ক্রিকেটারদের গায়ে এমন পোশাক
যেখানে জার্সির শেষ, সেখানে ট্রাউজারের শুরু। যারা একটু লম্বা, শরীরের হেলদোলে জার্সি আর ট্রাউজারের মাঝে ‘নোম্যান্সল্যান্ড’ হয়ে ওঠে তাদের ‘মধ্য প্রদেশের’ কিছু অংশ। জাতীয় ক্রিকেট দলের পোশাক এখন এতটাই ‘স্মার্ট’!
‘পোশাকে পরিচয়’ কথাটাকে শেখ সাদীও পুরোপুরি কবর দিয়ে যেতে পারেননি। কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবের চেয়ারম্যানস লাউঞ্জে ঢুকতে হলে যেমন টাই আর শু পরে আসতে হয়, বাংলাদেশেও এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে আপনি ইচ্ছেমতো পোশাক পরে যেতে পারবেন না।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) সম্ভবত মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, ক্রিকেট মাঠ সে রকমই একটা জায়গা। আর ক্রিকেটাররা জাতির এমন প্রতিনিধি, যাদের অন্তত পোশাক নিয়ে বিব্রত হওয়া মানায় না। দূর থেকে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের গায়ে থাকা লাল-সবুজ জার্সি যত সুন্দরই দেখাক না কেন, সেটা আসলে মরীচিকা। কাছে গেলে সৌন্দর্য ধুয়ে ভেসে ওঠে কত না দৈন্য! সবচেয়ে হতাশার কথা, পুরো জার্সিতে কোথাও ‘বাংলাদেশ’ নামটাই নেই! বিদেশি কোনো দর্শক হঠাত্ করে দেখলে বুঝতেই পারবে না, লাল-সবুজ জার্সি পরা এই খেলোয়াড়েরা আসলে কোন দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। অথচ খেলোয়াড়েরাই তো দেশের সবচেয়ে বড় দূত। তাদের জার্সিতে ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি জুড়ে দিতে আপত্তি কিসের!
সেদিন নেটে জাতীয় দলের এক পেসারকে একেকটা বল করার পরই নিচের দিকে জার্সি টানতে টানতে এদিক-সেদিক তাকাতে দেখা গেল। যেন বল করার চেয়ে সম্ভ্রম রক্ষাতেই বেশি মনোযোগ। কী আর করবেন বেচারা, বল ডেলিভারি দেওয়ার সময় জার্সি যে উঠে চলে আসছে বুকের কাছাকাছি! বলতে পারেন, ‘বোলার ব্যাটা ইন করে না কেন?’ করবে কোত্থেকে? ট্রাউজারের যেখানে শুরু, জার্সির পথচলা যে তার আগেই সারা! ইন করতে যে অতিরিক্ত কাপড়টুকু লাগে, সেটা তো জার্সিতে থাকতে হবে!
সমস্যা নানাবিধ। অনুশীলনের ট্রাউজার শরীরের সঙ্গে এতটাই আঁটোসাঁটো যে অনুশীলনে গিয়ে অনেকেই আর সেটা পরে থাকার সাহস করেন না। যদি ছিঁড়েটিড়ে যায়! মাঠে এসে তাই ট্রাউজার খুলে পরে ফেলতে হচ্ছে শর্টস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাওয়ার সময় খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্টকে দেওয়া এই পোশাক সংকুচিত হয়ে এখন পরার একেবারেই অনুপযোগী। পরশু ম্যাচ শেষে এক ক্রিকেটার নিজের জার্সি দেখিয়ে বললেন, ‘বিশ্বাস করবেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এই জার্সি এতটুকু লম্বা ছিল (হাত দিয়ে হাঁটুর একটু ওপর পর্যন্ত দেখালেন), আর এখন ছোট হয়ে এখানে (এবার দেখালেন কোমরের ওপরে)।’ শুধু খেলা বা অনুশীলনের জার্সি কেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর জিম্বাবুয়ে সফরে যে ট্রাভেল শার্ট পরে এসেছেন ক্রিকেটাররা, সেটা নিয়েও আছে অভিযোগ। বস্তার মতো ভারী টি-শার্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের গরমে গলার ফাঁস হয়ে গেল ক্রিকেটারদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে সিরিজ জয়ের ‘শাস্তি’টা হলো জিম্বাবুয়ে পর্যন্ত প্রায় ৩৬ ঘণ্টার বিমানভ্রমণ। তবে ক্রিকেটারদের জন্য সুখবর, ঢাকায় ফেরার সময় নতুন ট্রাভেল শার্ট পাচ্ছেন তাঁরা। এনামুল হক জুনিয়র আসার সময় ঢাকা থেকে সেসব নিয়ে এসেছেন বুলাওয়েতে।
টিম স্পনসর গ্রামীণফোনের কাছ থেকে স্পনসর মানির বাইরে প্রতিবছর পোশাক ও কিট্স বাবদ ৪৫ লাখ টাকা পায় বিসিবি। এর বাইরে বাটার সঙ্গে আছে পোশাক বাবদ তিন বছরের জন্য আড়াই লাখ ডলারের চুক্তি। সেই টাকা দিয়ে বোর্ড নিজেরাই পোশাক ও কিটেসর ব্যবস্থা করে। কিন্তু খেলোয়াড়দের গায়ে যে নিম্নমানের জার্সি উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাতে এই টাকা কীভাবে খরচ হয় কে জানে!
দলনেতা হিসেবে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে জিম্বাবুয়ে সফরে আসা বোর্ড পরিচালক গাজী আশরাফ হোসেনের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে লাভ হলো না। ‘জার্সি নিয়ে কথা বলব’ বলার পরই মাঠের ওপর দিয়ে কৌণিক পথে প্রায় দৌড়াতে দৌড়াতে বলে গেলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারব না।’
ক্রিকেটারদের জার্সি নিয়ে তাহলে বোর্ড পরিচালকেরাও বিব্রত!
