কর্মকর্তাকেও অভিযুক্ত করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুর রেহমান হাশিম সৈয়দসহ এ জঙ্গিগোষ্ঠী ভারতে পুনরায় হামলা চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছিলেন। পাশাপাশি মহানবী (সা.)-কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের জন্য ডেনমার্কের একটি পত্রিকা কার্যালয়েও হামলার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। মার্কিন কর্তৃপক্ষের হাতে হেডলি এবং তাহাউর আটক থাকলেও আব্দুর রেহমান হাশিমের অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি মার্কিন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। ধারণা করা হচ্ছে, হাশিম পাকিস্তানি পুলিশের হেফাজতে আছেন।
গত সোমবার মার্কিন বিচার বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, হত্যা ও সন্ত্রাসী তত্পরতা চালানোর দীর্ঘ পরিকল্পনা ছিল হেডলির। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে বিভিন্ন দেশে সফর করা তাঁর জন্য সহজ ছিল। অনেকটা সন্দেহমুক্ত অবস্থায় আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর হয়ে কাজ করছিলেন তিনি। গত অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে শিকাগো থেকে এফবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করে। বিচার বিভাগ জানায়, ওই সময় হেডলি দ্বিতীয় দফা সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা নিয়ে ভারত সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ওবামার পাশাপাশি আমিও বলছি, মার্কিনিদের রক্ষায় আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। আর আমাদের এ যাত্রায় আজকের দিনটি (সোমবার) গুরুত্বপূর্ণ।’
ওয়াশিংটনে জন্ম নেওয়া হেডলির আগের নাম ছিল দাউদ জিলানি। পাকিস্তানের এক সাবেক কূটনীতিবিদ তাঁর বাবা হলেও শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান মায়ের গর্ভে জন্ম তাঁর। জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলেও পাকিস্তানেই তাঁর কৈশোর কেটেছে। ৪৯ বছর বয়সী হেডলি অনেক আগেই তাঁর নাম পরিবর্তন করেছেন। কর্তৃপক্ষের ধারণা, সন্ত্রাসী এবং জঙ্গিবাদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দীর্ঘ পরিকল্পনা থেকেই নাম পরিবর্তন করেন তিনি।
পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততার খোঁজ পেয়েছে এফবিআই। কার্যত মার্কিন নাগরিক পরিচয়ে পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠীর হয়ে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করছিলেন হেডলি। মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার আগে কয়েক দফা ভারত সফর করেন তিনি। হামলার লক্ষ্যস্থলগুলোর ভিডিও চিত্র, কাছাকাছি নৌ ও সড়কপথের ভিডিও চিত্র গ্রহণ করেন নিছক পর্যটক হিসেবে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ মনে করে, এসব ভিডিও চিত্রের মাধ্যমেই লস্কর-ই-তাইয়েবা মুম্বাই হামলার পরিকল্পনা করে। ২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ছয়জন মার্কিন নাগরিকসহ ১৬৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। সন্ত্রাসী হামলার এ ঘটনার সঙ্গে লস্কর-ই-তাইয়েবা জড়িত বলে ব্যাপকভাবে অভিযোগ ওঠে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষের তদন্তে কানাডার নাগরিক তাহাউর হোসেনের নামও এসেছে। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত তাহাউর হোসেন কানাডার নাগরিক হলেও যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে বসবাস করতেন। ইমিগ্রেশন সার্ভিস নামে তাঁর একটি নামসর্বস্ব ব্যবসার খোঁজ পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। মার্কিন বিচার বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, তাহাউর হোসেন ইমিগ্রেশন সার্ভিসের নামে সহজে ভারত, পাকিস্তানসহ সর্বত্র যাতায়াত করতেন। সন্দেহমুক্ত অবস্থায় জঙ্গি তত্পরতা চালানোর জন্য ব্যবসার ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন তিনি।
হেডলি ও তাহাউরের পাশাপাশি পাকিস্তানের অবসরপ্রাপ্ত এক সামরিক কর্মকর্তাকেও অভিযুক্ত করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুর রেহমান হাশিম সৈয়দসহ এ জঙ্গিগোষ্ঠী ভারতে পুনরায় হামলা চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছিলেন। পাশাপাশি মহানবী (সা.)-কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের জন্য ডেনমার্কের একটি পত্রিকা কার্যালয়েও হামলার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। মার্কিন কর্তৃপক্ষের হাতে হেডলি এবং তাহাউর আটক থাকলেও আব্দুর রেহমান হাশিমের অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি মার্কিন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। ধারণা করা হচ্ছে, হাশিম পাকিস্তানি পুলিশের হেফাজতে আছেন।
No comments