অতিথি হয়ে মিলানে ফিরছেন কাকা
ঘরে ফিরছেন কাকা। এসি মিলান কি এখনো ঘর আছে তাঁর? আছে তো বটেই। ছয় বছর সম্পর্কের শেকড় কি এত দ্রুত উপড়ে ফেলা যায়! যায় না বলেই এখনো এই ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকারের হূদয়ের বড় অংশ জুড়ে মিলানের বাস। যায় না বলেই মিলানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নামার আগে কাকা বলেছিলেন, গোল করলেও কোনো উদ্যাপন তিনি করবেন না।
২১ অক্টোবর কাকার অবশ্য শেষ পর্যন্ত উদ্যাপন করার সুযোগও মেলেনি। সেদিন রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ থেকে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল মিলান। আজ ফিরতি ম্যাচে রিয়াল যখন মাঠে নামছে সানসিরোতে, কাকা যখন অতিথি হয়ে ফিরে এসেছেন তাঁর পুরোনো ঠিকানায়, তখন তাঁর জন্য আনুগত্যের বড় পরীক্ষার মঞ্চ প্রস্তুত। মিলানের বিপক্ষে আজ না জিতলে বড় চাপে পড়ে যাবে রিয়াল। ‘সি’ গ্রুপের অন্য দুই দল অলিম্পিক মার্শেই আর এফসি জুরিখ আজই মুখোমুখি হচ্ছে। এই দুই দলেরই পয়েন্ট ৩। রিয়ালের ৬। রিয়াল হারলে মিলানের পয়েন্ট হবে ৯, মার্শেই-জুরিখ যেই জিতুক, তাদের পয়েন্ট হয়ে যাবে ৬।
বাজেভাবে মৌসুম শুরু করে রিয়ালের বিপক্ষে যেখান থেকে মিলানের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু, ঠিক সেই ম্যাচ থেকেই উল্টো পথে হাঁটা দিয়েছিল রিয়াল। দারুণভাবে শুরু করা একটা মৌসুমে হঠাত্ই এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির দল। মিলানের কাছে হেরে যাওয়ার পর লিগে স্পোর্টিং গিজনের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র, এরপর কিংস কাপে তৃতীয় বিভাগের এক দলের কাছে ০-৪ গোলে হেরে যাওয়ার লজ্জা পেলেগ্রিনির চাকরিটাকেই হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। অনেকে অবশ্য এর সঙ্গে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ইনজুরিজনিত অনুপস্থিতির যোগসূত্রও খুঁজে পেয়েছেন।
তবে স্প্যানিশ লিগে গত ম্যাচেই রিয়াল দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে গঞ্জালো হিগুয়েইনের সৌজন্যে। আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার গত ম্যাচে ১০ জনের দল হয়ে পড়া রিয়ালকে ২-০ গোলের জয় এনে দিয়েছেন গেটাফের বিপক্ষে। মিলান-পরীক্ষার আগে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে অতি জরুরি জয়টা পেয়েছে রিয়াল। পেলেগ্রিনির সবচেয়ে বড় তৃপ্তির জায়গাটা অবশ্য অন্য, ‘আমাকে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি দিচ্ছে উদ্বুদ্ধ হয়ে লড়াই করার মানসিকতা। ভয়াবহ একটা সপ্তাহের পর এই জয়টা ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ ছিল বার্নাব্যুতে ভালো পারফরম্যান্স করাটাও। শুরুতে সমর্থকেরা আমাদের বিদ্রূপ করেছে। কিন্তু এরপর একটা মুহূর্তের জন্যও ওদের সমর্থনে ছেদ পড়েনি।’
এ ম্যাচেও রিয়ালকে মাঠে নামতে হচ্ছে রোনালদোকে ছাড়াই। মহামন্দার কালে ২০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি অর্থ খরচ করে যে দ্বিতীয় গ্যালাকটিকোস রিয়াল তৈরি করেছে, তার প্রায় অর্ধেকটাই গেছে রোনালদোকে কিনতে। এই পর্তুগিজ উইঙ্গার যে আসলেই কতটা দামি, দলে কতটা অপরিহার্য সেটা গত ছয় ম্যাচে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে রিয়াল। রোনালদোবিহীন রিয়াল জিতেছে মাত্র দুটি ম্যাচে, হেরেছে তিনটিতে। কিংস কাপে তৃতীয় বিভাগের অ্যালকরকনের কাছে ০-৪ গোলের লজ্জাটাও এ সময়ই।
চ্যাম্পিয়নস লিগে ২ ম্যাচে ৪ গোল করা রোনালদোর অভাব আজও বোধ করবে রিয়াল। যদিও ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস বলছেন, ‘আমরা সবাই জানি, ও কতটা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। দলের জন্য কত বড় অবদান রাখতে পারে। কিন্তু ও যেহেতু ইনজুরিতে, এই মুহূর্তে তাই ওকে নিয়ে না ভাবাই ভালো। এই বড় দলটায় কারও জন্যই শূন্যস্থান পড়ে থাকে না। ওর জায়গায় খেলার মতো অনেকেই আছে।’
রোনালদোর শূন্যতা বুঝতে না দেওয়ার বড় ভার রাউলের ওপর। আজ মিলান-মাদ্রিদ দ্বৈরথের মধ্যে আরেক দ্বৈরথ হবে রাউল আর ফিলিপ্পো ইনজাগির মধ্যে। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড নিয়ে দুই স্ট্রাইকারের যে দ্বৈরথটা বেশ কিছুদিন ধরেই চলে আসছে। এই ম্যাচের আগে ৬৮ গোল নিয়ে দুজন সমান-সমান।
