অনেক শর্তেই আপত্তি নির্বাচকদের
তিনি একই সঙ্গে দুটি কমিটির প্রধান। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস এবং নির্বাচকদের নির্বাচক কমিটি। জাতীয় দল নির্বাচকদের চুক্তি নিয়ে দীর্ঘসূত্রতার কারণ এবং চুক্তির শর্ত নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার ব্যাখ্যা দেওয়ার তিনিই উপযুক্ত লোক। কিন্তু এনায়েত হোসেন সিরাজের কথা শুনে মনে হতে বাধ্য, এসব কোনো সমস্যাই নয়!
‘আমাদের দেওয়া চুক্তির নতুন শর্তাবলি সম্পর্কে তিন নির্বাচক তাঁদের মতামত দিয়েছেন। কোনো কোনো ব্যাপারে তাঁদের দ্বিমত আছে। সেসব নিয়েই আমরা সভায় বসব। কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত নয়। আলোচনার ভিত্তিতে এসবের সমাধান হতে পারে’—কাল বলেছেন এনায়েত হোসেন। কিন্তু সমাধানটা কী? নির্বাচকেরা না মানলে আলোচিত শর্তগুলো কি উঠে যাবে নতুন চুক্তিপত্র থেকে! ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির প্রধান অপেক্ষায় রাখলেন এই জায়গায়, ‘আগে আমরা বসি। কমিটিতে তো আরও অনেক সদস্য আছে। তাঁরাও মতামত দেবেন...।’ নতুন শর্তের ব্যাপারে নির্বাচকদের জানানো মতামত নিয়ে আজই সভায় বসার কথা নির্বাচকদের নির্বাচক কমিটির।
রফিকুল আলম, আকরাম খান ও নাঈমুর রহমানের নির্বাচক কমিটির মেয়াদ শেষ হয় গত আগস্ট মাসে। এর পর সাময়িকভাবে দুই মাসের জন্য চুক্তি বাড়িয়ে পরে সেটা আগামী জুন পর্যন্ত নির্দিষ্ট করা হলেও এখনো চুক্তিতে সই করেন নি তিন নির্বাচক। নতুন চুক্তির জন্য দেওয়া হয় চাকরির নতুন শর্ত এবং এই শর্তের অনেকগুলোই নির্বাচকদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। সূত্র জানায়, নতুন শর্ত অনুযায়ী খেলা বা অনুশীলন না থাকলে নির্বাচকদের বোর্ডের অন্য স্টাফদের মতোই নিয়মিত অফিস করতে হবে। কিন্তু নির্বাচক কমিটি মনে করে তাদের কাজটা সব সময়ই স্বাধীন এবং অফিসের চার দেয়ালের চেয়ে মাঠেই তা বেশি। বর্তমান নির্বাচকেরা তো বটেই, সাবেক নির্বাচক আতহার আলী খানও এমন শর্তকে যৌক্তিক মনে করেন না, ‘নির্বাচকেরা পে-রোলে কাজ করেন না, তাঁদের কাজ চুক্তিভিত্তিক। সময়ের ফ্রেমে তাঁদের কাজকে বাঁধা যাবে না। প্রয়োজন হলে নির্বাচকেরা দিনে ১৮ ঘণ্টাও কাজ করতে পারেন। কিন্তু কাজ না থাকলে তাঁদের ৯টা-৫টা অফিস কেন করতে হবে?’
