গরুর ট্রাকে চাঁদাবাজি -এখনই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার
ঈদুল আজহা কাছাকাছি চলে আসায় বিদেশ থেকে গবাদিপশু আমদানি এখন চলছে বেশ জোরেশোরে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রধান শহরগুলোতে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। কিন্তু অন্যান্যবারের মতো এবারও গবাদিপশু পরিবহনে ব্যবসায়ীদের নানা জায়গায় অবৈধ চাঁদাবাজির শিকার হতে হচ্ছে, এমন অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়টির সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হলো, চাঁদাবাজির অভিযোগগুলো উঠছে হাইওয়ে পুলিশ, থানা পুলিশ, কাস্টমস পরিদর্শক ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবারের প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা গবাদিপশু চট্টগ্রাম পর্যন্ত পরিবহনে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের অন্তত ২০টি জায়গায় অবৈধ চাঁদা দিতে হয়। এ চাঁদার পরিমাণ প্রতি ট্রাকে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। চাঁদা না দিলে হয়রানির মুখে পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে এসব পশু পাঠানোর সময় যে এ ধরনের চাঁদাবাজি ঘটবে না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে এমন ঘটনার নজির আমরা বিভিন্ন সময় ঘটতে দেখেছি। কোরবানির পশুর বাজারে নিঃসন্দেহে পরিবহনে এমন চাঁদাবাজির প্রভাব পড়বে। ভোক্তাদের অনেক বেশি অর্থ দিয়ে কিনতে হবে কোরবানির পশু। তাই এ বিষয়ে সরকারের এখনই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
গত বছরগুলোতে কোরবানির পশুর হাটে চাঁদাবাজি বন্ধে এবং পশুর চামড়া বিদেশে চোরাচালানের মাধ্যমে পাচার হওয়া রোধে সরকার বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। গবাদিপশুর হাটে, মহাসড়ক ও নৌপথে পশু পরিবহন নির্ঝঞ্ঝাট করার উদ্দেশ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এ ধরনের উদ্যোগে বেশ সফলতাও পাওয়া গিয়েছিল। এবার পুলিশের বিরুদ্ধে অবৈধ চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার বিষয়টি গভীর উদ্বেগজনক। তাই ব্যবসায়ীদের উত্থাপিত চাঁদাবাজির অভিযোগ আমলে নিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। চাঁদাবাজি রোধে পাহারা জোরদার করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
গত মঙ্গলবারের প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা গবাদিপশু চট্টগ্রাম পর্যন্ত পরিবহনে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের অন্তত ২০টি জায়গায় অবৈধ চাঁদা দিতে হয়। এ চাঁদার পরিমাণ প্রতি ট্রাকে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। চাঁদা না দিলে হয়রানির মুখে পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে এসব পশু পাঠানোর সময় যে এ ধরনের চাঁদাবাজি ঘটবে না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে এমন ঘটনার নজির আমরা বিভিন্ন সময় ঘটতে দেখেছি। কোরবানির পশুর বাজারে নিঃসন্দেহে পরিবহনে এমন চাঁদাবাজির প্রভাব পড়বে। ভোক্তাদের অনেক বেশি অর্থ দিয়ে কিনতে হবে কোরবানির পশু। তাই এ বিষয়ে সরকারের এখনই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
গত বছরগুলোতে কোরবানির পশুর হাটে চাঁদাবাজি বন্ধে এবং পশুর চামড়া বিদেশে চোরাচালানের মাধ্যমে পাচার হওয়া রোধে সরকার বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। গবাদিপশুর হাটে, মহাসড়ক ও নৌপথে পশু পরিবহন নির্ঝঞ্ঝাট করার উদ্দেশ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এ ধরনের উদ্যোগে বেশ সফলতাও পাওয়া গিয়েছিল। এবার পুলিশের বিরুদ্ধে অবৈধ চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার বিষয়টি গভীর উদ্বেগজনক। তাই ব্যবসায়ীদের উত্থাপিত চাঁদাবাজির অভিযোগ আমলে নিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। চাঁদাবাজি রোধে পাহারা জোরদার করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
No comments