আজই মাঠে নামছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি, জুভেন্টাস আর বায়ার্ন মিউনিখের মতো বড় ক্লাবগুলোও।
২১ অক্টোবর কাকার অবশ্য শেষ পর্যন্ত উদ্যাপন করার সুযোগও মেলেনি। সেদিন রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ থেকে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল মিলান। আজ ফিরতি ম্যাচে রিয়াল যখন মাঠে নামছে সানসিরোতে, কাকা যখন অতিথি হয়ে ফিরে এসেছেন তাঁর পুরোনো ঠিকানায়, তখন তাঁর জন্য আনুগত্যের বড় পরীক্ষার মঞ্চ প্রস্তুত। মিলানের বিপক্ষে আজ না জিতলে বড় চাপে পড়ে যাবে রিয়াল। ‘সি’ গ্রুপের অন্য দুই দল অলিম্পিক মার্শেই আর এফসি জুরিখ আজই মুখোমুখি হচ্ছে। এই দুই দলেরই পয়েন্ট ৩। রিয়ালের ৬। রিয়াল হারলে মিলানের পয়েন্ট হবে ৯, মার্শেই-জুরিখ যেই জিতুক, তাদের পয়েন্ট হয়ে যাবে ৬।
বাজেভাবে মৌসুম শুরু করে রিয়ালের বিপক্ষে যেখান থেকে মিলানের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু, ঠিক সেই ম্যাচ থেকেই উল্টো পথে হাঁটা দিয়েছিল রিয়াল। দারুণভাবে শুরু করা একটা মৌসুমে হঠাত্ই এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির দল। মিলানের কাছে হেরে যাওয়ার পর লিগে স্পোর্টিং গিজনের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র, এরপর কিংস কাপে তৃতীয় বিভাগের এক দলের কাছে ০-৪ গোলে হেরে যাওয়ার লজ্জা পেলেগ্রিনির চাকরিটাকেই হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। অনেকে অবশ্য এর সঙ্গে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ইনজুরিজনিত অনুপস্থিতির যোগসূত্রও খুঁজে পেয়েছেন।
তবে স্প্যানিশ লিগে গত ম্যাচেই রিয়াল দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে গঞ্জালো হিগুয়েইনের সৌজন্যে। আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার গত ম্যাচে ১০ জনের দল হয়ে পড়া রিয়ালকে ২-০ গোলের জয় এনে দিয়েছেন গেটাফের বিপক্ষে। মিলান-পরীক্ষার আগে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে অতি জরুরি জয়টা পেয়েছে রিয়াল। পেলেগ্রিনির সবচেয়ে বড় তৃপ্তির জায়গাটা অবশ্য অন্য, ‘আমাকে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি দিচ্ছে উদ্বুদ্ধ হয়ে লড়াই করার মানসিকতা। ভয়াবহ একটা সপ্তাহের পর এই জয়টা ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ ছিল বার্নাব্যুতে ভালো পারফরম্যান্স করাটাও। শুরুতে সমর্থকেরা আমাদের বিদ্রূপ করেছে। কিন্তু এরপর একটা মুহূর্তের জন্যও ওদের সমর্থনে ছেদ পড়েনি।’
এ ম্যাচেও রিয়ালকে মাঠে নামতে হচ্ছে রোনালদোকে ছাড়াই। মহামন্দার কালে ২০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি অর্থ খরচ করে যে দ্বিতীয় গ্যালাকটিকোস রিয়াল তৈরি করেছে, তার প্রায় অর্ধেকটাই গেছে রোনালদোকে কিনতে। এই পর্তুগিজ উইঙ্গার যে আসলেই কতটা দামি, দলে কতটা অপরিহার্য সেটা গত ছয় ম্যাচে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে রিয়াল। রোনালদোবিহীন রিয়াল জিতেছে মাত্র দুটি ম্যাচে, হেরেছে তিনটিতে। কিংস কাপে তৃতীয় বিভাগের অ্যালকরকনের কাছে ০-৪ গোলের লজ্জাটাও এ সময়ই।
চ্যাম্পিয়নস লিগে ২ ম্যাচে ৪ গোল করা রোনালদোর অভাব আজও বোধ করবে রিয়াল। যদিও ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস বলছেন, ‘আমরা সবাই জানি, ও কতটা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। দলের জন্য কত বড় অবদান রাখতে পারে। কিন্তু ও যেহেতু ইনজুরিতে, এই মুহূর্তে তাই ওকে নিয়ে না ভাবাই ভালো। এই বড় দলটায় কারও জন্যই শূন্যস্থান পড়ে থাকে না। ওর জায়গায় খেলার মতো অনেকেই আছে।’
রোনালদোর শূন্যতা বুঝতে না দেওয়ার বড় ভার রাউলের ওপর। আজ মিলান-মাদ্রিদ দ্বৈরথের মধ্যে আরেক দ্বৈরথ হবে রাউল আর ফিলিপ্পো ইনজাগির মধ্যে। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড নিয়ে দুই স্ট্রাইকারের যে দ্বৈরথটা বেশ কিছুদিন ধরেই চলে আসছে। এই ম্যাচের আগে ৬৮ গোল নিয়ে দুজন সমান-সমান।
আজই মাঠে নামছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি, জুভেন্টাস আর বায়ার্ন মিউনিখের মতো বড় ক্লাবগুলোও।
No comments