অর্ধেক ভ্রমণ, অর্ধেক প্রতিযোগিতা
গত ১০ নভেম্বর চীনের গুয়াংজুতে এশিয়ান অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের দুই অ্যাথলেট সুমিতা রানী দাস ও সজীব হোসেন। তাঁদের কাছে শেষ পর্যন্ত এটি অর্ধেক চীন ভ্রমণ, আর অর্ধেক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ! ১৪ নভেম্বর প্রতিযোগিতা শেষে গত পরশু গভীর রাতে দেশে ফিরে এসেছেন তাঁরা। তাঁরা এটি না জানালে জানার অন্য কোনো উপায় ছিল না। অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম নিজেই জানতেন না তাঁদের খবরাখবর।
শাহ আলমকে কাল টেলিফোন করতেই জানালেন, ‘ওরা তো আজ (কাল) এসেছে। আমিও টেলিফোনে জেনেছি খবরটা। ভালো রেজাল্ট হলে তো আগেই জানতেন। তবে আমি শুনেছি, সজীব নাকি ২.০৫ মিটার উচ্চতায় লাফিয়েছে। দেশে করা জাতীয় রেকর্ডের চেয়ে ভালো করেছে ও।’ তাদের ইভেন্ট কবে অনুষ্ঠিত হয়েছে সেটাও ঠিকমতো বলতে পারলেন না তিনি, ‘ওদের ইভেন্ট কবে হয়েছে সেটা আমি বলতে পারছি না। দলের সঙ্গে ম্যানেজার হিসেবে গিয়েছিলেন ট্রেজারার মিজানুর। উনি চীনে গিয়েই আমাদের জানিয়েছিলেন ঠিকমতো পৌঁছেছি। এর পর আর যোগাযোগ হয়নি। কাল দেশে ফেরার পর কথা হয়েছে।’
মেয়েদের হার্ডলসে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও সুমিতা রানীর দুর্ভাগ্য, সেখানে খেলতে পারেননি তিনি, ‘আমি কীভাবে অংশ নেব বলেন? আমরা চীনে পৌঁছলামই তো ১১ তারিখ ভোর ৫টায়। সেখানে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও আমাদের কেউ রিসিভ করতে আসেনি। পরে মিজান ভাই (ম্যানেজার) আমাদের একটি ক্যাবে করে ভুল করে অন্য জায়গায় নিয়ে যান। আর ততক্ষণে আমার ইভেন্ট শেষ!’ দেশের বাইরে এর আগে ১০-১২ বার খেলতে গেলেও এমন বিব্রতকর অভিজ্ঞতায় আগে কখনো পড়েননি বলে জানান সুমিতা, ‘কী বলব? আমার খুব কষ্ট হয়েছে। এত জার্নি করে সেখানে গেলাম কিন্তু যে লক্ষ্য নিয়ে গেলাম সেটাই পূরণ হলো না।’ মিজানুর রহমান জানালেন, ‘ভিসা-জটিলতার কারণেই এমনটি হয়েছে। আমরা ভিসার জন্য আবেদন করেছিলাম ৫ নভেম্বর। অনেক দেনদরবারের পর ভিসা পাই ১০ নভেম্বর রাতে। এর পর চীনে গিয়েও বেকায়দায় পড়ি। সেখানে কাউকে চিনি না। কেউ আমাদের রিসিভ করতেও আসেনি। ভুল করে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছিলাম।’ তবে ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ ঠিকমতো করতে পারেননি বলে দুঃখ প্রকাশই করলেন তিনি, ‘স্যরি, ভাই। আমার ভুল হয়ে গেছে। আসলে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের জন্য দৌড়ঝাঁপ করতে করতে সময়ই পাইনি দেশে ফলাফল জানাতে।’
