অনেক সিদ্ধান্তের বোর্ড সভা আজ
কে হচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা? জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাই থাকছেন তো! কোচ জেমি সিডন্সের ভবিষ্যত্ কী? আর টিম ম্যানেজমেন্টে পরিবর্তনের যে গুঞ্জন, সেটার কী খবর? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের সভায় আজ এ রকম আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে। অনেক বিষয়ে হয়ে যেতে পারে সিদ্ধান্তও।
একটা সিদ্ধান্ত অবশ্য শুধু বোর্ডের অনুমোদনের অপেক্ষায়ই রয়েছে। নির্বাচকদের নির্বাচক কমিটি কাল চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দিয়েছে—রফিকুল আলম, আকরাম খান ও নাঈমুর রহমানকে নিয়ে বর্তমান নির্বাচক কমিটিই থাকছে আরও এক মেয়াদে। নতুন শর্তে ২০১০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এই কমিটির। আজকের সভায় তাদের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হলে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর ধরা হবে সেটি। তবে নতুন শর্ত নিয়ে যদি রফিকুল আলমের নির্বাচক কমিটি বা কমিটির কোনো সদস্যের আপত্তি থাকে, তাহলে বোর্ড বিকল্প চিন্তা করবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস।
নির্বাচকদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ায় সভার মূল বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা দিয়ে চলছে বোর্ড। নতুন প্রধান নির্বাহী খোঁজার প্রাথমিক দায়িত্বটা বিসিবি দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটকে (আইবিএ)। প্রায় ৭০ জন আবেদনকারীর মধ্য থেকে বাছাই করে তারা পাঁচজনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দিয়েছে বোর্ডকে। এই পাঁচজন থেকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হওয়ার জন্য যোগ্যতম প্রার্থী কে সেটা নিয়ে আলোচনা হবে আজকের সভায়, হয়ে যেতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও। সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন বিসিবির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান, একটি বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানির সাবেক কর্মকর্তা ইন্তেখাব মাহমুদ, সাবেক ক্রিকেটার মাঈনুল হক চৌধুরী, একসময়ের যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ইমদাদ এহসান ও এক্সিওম টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান বিন ফারুক। বিসিবির প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা নিয়োগের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হতে পারে আজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য জাতীয় দলের অধিনায়ক-সহ-অধিনায়ক করা হয়েছিল মাশরাফি বিন মুর্তজা আর সাকিব আল হাসানকে। আজ সিদ্ধান্ত হবে তাঁদের মেয়াদ বাড়ানোর। ইনজুরির কারণে মাশরাফি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর অসমাপ্ত রেখে দেশে ফিরে আসেন, খেলেননি জিম্বাবুয়েতেও। এই দুই সিরিজে সাকিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাফল্য পেলেও সময়মতো সুস্থ হয়ে উঠলে মাশরাফিই অধিনায়ক থেকে যাচ্ছেন। সাকিব থাকবেন সহ-অধিনায়ক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক কাল বলেছেন, ‘মাশরাফির অধিনায়কত্ব তো আমরা দেখলামই না। আমি মনে করি, ওরই অধিনায়ক থাকা উচিত। সাকিব সহ-অধিনায়ক হিসেবেই থাকুক আরও কিছুদিন।’ আলোচ্যসূচিতে আছে অস্ট্রেলিয়ান কোচ জেমি সিডন্সের ভবিষ্যত্ও। আগামী নভেম্বরে বিসিবির সঙ্গে তাঁর বর্তমান চুক্তি শেষ হওয়ার কথা। সেটি আরও বাড়ছে বলেই জানা গেছে। তবে ত্বকের ক্যান্সারের অস্ত্রোপচারের পর তাঁর শারীরিক অবস্থা কী ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা ফিরলে বোর্ড সেটা জানতে চাইবে সিডন্সের কাছে।
জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্টে পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা চলছে অনেক দিন ধরেই। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সভায় বিদেশ সফরের জন্য টিম ম্যানেজমেন্ট পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত হতে পারে। টিম ম্যানেজার, কোচ, সহকারী কোচ, ট্রেনার, ফিজিও, কম্পিউটার অ্যানালিস্ট—এই ছয়টি পদের সঙ্গে সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরের মতো এখন থেকে প্রতিটি সফরেই দলের সঙ্গে টিম লিডার হিসেবে থাকবেন একজন বোর্ড পরিচালক। সফরে টিম লিডারের দায়িত্ব ঠিক করে দেওয়া হবে। সিরিজ বা সফরের গুরুত্ব বুঝে যোগ হবে মিডিয়া ম্যানেজার। খুব জরুরি না হলে বিদেশ সফরে হয়তো এখন থেকে কোনো ফিল্ডিং কোচ দেখা যাবে না দলের সঙ্গে। থাকছে না সম্ভবত বোলিং কোচের পদও। তবে বিসিবি সূত্র জানিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দলের জন্য একজন বিদেশি ফিল্ডিং কোচ আনা হতে পারে।
এ ছাড়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক নির্বাচন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামকে ২০১১ বিশ্বকাপের ভেন্যু ঘোষণা, জাতীয় দলের নতুন স্পনসরের জন্য দরপত্র আহ্বানসহ আরও অনেক বিষয়েই আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা আজকের গুরুত্বপূর্ণ সভায়। জাতীয় দলের বর্তমান স্পনসর হিসেবে গ্রামীণফোনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ অক্টোবর। জানা গেছে, আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে এই চুক্তি।
