পাকিস্তানে মরিয়া হয়ে লড়ছে উজবেক যোদ্ধারা
তাদের বাসভূমি ছিল মধ্য এশিয়ার উজবেকিস্তান। আর খ্যাতি ছিল যোদ্ধা হিসেবে। কিন্তু তাঁরা এখন মাতৃভূমি থেকে অনেক দূরে। আফগানিস্তানে তালেবান গোষ্ঠী ক্ষমতায় আসার পর তারা ঘাঁটি গেড়েছিল দেশটির উত্তরাঞ্চলে। উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইসলাম করিমভের বিরুদ্ধে তারাও শুরু করেছিল লড়াই। কিন্তু ২০০১ সালে মার্কিন বাহিনীর আগ্রাসনের মুখে তাদের সেখান থেকে সরে যেতে হয়। পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয় পাকিস্তানের উপজাতি এলাকায়।
কিন্তু সেখানে এখন শুরু হয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর তালেবানবিরোধী অভিযান। পাশাপাশি চলছে মার্কিন মনুষ্যবিহীন বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। সব মিলিয়ে জীবন বাঁচাতে এখন মরিয়া হয়ে লড়ছে উজবেক যোদ্ধারা।
বিশ্লেষকেরা জানান, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে উজবেকিস্তানের অভ্যুদয় হওয়ার পর এই বাস্তুহীন উজবেক যোদ্ধাগোষ্ঠী গড়ে ওঠে। ১৯৯১ সালে ইসলামিক মুভমেন্ট অব উজবেকিস্তান (আইএমইউ) নামের সংগঠন তৈরি করে তারা। আফগানিস্তানে তালেবান শাসকগোষ্ঠীর ছত্রচ্ছায়ায় তারা উজবেকিস্তানে প্রেসিডেন্ট ইসলাম করিমভের সরকারের বিরুদ্ধে তত্পরতা শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্র ২০০০ সালে আইএমইউকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। ২০০১ সালে মার্কিন বাহিনী তাদের আফগানিস্তানছাড়া করে। কয়েক হাজার বিদেশি জঙ্গিসহ এসব উজবেক যোদ্ধা আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত এলাকায় এসে আশ্রয় নেয়। পাকিস্তানের উপজাতিরা তাদের আশ্রয় ও সহায়তা দেয়। মার্কিন সামরিক বাহিনীর সূত্র জানায়, ছিনতাই, হত্যা ও অপহরণে জড়িয়ে পড়ায় এসব উজবেক যোদ্ধা স্থানীয়দের আস্থা হারায় এবং তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ দেয়।
গত ১৭ অক্টোবর পাকিস্তানি সেনারা দেশের উত্তরাঞ্চলে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খালিদ রাব্বানি বলেন, ‘দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের শেরাঙ্গি গ্রামে বিদেশি জঙ্গিদের ঘাঁটি। উজবেক যোদ্ধারা এখানে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।’ এ ছাড়া গত শনিবারও কানিগুরামেও সেনাবাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কানিগুরামও উজবেক যোদ্ধাদের শক্ত ঘাঁটি।
পাকিস্তানের উপজাতি এলাকাবিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ রহিমুল্লাহ ইউসুফজাই বলেন, ‘এসব উজবেক যোদ্ধা কোনো নির্দিষ্ট আদর্শ বা লক্ষ্য নিয়ে লড়াই করছে না। বেঁচে থাকার জন্যই তারা তালেবানের সঙ্গে যোগ দিয়েছে এবং লড়ছে। আমি মনে করি না তারা (উজবেক) সেখানে অবস্থান ধরে রাখবে এবং মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। বরং তারা পালানোর চেষ্টা করবে।’
