রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন সু চি
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি ও মার্কিন নাগরিক জন ইয়েত্ত তাঁদের দেওয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন। গতকাল বুধবার তাঁদের আইনজীবীরা এ কথা জানান। এদিকে সু চির বিরুদ্ধে মিয়ানমারের আদালতের দেওয়া রায়কে ‘হতাশাজনক’ অভিহিত করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর নেতারা। এদিকে জান্তা সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
গৃহবন্দী থাকার সময় তাঁর বাড়িতে মার্কিন নাগরিক জন ইয়েত্তর অনুপ্রবেশের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে গত মঙ্গলবার ইনসেইন কারাগারে স্থাপিত একটি বিশেষ আদালত প্রথমে সু চিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া মার্কিন নাগরিক ইয়েত্তকেও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে জান্তাপ্রধান থান শোয়ে বিশেষ ক্ষমতাবলে সু চির সাজার মেয়াদ দেড় বছর কমিয়ে দেন এবং কারাদণ্ডের পরিবর্তে তাঁকে গৃহবন্দী রাখার নির্দেশ দেন।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, সু চিকে আরও দেড় বছর অন্তরিন রাখার অর্থ আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা।
সু চির আইনজীবী নিয়ান উইন গতকাল বলেছেন, রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা আপিল করবেন। কারণ রায় নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। তাঁরা মনে করেন, আইনের সঙ্গে সংগতি রেখে রায় ঘোষণা করা হয়নি। এ ব্যাপারে আপিল করার জন্য সু চির সম্মতিও পেয়েছেন তাঁরা। জন ইয়েত্তর আইনজীবী খিন মঙ জানান, তাঁর মক্কেলের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করবেন তিনি। দরকার হলে ইয়েত্তকে মিয়ানমার থেকে বহিষ্কার করার জন্য জান্তাপ্রধান থান শোয়ের কাছেও আবেদন জানানো হবে।
ওদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ান সু চির বিরুদ্ধে দেওয়া এই রায়কে ‘গভীর হতাশাজনক’ হিসেবে অভিহিত করেছে। জোটের নেতারা নোবেলজয়ী এই নেত্রীর দ্রুত মুক্তি দাবি করেন। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, আসিয়ান নেতাদের এই বিবৃতিতে মিয়ানমারের জান্তা সরকার কান দেবে বলে মনে হয় না। বরং প্রতিবেশী চীন ও ভারতের প্রতিক্রিয়াকে তারা বেশি গুরুত্ব দেবে। ভারত সরকার এই রায়ের ব্যাপারে প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতি না দিলেও চীন বলেছে, মিয়ানমারের বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতার প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা উচিত। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের সমস্যাগুলো দূর করবে বলে বেইজিং আশা করে।
তবে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা সু চির গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ বাড়ানোর সমালোচনা অব্যাহত রেখেছেন। জাতিসংঘের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত ইব্রাহিম গাম্বারি বলেছেন, সু চিকে ছাড়া সেখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। সু চির সাজাকে অনৈতিক উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দ্রুত তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। অস্ট্রেলিয়াও সে দেশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তাদের নিন্দার কথা জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও কঠোর বাণিজ্য অবরোধ আরোপের প্রস্তাবকে সমর্থন জানায় তারা। এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি জরুরি বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ভেঙে গেছে। সু চি গত ২০ বছরের মধ্যে ১৪ বছরই গৃহবন্দী।
গৃহবন্দী থাকার সময় তাঁর বাড়িতে মার্কিন নাগরিক জন ইয়েত্তর অনুপ্রবেশের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে গত মঙ্গলবার ইনসেইন কারাগারে স্থাপিত একটি বিশেষ আদালত প্রথমে সু চিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া মার্কিন নাগরিক ইয়েত্তকেও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে জান্তাপ্রধান থান শোয়ে বিশেষ ক্ষমতাবলে সু চির সাজার মেয়াদ দেড় বছর কমিয়ে দেন এবং কারাদণ্ডের পরিবর্তে তাঁকে গৃহবন্দী রাখার নির্দেশ দেন।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, সু চিকে আরও দেড় বছর অন্তরিন রাখার অর্থ আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা।
সু চির আইনজীবী নিয়ান উইন গতকাল বলেছেন, রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা আপিল করবেন। কারণ রায় নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। তাঁরা মনে করেন, আইনের সঙ্গে সংগতি রেখে রায় ঘোষণা করা হয়নি। এ ব্যাপারে আপিল করার জন্য সু চির সম্মতিও পেয়েছেন তাঁরা। জন ইয়েত্তর আইনজীবী খিন মঙ জানান, তাঁর মক্কেলের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করবেন তিনি। দরকার হলে ইয়েত্তকে মিয়ানমার থেকে বহিষ্কার করার জন্য জান্তাপ্রধান থান শোয়ের কাছেও আবেদন জানানো হবে।
ওদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ান সু চির বিরুদ্ধে দেওয়া এই রায়কে ‘গভীর হতাশাজনক’ হিসেবে অভিহিত করেছে। জোটের নেতারা নোবেলজয়ী এই নেত্রীর দ্রুত মুক্তি দাবি করেন। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, আসিয়ান নেতাদের এই বিবৃতিতে মিয়ানমারের জান্তা সরকার কান দেবে বলে মনে হয় না। বরং প্রতিবেশী চীন ও ভারতের প্রতিক্রিয়াকে তারা বেশি গুরুত্ব দেবে। ভারত সরকার এই রায়ের ব্যাপারে প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতি না দিলেও চীন বলেছে, মিয়ানমারের বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতার প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা উচিত। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের সমস্যাগুলো দূর করবে বলে বেইজিং আশা করে।
তবে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা সু চির গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ বাড়ানোর সমালোচনা অব্যাহত রেখেছেন। জাতিসংঘের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত ইব্রাহিম গাম্বারি বলেছেন, সু চিকে ছাড়া সেখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। সু চির সাজাকে অনৈতিক উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দ্রুত তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। অস্ট্রেলিয়াও সে দেশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তাদের নিন্দার কথা জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও কঠোর বাণিজ্য অবরোধ আরোপের প্রস্তাবকে সমর্থন জানায় তারা। এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি জরুরি বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ভেঙে গেছে। সু চি গত ২০ বছরের মধ্যে ১৪ বছরই গৃহবন্দী।
No comments