চুক্তিতে অদ্ভুত এই শর্ত আরোপের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এনায়েত হোসেন বলেছেন, ‘অনেক সময় আমরাও জানতে পারি না নির্বাচকেরা কে কোথায় আছেন। আমরা তাঁদের কাজটাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে চাই।’ বলা হচ্ছে, নতুন চুক্তিতে নির্বাচক কমিটির জবাবদিহিতা থাকবে বিশেষ কমিটির কাছে, এমনকি ছুটি-ছাটাও অনুমোদন করবে এই বিশেষ কমিটি। নির্বাচকদের প্রশ্ন, নির্বাচকদের নির্বাচক কমিটির কাজ তো নির্বাচক নির্বাচন করা পর্যন্তই। তাহলে বিশেষ কমিটি কোনটা? কারা সেই কমিটির সদস্য? নির্বাচকদের মতে, কোনো বিশেষ কমিটি নয়, সরাসরি ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির অধীনেই থাকা উচিত তাঁদের কর্মকাণ্ড। ‘বিশেষ কমিটি মানে তো আমাদের মতোই আরেকটা কমিটি। আমরা কেন আমাদের সমকক্ষ কোনো কমিটির কাছে জবাবদিহি করব? নির্বাচক কমিটির জবাবদিহি হবে বোর্ডের কোনো স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে’—বলেছেন এক নির্বাচক। এসব নিয়ে আপত্তি তোলার পাশাপাশি চুক্তির মেয়াদ আগামী ৩০ জুনের পরিবর্তে ২০১১ বিশ্বকাপ পর্যন্ত করারও দাবি জানানো হয়েছে নির্বাচক কমিটির পক্ষ থেকে।
চুক্তির শর্তে ‘বেতনের’ কথা উল্লেখ থাকলেও নির্বাচকেরা মনে করেন, যেহেতু তাঁদের কাজটা চুক্তিভিত্তিক, কথাটা ‘বেতন’ না হয়ে হওয়া উচিত ‘সম্মানী’। নির্বাচকদের দেওয়া চিঠিতে এই সম্মানী এবং কাজের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। বর্তমানে প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলমের বেতন মাসিক ৮০ হাজার টাকা এবং অন্য দুই নির্বাচক আকরাম ও নাঈমুরের বেতন ৭০ হাজার টাকা করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্বাচক বলেছেন, ‘শুরুতে আমাদের জানানো হয়েছিল যে পরে টাকার অঙ্কটা বাড়ানো হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটা হয়নি।’
নির্বাচকদের নতুন চুক্তি নিয়ে এই জলঘোলা মূলত প্রক্রিয়াগত দীর্ঘসূত্রতা এবং পেশাদার বোর্ডের অপেশাদারি চালচলনের কারণেই। তবে এনায়েত হোসেনের কথা সত্যি হলে দেরিতে হলেও একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান হতে পারে এ সমস্যার। ‘আমরা এই নির্বাচক কমিটির কাজে সন্তুষ্ট। তাঁরা খুব ভালো কাজ করেছেন। আমরা তাঁদের রাখতেই চাই। শুধু কিছু বিষয় আলোচনা করে ঠিক করে নিতে হবে’—বলেছেন ক্রিকেট অপারেশনস ও নির্বাচকদের নির্বাচক কমিটির প্রধান।
‘আমাদের দেওয়া চুক্তির নতুন শর্তাবলি সম্পর্কে তিন নির্বাচক তাঁদের মতামত দিয়েছেন। কোনো কোনো ব্যাপারে তাঁদের দ্বিমত আছে। সেসব নিয়েই আমরা সভায় বসব। কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত নয়। আলোচনার ভিত্তিতে এসবের সমাধান হতে পারে’—কাল বলেছেন এনায়েত হোসেন। কিন্তু সমাধানটা কী? নির্বাচকেরা না মানলে আলোচিত শর্তগুলো কি উঠে যাবে নতুন চুক্তিপত্র থেকে! ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির প্রধান অপেক্ষায় রাখলেন এই জায়গায়, ‘আগে আমরা বসি। কমিটিতে তো আরও অনেক সদস্য আছে। তাঁরাও মতামত দেবেন...।’ নতুন শর্তের ব্যাপারে নির্বাচকদের জানানো মতামত নিয়ে আজই সভায় বসার কথা নির্বাচকদের নির্বাচক কমিটির।
রফিকুল আলম, আকরাম খান ও নাঈমুর রহমানের নির্বাচক কমিটির মেয়াদ শেষ হয় গত আগস্ট মাসে। এর পর সাময়িকভাবে দুই মাসের জন্য চুক্তি বাড়িয়ে পরে সেটা আগামী জুন পর্যন্ত নির্দিষ্ট করা হলেও এখনো চুক্তিতে সই করেন নি তিন নির্বাচক। নতুন চুক্তির জন্য দেওয়া হয় চাকরির নতুন শর্ত এবং এই শর্তের অনেকগুলোই নির্বাচকদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। সূত্র জানায়, নতুন শর্ত অনুযায়ী খেলা বা অনুশীলন না থাকলে নির্বাচকদের বোর্ডের অন্য স্টাফদের মতোই নিয়মিত অফিস করতে হবে। কিন্তু নির্বাচক কমিটি মনে করে তাদের কাজটা সব সময়ই স্বাধীন এবং অফিসের চার দেয়ালের চেয়ে মাঠেই তা বেশি। বর্তমান নির্বাচকেরা তো বটেই, সাবেক নির্বাচক আতহার আলী খানও এমন শর্তকে যৌক্তিক মনে করেন না, ‘নির্বাচকেরা পে-রোলে কাজ করেন না, তাঁদের কাজ চুক্তিভিত্তিক। সময়ের ফ্রেমে তাঁদের কাজকে বাঁধা যাবে না। প্রয়োজন হলে নির্বাচকেরা দিনে ১৮ ঘণ্টাও কাজ করতে পারেন। কিন্তু কাজ না থাকলে তাঁদের ৯টা-৫টা অফিস কেন করতে হবে?’
