সামরিক আদালতে সু চির শাস্তি দুঃস্বপ্ন শেষ হয়নি -মিয়ানমার by আইরীন খান
গৃহবন্দী থাকার শর্তাবলি লঙ্ঘনের জন্য অং সান সু চির বিরুদ্ধে মিয়ানমারের আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। মিয়ানমারের আদালত তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং তার মধ্যে ১৮ মাসের গৃহবন্দী রাখার রায় দিয়েছেন। আমরা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আশা করেছিলাম, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে হয়তো মিয়ানমার সরকার এমন ব্যবস্থা করবে, যাতে একজন দোষী ব্যক্তিকে সর্বোচ্চের তুলনায় কম শাস্তি দেওয়া হয়।
এখনো অং সান সু চি বিবেকের বন্দী। এবং এখন একমাত্র গ্রহণযোগ্য বিষয় হলো, তাঁর শিগগির এবং শর্তহীন মুক্তি।
আং সান সু চির সাজা ঘৃণ্য এবং জঘন্য। এটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মুখে চড় মারার মতো। অবস্থা এমন যে, কূটনৈতিক পরিস্থিতি যদি তাঁকে পাঁচ বছর জেলের মধ্যে রাখার মতো অনুকূল থাকত, তবে জেনারেলরা নিঃসন্দেহে তা-ই করত।
দুর্ভাগ্যবশত, জাতিসংঘ ও অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট নেশন (আসিয়ান) —উভয়েই অং সান সু চির মুক্তির জন্য কয়েক মাস ধরে বলে আসছে। তাদের এমনটি করা আর উচিত হবে না, এখন প্রয়োজন কথাকে কাজে পরিণত করা।
জেনারেলদের ইনসেইন কারাগারে সু চিকে সাড়ে তিন বছর কাটাতে হয়েছিল। কিন্তু তাদের কিছুই খোয়াতে হয়নি। সহজ গাণিতিক হিসাব আপনাকে বলে দেবে যে নির্বাচন ৩১ ডিসেম্বর, ২০১০-এর মধ্যে হতে পারে এবং সে পর্যন্ত আটকে রাখার জন্যই এই রায়।
মানবাধিকারের সঙ্গে সংগতি রেখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া দেখানো দরকার এবং এই অপ্রত্যাশিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করা উচিত। তাদের স্মরণ রাখা উচিত, আং সান সু চি সেই অগণিত কারাবন্দীদের একজন, যাঁরা মিয়ানমারের বিবেক এবং তাঁদের অনেককেই এ রকম ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্য দিনযাপন করতে হচ্ছে।
ব্রিটেনের দি গার্ডিয়ান থেকে অনূদিত।
আইরীন খান: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল।
এখনো অং সান সু চি বিবেকের বন্দী। এবং এখন একমাত্র গ্রহণযোগ্য বিষয় হলো, তাঁর শিগগির এবং শর্তহীন মুক্তি।
আং সান সু চির সাজা ঘৃণ্য এবং জঘন্য। এটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মুখে চড় মারার মতো। অবস্থা এমন যে, কূটনৈতিক পরিস্থিতি যদি তাঁকে পাঁচ বছর জেলের মধ্যে রাখার মতো অনুকূল থাকত, তবে জেনারেলরা নিঃসন্দেহে তা-ই করত।
দুর্ভাগ্যবশত, জাতিসংঘ ও অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট নেশন (আসিয়ান) —উভয়েই অং সান সু চির মুক্তির জন্য কয়েক মাস ধরে বলে আসছে। তাদের এমনটি করা আর উচিত হবে না, এখন প্রয়োজন কথাকে কাজে পরিণত করা।
জেনারেলদের ইনসেইন কারাগারে সু চিকে সাড়ে তিন বছর কাটাতে হয়েছিল। কিন্তু তাদের কিছুই খোয়াতে হয়নি। সহজ গাণিতিক হিসাব আপনাকে বলে দেবে যে নির্বাচন ৩১ ডিসেম্বর, ২০১০-এর মধ্যে হতে পারে এবং সে পর্যন্ত আটকে রাখার জন্যই এই রায়।
মানবাধিকারের সঙ্গে সংগতি রেখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া দেখানো দরকার এবং এই অপ্রত্যাশিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করা উচিত। তাদের স্মরণ রাখা উচিত, আং সান সু চি সেই অগণিত কারাবন্দীদের একজন, যাঁরা মিয়ানমারের বিবেক এবং তাঁদের অনেককেই এ রকম ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্য দিনযাপন করতে হচ্ছে।
ব্রিটেনের দি গার্ডিয়ান থেকে অনূদিত।
আইরীন খান: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল।
No comments