বাবা আমাকে লস্করের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন -জিজ্ঞাসাবাদে কাসাব
গত বছরের নভেম্বর মাসে মুম্বাই হামলায় অংশগ্রহণকারী লস্কর-ই-তাইয়েবার একমাত্র বেঁচে থাকা সদস্য আজমল আমির কাসাব বলেছেন, অর্থের লোভে তাঁকে ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তকারীদের এ কথা বলেন তিনি।
মুম্বাই হামলা নিয়ে এইচবিও চ্যানেলে প্রচারিতব্য ‘টেরর ইন মুম্বাই’ নামের একটি তথ্যচিত্রে ওই জিজ্ঞাসাবাদের অংশবিশেষ প্রচার করা হবে। গত রোববার সিএনএনে তথ্যচিত্রটির অংশবিশেষ প্রচার করা হয়। কাসাব বর্তমানে ভারতের কারাগারে বন্দী।
জিজ্ঞাসাবাদে কাসাব বলেন, ‘বাবা আমাকে বলেছিলেন, এ মানুষগুলো (লস্কর-ই-তাইয়েবার সদস্যরা) অনেক টাকাপয়সা কামিয়েছে। ওদের সঙ্গে থাকলে তুমিও বড়লোক হয়ে উঠবে। আমরা আর গরিব থাকব না। তোমার ভাইবোনদের বিয়ে হবে। এদের দেখো, তারা একটি ভালো জীবন কাটাচ্ছে।’
কাসাব জানান, তাঁর বাবা রাস্তার পাশে ঘোল ও আলুর তৈরি খাবার বিক্রি করতেন। তাঁকে বিক্রি করে সম্ভবত কয়েক শ ডলার পেয়েছিলেন তিনি। কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে না, বরং হাতে হাতে ওই লেনদেন হয়েছিল।
এসব হামলা চালানোর জন্য কত দিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে কাসাব জানান, তাঁকে প্রায় তিন মাস প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে। এ জন্য ২৪-২৫টি ক্লাস করতে হয়েছে। তবে যাঁরা প্রশিক্ষণ দিতে এসেছিলেন, তাঁদের পরিচয় জানেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি। কাসাব আরও জানান, প্রশিক্ষণ ক্লাসের সময় প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক কথাবার্তা বলা নিষিদ্ধ ছিল। তিনি শুধু লাহোর থেকে আসা একজনের সঙ্গে আলাপ করতে পেরেছিলেন।
নিরীহ মানুষদের হত্যা করা প্রসঙ্গে কাসাব বলেন, তাঁকে বলা হয়েছিল, বড় মানুষ হতে গেলে এটা করতে হবে। আর এ জন্য বেহেশতে তাঁর জন্য পুরস্কার রয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদের প্রসঙ্গ তোলা হলে কাসাব জবাব দেন, ‘বিষয়টি আপনারা বুঝবেন না।’
গত নভেম্বরে মুম্বাইয়ে জঙ্গিদের হামলায় ১৭০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়। এ ছাড়া হামলাকারী ১০ জন জঙ্গি সদস্যের মধ্যে নয়জনের মৃত্যু হয়।
মুম্বাই হামলা নিয়ে এইচবিও চ্যানেলে প্রচারিতব্য ‘টেরর ইন মুম্বাই’ নামের একটি তথ্যচিত্রে ওই জিজ্ঞাসাবাদের অংশবিশেষ প্রচার করা হবে। গত রোববার সিএনএনে তথ্যচিত্রটির অংশবিশেষ প্রচার করা হয়। কাসাব বর্তমানে ভারতের কারাগারে বন্দী।
জিজ্ঞাসাবাদে কাসাব বলেন, ‘বাবা আমাকে বলেছিলেন, এ মানুষগুলো (লস্কর-ই-তাইয়েবার সদস্যরা) অনেক টাকাপয়সা কামিয়েছে। ওদের সঙ্গে থাকলে তুমিও বড়লোক হয়ে উঠবে। আমরা আর গরিব থাকব না। তোমার ভাইবোনদের বিয়ে হবে। এদের দেখো, তারা একটি ভালো জীবন কাটাচ্ছে।’
কাসাব জানান, তাঁর বাবা রাস্তার পাশে ঘোল ও আলুর তৈরি খাবার বিক্রি করতেন। তাঁকে বিক্রি করে সম্ভবত কয়েক শ ডলার পেয়েছিলেন তিনি। কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে না, বরং হাতে হাতে ওই লেনদেন হয়েছিল।
এসব হামলা চালানোর জন্য কত দিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে কাসাব জানান, তাঁকে প্রায় তিন মাস প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে। এ জন্য ২৪-২৫টি ক্লাস করতে হয়েছে। তবে যাঁরা প্রশিক্ষণ দিতে এসেছিলেন, তাঁদের পরিচয় জানেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি। কাসাব আরও জানান, প্রশিক্ষণ ক্লাসের সময় প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক কথাবার্তা বলা নিষিদ্ধ ছিল। তিনি শুধু লাহোর থেকে আসা একজনের সঙ্গে আলাপ করতে পেরেছিলেন।
নিরীহ মানুষদের হত্যা করা প্রসঙ্গে কাসাব বলেন, তাঁকে বলা হয়েছিল, বড় মানুষ হতে গেলে এটা করতে হবে। আর এ জন্য বেহেশতে তাঁর জন্য পুরস্কার রয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদের প্রসঙ্গ তোলা হলে কাসাব জবাব দেন, ‘বিষয়টি আপনারা বুঝবেন না।’
গত নভেম্বরে মুম্বাইয়ে জঙ্গিদের হামলায় ১৭০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়। এ ছাড়া হামলাকারী ১০ জন জঙ্গি সদস্যের মধ্যে নয়জনের মৃত্যু হয়।
No comments