চীন একটু চেষ্টা করলেই ভারত ভেঙে যাবে
ভারত ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যেতে পারে এমন একটা ধারণা অতীতে পশ্চিমাদের মধ্যে বদ্ধমূল ছিল। পশ্চিমা বিশ্ব এত দিনে সেই ধ্যান-ধারণা থেকে বের হয়ে এসেছে। তবে একই ধারণা আজও পোষণ করছে চীন। সে দেশের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে অন্তত এ রকমই ধারণা পাওয়া যায়। চীনের একজন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের লেখা নিবন্ধটিতে বলা হয়েছে, চীন সামান্য উদ্যোগ নিলেই ভারত ভেঙে অন্তত ২০ থেকে ৩০ খণ্ডে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে। নিবন্ধটি ঘিরে ভারতের নীতিনির্ধারক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বেইজিংয়ের চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (ররংং.পহ) ওয়েবসাইটে গত ৮ এপ্রিল নিবন্ধটি প্রকাশ করা হয়। সংস্থাটিকে চীন সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ থিংক ট্যাংক হিসেবে গণ্য করা হয়। নিবন্ধে ভারতকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার রোডম্যাপও দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, আসামের স্বাধীনতার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী উলফাকে সমর্থন দিতে পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানকে কাজে লাগাতে পারে চীন। তামিল ও নাগাদেরও একই কায়দায় উত্সাহ জোগানো সম্ভব। পশ্চিমবঙ্গের স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশ প্ররোচনা দিতে পারে। এই কায়দায় চীন দক্ষিণ তিব্বতের ৯০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা পুনরুদ্ধার করতে পারে।
নিবন্ধটিতে এও বলা হয়, ইতিহাসে ‘ভারতীয় জাতি’র আদৌ কোনো অস্তিত্ব ছিল না। ভারত জোটবদ্ধ হয়েছিল ‘অবক্ষয়ী’ হিন্দুত্ববাদী চেতনাকে কাজে লাগিয়ে।
চীনের স্বার্থে এবং গোটা এশিয়ার উন্নয়নের স্বার্থে অসমিয়া, তামিল ও কাশ্মীরিদের মতো ভারতের বিভিন্ন জাতি সম্প্রদায়ের সঙ্গে বেইজিংয়ের হাত মেলানো উচিত। তাতে ওই জাতি সম্প্রদায়গুলো স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারবে। তাতে ভারতও ভেঙে টুকরো টুকরো হবে। নিবন্ধটিতে জোর দিয়ে বলা হয়, ভারত ২০-৩০টি খণ্ডে বিভক্ত হয়ে পড়লে তা আর পুনর্গঠিত হতে পারবে না।
ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের থিংক ট্যাংকের ওয়েবসাইটের ওই নিবন্ধে যেসব পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে, তা নয়াদিল্লির উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্যে চীনকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, কোনো মতামত প্রকাশের আগে যেন বেইজিং দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বিচার-বিবেচনা করে।
নিবন্ধটি সম্পর্কে চীন সরকারের মতামত জানতে চাইলে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ওই লেখায় একজন ব্যক্তির স্বাধীন মতামত ব্যক্ত করা হয়েছে। এর সঙ্গে চীন সরকারের কোনো যোগ নেই। নিবন্ধটি চীন ও ভারতের সম্পর্কের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
বেইজিংয়ের চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (ররংং.পহ) ওয়েবসাইটে গত ৮ এপ্রিল নিবন্ধটি প্রকাশ করা হয়। সংস্থাটিকে চীন সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ থিংক ট্যাংক হিসেবে গণ্য করা হয়। নিবন্ধে ভারতকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার রোডম্যাপও দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, আসামের স্বাধীনতার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী উলফাকে সমর্থন দিতে পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানকে কাজে লাগাতে পারে চীন। তামিল ও নাগাদেরও একই কায়দায় উত্সাহ জোগানো সম্ভব। পশ্চিমবঙ্গের স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশ প্ররোচনা দিতে পারে। এই কায়দায় চীন দক্ষিণ তিব্বতের ৯০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা পুনরুদ্ধার করতে পারে।
নিবন্ধটিতে এও বলা হয়, ইতিহাসে ‘ভারতীয় জাতি’র আদৌ কোনো অস্তিত্ব ছিল না। ভারত জোটবদ্ধ হয়েছিল ‘অবক্ষয়ী’ হিন্দুত্ববাদী চেতনাকে কাজে লাগিয়ে।
চীনের স্বার্থে এবং গোটা এশিয়ার উন্নয়নের স্বার্থে অসমিয়া, তামিল ও কাশ্মীরিদের মতো ভারতের বিভিন্ন জাতি সম্প্রদায়ের সঙ্গে বেইজিংয়ের হাত মেলানো উচিত। তাতে ওই জাতি সম্প্রদায়গুলো স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারবে। তাতে ভারতও ভেঙে টুকরো টুকরো হবে। নিবন্ধটিতে জোর দিয়ে বলা হয়, ভারত ২০-৩০টি খণ্ডে বিভক্ত হয়ে পড়লে তা আর পুনর্গঠিত হতে পারবে না।
ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের থিংক ট্যাংকের ওয়েবসাইটের ওই নিবন্ধে যেসব পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে, তা নয়াদিল্লির উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্যে চীনকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, কোনো মতামত প্রকাশের আগে যেন বেইজিং দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বিচার-বিবেচনা করে।
নিবন্ধটি সম্পর্কে চীন সরকারের মতামত জানতে চাইলে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ওই লেখায় একজন ব্যক্তির স্বাধীন মতামত ব্যক্ত করা হয়েছে। এর সঙ্গে চীন সরকারের কোনো যোগ নেই। নিবন্ধটি চীন ও ভারতের সম্পর্কের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
No comments