‘পোশাকে পরিচয়’ কথাটাকে শেখ সাদীও পুরোপুরি কবর দিয়ে যেতে পারেননি। কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবের চেয়ারম্যানস লাউঞ্জে ঢুকতে হলে যেমন টাই আর শু পরে আসতে হয়, বাংলাদেশেও এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে আপনি ইচ্ছেমতো পোশাক পরে যেতে পারবেন না।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) সম্ভবত মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, ক্রিকেট মাঠ সে রকমই একটা জায়গা। আর ক্রিকেটাররা জাতির এমন প্রতিনিধি, যাদের অন্তত পোশাক নিয়ে বিব্রত হওয়া মানায় না। দূর থেকে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের গায়ে থাকা লাল-সবুজ জার্সি যত সুন্দরই দেখাক না কেন, সেটা আসলে মরীচিকা। কাছে গেলে সৌন্দর্য ধুয়ে ভেসে ওঠে কত না দৈন্য! সবচেয়ে হতাশার কথা, পুরো জার্সিতে কোথাও ‘বাংলাদেশ’ নামটাই নেই! বিদেশি কোনো দর্শক হঠাত্ করে দেখলে বুঝতেই পারবে না, লাল-সবুজ জার্সি পরা এই খেলোয়াড়েরা আসলে কোন দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। অথচ খেলোয়াড়েরাই তো দেশের সবচেয়ে বড় দূত। তাদের জার্সিতে ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি জুড়ে দিতে আপত্তি কিসের!
সেদিন নেটে জাতীয় দলের এক পেসারকে একেকটা বল করার পরই নিচের দিকে জার্সি টানতে টানতে এদিক-সেদিক তাকাতে দেখা গেল। যেন বল করার চেয়ে সম্ভ্রম রক্ষাতেই বেশি মনোযোগ। কী আর করবেন বেচারা, বল ডেলিভারি দেওয়ার সময় জার্সি যে উঠে চলে আসছে বুকের কাছাকাছি! বলতে পারেন, ‘বোলার ব্যাটা ইন করে না কেন?’ করবে কোত্থেকে? ট্রাউজারের যেখানে শুরু, জার্সির পথচলা যে তার আগেই সারা! ইন করতে যে অতিরিক্ত কাপড়টুকু লাগে, সেটা তো জার্সিতে থাকতে হবে!
সমস্যা নানাবিধ। অনুশীলনের ট্রাউজার শরীরের সঙ্গে এতটাই আঁটোসাঁটো যে অনুশীলনে গিয়ে অনেকেই আর সেটা পরে থাকার সাহস করেন না। যদি ছিঁড়েটিড়ে যায়! মাঠে এসে তাই ট্রাউজার খুলে পরে ফেলতে হচ্ছে শর্টস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাওয়ার সময় খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্টকে দেওয়া এই পোশাক সংকুচিত হয়ে এখন পরার একেবারেই অনুপযোগী। পরশু ম্যাচ শেষে এক ক্রিকেটার নিজের জার্সি দেখিয়ে বললেন, ‘বিশ্বাস করবেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এই জার্সি এতটুকু লম্বা ছিল (হাত দিয়ে হাঁটুর একটু ওপর পর্যন্ত দেখালেন), আর এখন ছোট হয়ে এখানে (এবার দেখালেন কোমরের ওপরে)।’ শুধু খেলা বা অনুশীলনের জার্সি কেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর জিম্বাবুয়ে সফরে যে ট্রাভেল শার্ট পরে এসেছেন ক্রিকেটাররা, সেটা নিয়েও আছে অভিযোগ। বস্তার মতো ভারী টি-শার্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের গরমে গলার ফাঁস হয়ে গেল ক্রিকেটারদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে সিরিজ জয়ের ‘শাস্তি’টা হলো জিম্বাবুয়ে পর্যন্ত প্রায় ৩৬ ঘণ্টার বিমানভ্রমণ। তবে ক্রিকেটারদের জন্য সুখবর, ঢাকায় ফেরার সময় নতুন ট্রাভেল শার্ট পাচ্ছেন তাঁরা। এনামুল হক জুনিয়র আসার সময় ঢাকা থেকে সেসব নিয়ে এসেছেন বুলাওয়েতে।
টিম স্পনসর গ্রামীণফোনের কাছ থেকে স্পনসর মানির বাইরে প্রতিবছর পোশাক ও কিট্স বাবদ ৪৫ লাখ টাকা পায় বিসিবি। এর বাইরে বাটার সঙ্গে আছে পোশাক বাবদ তিন বছরের জন্য আড়াই লাখ ডলারের চুক্তি। সেই টাকা দিয়ে বোর্ড নিজেরাই পোশাক ও কিটেসর ব্যবস্থা করে। কিন্তু খেলোয়াড়দের গায়ে যে নিম্নমানের জার্সি উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাতে এই টাকা কীভাবে খরচ হয় কে জানে!
দলনেতা হিসেবে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে জিম্বাবুয়ে সফরে আসা বোর্ড পরিচালক গাজী আশরাফ হোসেনের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে লাভ হলো না। ‘জার্সি নিয়ে কথা বলব’ বলার পরই মাঠের ওপর দিয়ে কৌণিক পথে প্রায় দৌড়াতে দৌড়াতে বলে গেলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারব না।’
ক্রিকেটারদের জার্সি নিয়ে তাহলে বোর্ড পরিচালকেরাও বিব্রত!
No comments