পাকিস্তানের উপজাতি এলাকার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান মাহমুদ শাহ বলেন, উজবেকিস্তানে কিছু অস্থিরতা থাকলেও নিজেদের দেশে তেমন কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি এই উজবেক যোদ্ধারা। যোদ্ধা হিসেবে তারা তুখোর। কিন্তু মাতৃভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাদের জীবন এখন উদ্দেশ্যহীন হয়ে পড়েছে। এখন কোনো লক্ষ্য ছাড়াই তারা লড়ছে। মাহমুদ শাহ আরও বলেন, উজবেক যোদ্ধারা বুঝে গেছে, তাদের যাওয়ার কোনো স্থান নেই, তাই তারা এখন মরিয়া।
কিন্তু সেখানে এখন শুরু হয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর তালেবানবিরোধী অভিযান। পাশাপাশি চলছে মার্কিন মনুষ্যবিহীন বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। সব মিলিয়ে জীবন বাঁচাতে এখন মরিয়া হয়ে লড়ছে উজবেক যোদ্ধারা।
বিশ্লেষকেরা জানান, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে উজবেকিস্তানের অভ্যুদয় হওয়ার পর এই বাস্তুহীন উজবেক যোদ্ধাগোষ্ঠী গড়ে ওঠে। ১৯৯১ সালে ইসলামিক মুভমেন্ট অব উজবেকিস্তান (আইএমইউ) নামের সংগঠন তৈরি করে তারা। আফগানিস্তানে তালেবান শাসকগোষ্ঠীর ছত্রচ্ছায়ায় তারা উজবেকিস্তানে প্রেসিডেন্ট ইসলাম করিমভের সরকারের বিরুদ্ধে তত্পরতা শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্র ২০০০ সালে আইএমইউকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। ২০০১ সালে মার্কিন বাহিনী তাদের আফগানিস্তানছাড়া করে। কয়েক হাজার বিদেশি জঙ্গিসহ এসব উজবেক যোদ্ধা আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত এলাকায় এসে আশ্রয় নেয়। পাকিস্তানের উপজাতিরা তাদের আশ্রয় ও সহায়তা দেয়। মার্কিন সামরিক বাহিনীর সূত্র জানায়, ছিনতাই, হত্যা ও অপহরণে জড়িয়ে পড়ায় এসব উজবেক যোদ্ধা স্থানীয়দের আস্থা হারায় এবং তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ দেয়।
গত ১৭ অক্টোবর পাকিস্তানি সেনারা দেশের উত্তরাঞ্চলে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খালিদ রাব্বানি বলেন, ‘দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের শেরাঙ্গি গ্রামে বিদেশি জঙ্গিদের ঘাঁটি। উজবেক যোদ্ধারা এখানে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।’ এ ছাড়া গত শনিবারও কানিগুরামেও সেনাবাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কানিগুরামও উজবেক যোদ্ধাদের শক্ত ঘাঁটি।
পাকিস্তানের উপজাতি এলাকাবিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ রহিমুল্লাহ ইউসুফজাই বলেন, ‘এসব উজবেক যোদ্ধা কোনো নির্দিষ্ট আদর্শ বা লক্ষ্য নিয়ে লড়াই করছে না। বেঁচে থাকার জন্যই তারা তালেবানের সঙ্গে যোগ দিয়েছে এবং লড়ছে। আমি মনে করি না তারা (উজবেক) সেখানে অবস্থান ধরে রাখবে এবং মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। বরং তারা পালানোর চেষ্টা করবে।’
পাকিস্তানের উপজাতি এলাকার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান মাহমুদ শাহ বলেন, উজবেকিস্তানে কিছু অস্থিরতা থাকলেও নিজেদের দেশে তেমন কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি এই উজবেক যোদ্ধারা। যোদ্ধা হিসেবে তারা তুখোর। কিন্তু মাতৃভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাদের জীবন এখন উদ্দেশ্যহীন হয়ে পড়েছে। এখন কোনো লক্ষ্য ছাড়াই তারা লড়ছে। মাহমুদ শাহ আরও বলেন, উজবেক যোদ্ধারা বুঝে গেছে, তাদের যাওয়ার কোনো স্থান নেই, তাই তারা এখন মরিয়া।
No comments