চুক্তিতে অদ্ভুত এই শর্ত আরোপের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এনায়েত হোসেন বলেছেন, ‘অনেক সময় আমরাও জানতে পারি না নির্বাচকেরা কে কোথায় আছেন। আমরা তাঁদের কাজটাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে চাই।’ বলা হচ্ছে, নতুন চুক্তিতে নির্বাচক কমিটির জবাবদিহিতা থাকবে বিশেষ কমিটির কাছে, এমনকি ছুটি-ছাটাও অনুমোদন করবে এই বিশেষ কমিটি। নির্বাচকদের প্রশ্ন, নির্বাচকদের নির্বাচক কমিটির কাজ তো নির্বাচক নির্বাচন করা পর্যন্তই। তাহলে বিশেষ কমিটি কোনটা? কারা সেই কমিটির সদস্য? নির্বাচকদের মতে, কোনো বিশেষ কমিটি নয়, সরাসরি ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির অধীনেই থাকা উচিত তাঁদের কর্মকাণ্ড। ‘বিশেষ কমিটি মানে তো আমাদের মতোই আরেকটা কমিটি। আমরা কেন আমাদের সমকক্ষ কোনো কমিটির কাছে জবাবদিহি করব? নির্বাচক কমিটির জবাবদিহি হবে বোর্ডের কোনো স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে’—বলেছেন এক নির্বাচক। এসব নিয়ে আপত্তি তোলার পাশাপাশি চুক্তির মেয়াদ আগামী ৩০ জুনের পরিবর্তে ২০১১ বিশ্বকাপ পর্যন্ত করারও দাবি জানানো হয়েছে নির্বাচক কমিটির পক্ষ থেকে।
চুক্তির শর্তে ‘বেতনের’ কথা উল্লেখ থাকলেও নির্বাচকেরা মনে করেন, যেহেতু তাঁদের কাজটা চুক্তিভিত্তিক, কথাটা ‘বেতন’ না হয়ে হওয়া উচিত ‘সম্মানী’। নির্বাচকদের দেওয়া চিঠিতে এই সম্মানী এবং কাজের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। বর্তমানে প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলমের বেতন মাসিক ৮০ হাজার টাকা এবং অন্য দুই নির্বাচক আকরাম ও নাঈমুরের বেতন ৭০ হাজার টাকা করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্বাচক বলেছেন, ‘শুরুতে আমাদের জানানো হয়েছিল যে পরে টাকার অঙ্কটা বাড়ানো হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটা হয়নি।’
নির্বাচকদের নতুন চুক্তি নিয়ে এই জলঘোলা মূলত প্রক্রিয়াগত দীর্ঘসূত্রতা এবং পেশাদার বোর্ডের অপেশাদারি চালচলনের কারণেই। তবে এনায়েত হোসেনের কথা সত্যি হলে দেরিতে হলেও একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান হতে পারে এ সমস্যার। ‘আমরা এই নির্বাচক কমিটির কাজে সন্তুষ্ট। তাঁরা খুব ভালো কাজ করেছেন। আমরা তাঁদের রাখতেই চাই। শুধু কিছু বিষয় আলোচনা করে ঠিক করে নিতে হবে’—বলেছেন ক্রিকেট অপারেশনস ও নির্বাচকদের নির্বাচক কমিটির প্রধান।
No comments