একটা সিদ্ধান্ত অবশ্য শুধু বোর্ডের অনুমোদনের অপেক্ষায়ই রয়েছে। নির্বাচকদের নির্বাচক কমিটি কাল চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দিয়েছে—রফিকুল আলম, আকরাম খান ও নাঈমুর রহমানকে নিয়ে বর্তমান নির্বাচক কমিটিই থাকছে আরও এক মেয়াদে। নতুন শর্তে ২০১০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এই কমিটির। আজকের সভায় তাদের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হলে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর ধরা হবে সেটি। তবে নতুন শর্ত নিয়ে যদি রফিকুল আলমের নির্বাচক কমিটি বা কমিটির কোনো সদস্যের আপত্তি থাকে, তাহলে বোর্ড বিকল্প চিন্তা করবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস।
নির্বাচকদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ায় সভার মূল বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা দিয়ে চলছে বোর্ড। নতুন প্রধান নির্বাহী খোঁজার প্রাথমিক দায়িত্বটা বিসিবি দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটকে (আইবিএ)। প্রায় ৭০ জন আবেদনকারীর মধ্য থেকে বাছাই করে তারা পাঁচজনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দিয়েছে বোর্ডকে। এই পাঁচজন থেকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হওয়ার জন্য যোগ্যতম প্রার্থী কে সেটা নিয়ে আলোচনা হবে আজকের সভায়, হয়ে যেতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও। সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন বিসিবির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান, একটি বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানির সাবেক কর্মকর্তা ইন্তেখাব মাহমুদ, সাবেক ক্রিকেটার মাঈনুল হক চৌধুরী, একসময়ের যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ইমদাদ এহসান ও এক্সিওম টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান বিন ফারুক। বিসিবির প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা নিয়োগের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হতে পারে আজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য জাতীয় দলের অধিনায়ক-সহ-অধিনায়ক করা হয়েছিল মাশরাফি বিন মুর্তজা আর সাকিব আল হাসানকে। আজ সিদ্ধান্ত হবে তাঁদের মেয়াদ বাড়ানোর। ইনজুরির কারণে মাশরাফি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর অসমাপ্ত রেখে দেশে ফিরে আসেন, খেলেননি জিম্বাবুয়েতেও। এই দুই সিরিজে সাকিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাফল্য পেলেও সময়মতো সুস্থ হয়ে উঠলে মাশরাফিই অধিনায়ক থেকে যাচ্ছেন। সাকিব থাকবেন সহ-অধিনায়ক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক কাল বলেছেন, ‘মাশরাফির অধিনায়কত্ব তো আমরা দেখলামই না। আমি মনে করি, ওরই অধিনায়ক থাকা উচিত। সাকিব সহ-অধিনায়ক হিসেবেই থাকুক আরও কিছুদিন।’ আলোচ্যসূচিতে আছে অস্ট্রেলিয়ান কোচ জেমি সিডন্সের ভবিষ্যত্ও। আগামী নভেম্বরে বিসিবির সঙ্গে তাঁর বর্তমান চুক্তি শেষ হওয়ার কথা। সেটি আরও বাড়ছে বলেই জানা গেছে। তবে ত্বকের ক্যান্সারের অস্ত্রোপচারের পর তাঁর শারীরিক অবস্থা কী ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা ফিরলে বোর্ড সেটা জানতে চাইবে সিডন্সের কাছে।
জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্টে পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা চলছে অনেক দিন ধরেই। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সভায় বিদেশ সফরের জন্য টিম ম্যানেজমেন্ট পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত হতে পারে। টিম ম্যানেজার, কোচ, সহকারী কোচ, ট্রেনার, ফিজিও, কম্পিউটার অ্যানালিস্ট—এই ছয়টি পদের সঙ্গে সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরের মতো এখন থেকে প্রতিটি সফরেই দলের সঙ্গে টিম লিডার হিসেবে থাকবেন একজন বোর্ড পরিচালক। সফরে টিম লিডারের দায়িত্ব ঠিক করে দেওয়া হবে। সিরিজ বা সফরের গুরুত্ব বুঝে যোগ হবে মিডিয়া ম্যানেজার। খুব জরুরি না হলে বিদেশ সফরে হয়তো এখন থেকে কোনো ফিল্ডিং কোচ দেখা যাবে না দলের সঙ্গে। থাকছে না সম্ভবত বোলিং কোচের পদও। তবে বিসিবি সূত্র জানিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দলের জন্য একজন বিদেশি ফিল্ডিং কোচ আনা হতে পারে।
এ ছাড়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক নির্বাচন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামকে ২০১১ বিশ্বকাপের ভেন্যু ঘোষণা, জাতীয় দলের নতুন স্পনসরের জন্য দরপত্র আহ্বানসহ আরও অনেক বিষয়েই আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা আজকের গুরুত্বপূর্ণ সভায়। জাতীয় দলের বর্তমান স্পনসর হিসেবে গ্রামীণফোনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ অক্টোবর। জানা গেছে, আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে এই চুক্তি।
No comments