বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৩.৬%
২০০৮-০৯ অর্থবছরে দেশের বাজেট ঘাটতি মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাথমিক হিসাব থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে দেখা যায়, গত অর্থবছরে সরকার ২১ হাজার ৯৬০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সমপরিমাণ অর্থ বাজেট ঘাটতি অর্থায়নে ব্যয় করেছে। এটি জিডিপির ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
আর তার আগের বছর ঘাটতি অর্থায়ন করা হয়েছিল ২৪ হাজার ৯৮৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকার, যা সে বছরের জিডিপির ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ ছিল।
অবশ্য ২০০৮-০৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ঘাটতির হার কমিয়ে ধরা হয়েছিল। অর্থবছর শেষে প্রাথমিক প্রাক্কলনে ঘাটতি এর চেয়েও কম হয়েছে বলে দেখা যায়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করতে গিয়ে এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য, জ্বালানি তেল ও সারের মূল্য কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি, বিদ্যুত্ ও রপ্তানি খাতে অতিরিক্ত ভর্তুকি দেওয়ার পরও অনুন্নয়ন ব্যয় কমেছে। ফলে সংশোাধিত বাজেটে সার্বিকভাবে বাজেট ঘাটতি দাঁড়াবে জিডিপির ৪ দশমিক ১০ শতাংশ।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ঘাটতি অর্থায়নে জিডিপির ২ দশমিক ৩০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ উত্স থেকে এবং জিডিপির ১ দশমিক ৮০ শতাংশ বৈদেশিক উত্স থেকে নির্বাহ করা হবে।
ঘাটতি অর্থায়ন নিম্নমুখী হওয়ার বিষয়টি দুইভাবে দেখার সুযোগ আছে বলে মনে করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিম্নহারে ঘাটতি মানে তা সরকারের জন্য সহজে ব্যবস্থাপনাযোগ্য। কারণ, এতে ঋণের অনুপাত কম থাকছে। সেদিক থেকে এটি ভালো।’
তবে আরেক দিক থেকে দেখলে এটাকে ভালো বলা কঠিন মনে করেন আহসান মনসুর। তিনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে ব্যর্থতা ঘাটতি অর্থায়ন কমিয়ে দিয়েছে। আর এটি আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক দিকেরই প্রতিফলন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বমন্দার এ সময় অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়িয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য এডিপি বাস্তবায়ন জোরদার হওয়া প্রয়োজন ছিল। দেখা যাচ্ছে সেটিও হয়নি।’
২০০৮-০৯ অর্থবছরে সংশোধিত এডিপির আয়তন ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা গেছে ১৯ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। মানে বাস্তবায়ন হার ৮৬ শতাংশ। অবশ্য শুরুতে ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মূল এডিপি নির্ধারণ করা হয়েছিল।
আগের অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থবছর জিডিপিতে ঘাটতির অংশ কমে যাওয়ার মানে সরকার আগের তুলনায় কম সম্প্রসারণমুখী হয়েছে বলেও মত প্রকাশ করেছেন আহসান মনসুর। আর এটি প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলেও মনে করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, মোট ঘাটতির প্রায় ৪৮ শতাংশই অর্থায়ন করা হয়েছে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে। এই সময়কালে সরকার ১০ হাজার ৫১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়েছিল।
ব্যাংকবহির্ভূত উত্স থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে চার হাজার ৪০৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা, যা মোট ঘাটতি অর্থায়নের ২০ শতাংশ।
আর বিদেশি ঋণ থেকে অর্থায়ন করা হয়েছে মোট ঘাটতির ৩২ শতাংশ। এর পরিমাণ সাত হাজার ৩৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
এতে দেখা যায়, গত অর্থবছরে সরকার ২১ হাজার ৯৬০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সমপরিমাণ অর্থ বাজেট ঘাটতি অর্থায়নে ব্যয় করেছে। এটি জিডিপির ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
আর তার আগের বছর ঘাটতি অর্থায়ন করা হয়েছিল ২৪ হাজার ৯৮৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকার, যা সে বছরের জিডিপির ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ ছিল।
অবশ্য ২০০৮-০৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ঘাটতির হার কমিয়ে ধরা হয়েছিল। অর্থবছর শেষে প্রাথমিক প্রাক্কলনে ঘাটতি এর চেয়েও কম হয়েছে বলে দেখা যায়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করতে গিয়ে এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য, জ্বালানি তেল ও সারের মূল্য কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি, বিদ্যুত্ ও রপ্তানি খাতে অতিরিক্ত ভর্তুকি দেওয়ার পরও অনুন্নয়ন ব্যয় কমেছে। ফলে সংশোাধিত বাজেটে সার্বিকভাবে বাজেট ঘাটতি দাঁড়াবে জিডিপির ৪ দশমিক ১০ শতাংশ।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ঘাটতি অর্থায়নে জিডিপির ২ দশমিক ৩০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ উত্স থেকে এবং জিডিপির ১ দশমিক ৮০ শতাংশ বৈদেশিক উত্স থেকে নির্বাহ করা হবে।
ঘাটতি অর্থায়ন নিম্নমুখী হওয়ার বিষয়টি দুইভাবে দেখার সুযোগ আছে বলে মনে করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিম্নহারে ঘাটতি মানে তা সরকারের জন্য সহজে ব্যবস্থাপনাযোগ্য। কারণ, এতে ঋণের অনুপাত কম থাকছে। সেদিক থেকে এটি ভালো।’
তবে আরেক দিক থেকে দেখলে এটাকে ভালো বলা কঠিন মনে করেন আহসান মনসুর। তিনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে ব্যর্থতা ঘাটতি অর্থায়ন কমিয়ে দিয়েছে। আর এটি আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক দিকেরই প্রতিফলন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বমন্দার এ সময় অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়িয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য এডিপি বাস্তবায়ন জোরদার হওয়া প্রয়োজন ছিল। দেখা যাচ্ছে সেটিও হয়নি।’
২০০৮-০৯ অর্থবছরে সংশোধিত এডিপির আয়তন ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা গেছে ১৯ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। মানে বাস্তবায়ন হার ৮৬ শতাংশ। অবশ্য শুরুতে ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মূল এডিপি নির্ধারণ করা হয়েছিল।
আগের অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থবছর জিডিপিতে ঘাটতির অংশ কমে যাওয়ার মানে সরকার আগের তুলনায় কম সম্প্রসারণমুখী হয়েছে বলেও মত প্রকাশ করেছেন আহসান মনসুর। আর এটি প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলেও মনে করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, মোট ঘাটতির প্রায় ৪৮ শতাংশই অর্থায়ন করা হয়েছে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে। এই সময়কালে সরকার ১০ হাজার ৫১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়েছিল।
ব্যাংকবহির্ভূত উত্স থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে চার হাজার ৪০৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা, যা মোট ঘাটতি অর্থায়নের ২০ শতাংশ।
আর বিদেশি ঋণ থেকে অর্থায়ন করা হয়েছে মোট ঘাটতির ৩২ শতাংশ। এর পরিমাণ সাত হাজার ৩৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
No comments