সুমিতা হার্ডলসে অংশ না নিলেও ছেলেদের লং জাম্পে অংশ নেন সজীব হোসেন। সজীব ২.০৫ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে ১৭ জনের মধ্যে হয়েছেন ১৪তম। তাঁর পেছনে ছিল বাহরাইন, তাইপে ও উজবেকিস্তানের খেলোয়াড়। আসন্ন এসএ গেমসের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে চীনে গিয়ে বেশ মজার অভিজ্ঞতা নিয়েই ফিরলেন দুই অ্যাথলেট।
শাহ আলমকে কাল টেলিফোন করতেই জানালেন, ‘ওরা তো আজ (কাল) এসেছে। আমিও টেলিফোনে জেনেছি খবরটা। ভালো রেজাল্ট হলে তো আগেই জানতেন। তবে আমি শুনেছি, সজীব নাকি ২.০৫ মিটার উচ্চতায় লাফিয়েছে। দেশে করা জাতীয় রেকর্ডের চেয়ে ভালো করেছে ও।’ তাদের ইভেন্ট কবে অনুষ্ঠিত হয়েছে সেটাও ঠিকমতো বলতে পারলেন না তিনি, ‘ওদের ইভেন্ট কবে হয়েছে সেটা আমি বলতে পারছি না। দলের সঙ্গে ম্যানেজার হিসেবে গিয়েছিলেন ট্রেজারার মিজানুর। উনি চীনে গিয়েই আমাদের জানিয়েছিলেন ঠিকমতো পৌঁছেছি। এর পর আর যোগাযোগ হয়নি। কাল দেশে ফেরার পর কথা হয়েছে।’
মেয়েদের হার্ডলসে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও সুমিতা রানীর দুর্ভাগ্য, সেখানে খেলতে পারেননি তিনি, ‘আমি কীভাবে অংশ নেব বলেন? আমরা চীনে পৌঁছলামই তো ১১ তারিখ ভোর ৫টায়। সেখানে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও আমাদের কেউ রিসিভ করতে আসেনি। পরে মিজান ভাই (ম্যানেজার) আমাদের একটি ক্যাবে করে ভুল করে অন্য জায়গায় নিয়ে যান। আর ততক্ষণে আমার ইভেন্ট শেষ!’ দেশের বাইরে এর আগে ১০-১২ বার খেলতে গেলেও এমন বিব্রতকর অভিজ্ঞতায় আগে কখনো পড়েননি বলে জানান সুমিতা, ‘কী বলব? আমার খুব কষ্ট হয়েছে। এত জার্নি করে সেখানে গেলাম কিন্তু যে লক্ষ্য নিয়ে গেলাম সেটাই পূরণ হলো না।’ মিজানুর রহমান জানালেন, ‘ভিসা-জটিলতার কারণেই এমনটি হয়েছে। আমরা ভিসার জন্য আবেদন করেছিলাম ৫ নভেম্বর। অনেক দেনদরবারের পর ভিসা পাই ১০ নভেম্বর রাতে। এর পর চীনে গিয়েও বেকায়দায় পড়ি। সেখানে কাউকে চিনি না। কেউ আমাদের রিসিভ করতেও আসেনি। ভুল করে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছিলাম।’ তবে ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ ঠিকমতো করতে পারেননি বলে দুঃখ প্রকাশই করলেন তিনি, ‘স্যরি, ভাই। আমার ভুল হয়ে গেছে। আসলে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের জন্য দৌড়ঝাঁপ করতে করতে সময়ই পাইনি দেশে ফলাফল জানাতে।’
সুমিতা হার্ডলসে অংশ না নিলেও ছেলেদের লং জাম্পে অংশ নেন সজীব হোসেন। সজীব ২.০৫ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে ১৭ জনের মধ্যে হয়েছেন ১৪তম। তাঁর পেছনে ছিল বাহরাইন, তাইপে ও উজবেকিস্তানের খেলোয়াড়। আসন্ন এসএ গেমসের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে চীনে গিয়ে বেশ মজার অভিজ্ঞতা নিয়েই ফিরলেন দুই অ্যাথলেট।
No comments