সু চির আটকাদেশের বিরুদ্ধে বিশ্বমঞ্চে সোচ্চার হওয়া জরুরি -মিয়ানমারে ‘বর্বর’ বিধান
বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তের প্রতিবেশী মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সে দেশের নির্বাচনজয়ী নেত্রী, গণতন্ত্রের মানসকন্যা অং সান সু চিকে নতুন করে দেড় বছরের আটকাদেশ দিয়েছে। বিশ্বের দীর্ঘতম সামরিক শাসনাধীন মিয়ানমারের দীর্ঘতম সময়ের বন্দী হলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি। সু চি মিয়ানমারের অবরুদ্ধ গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা, এশিয়ার নেলসন ম্যান্ডেলা। ১৯৯০ সালের নির্বাচনে ৮০ শতাংশ আসনে জয়ী হয়েও তিনি ও তাঁর দল দেশসেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। প্রতিবেশী হিসেবে, গণতন্ত্রের পথযাত্রী হিসেবে বাংলাদেশের উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একযোগে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের এই কলঙ্কিত আদেশের নিন্দা জানানো।
আগামী বছরের ৩১ ডিসেম্বর মিয়ানমারের নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচন। জেনারেলদের জন্য এটা একটা জটিল সময়। একদিকে তাঁদের দেখাতে হবে যে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, অন্যদিকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতায় যাওয়াও ঠেকাতে হবে। মুক্ত সু চি নির্বাচনে জয়ী হবেন—এ বিষয়ে কারও সন্দেহ নেই। জনগণও উজ্জীবিত হয়ে ১৯৯৫ ও ২০০২ সালের মতো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শামিল হবে। এ জন্যই যেকোনো উপায়ে সু চিকে আটকে রাখতে জেনারেলরা মরিয়া।
অং সান সু চি গত ২০ বছরে ১৪ বছরই বন্দী রয়েছেন; কারাগারে কিংবা গৃহবন্দী-দশায়। প্রতিবারই মিথ্যা অজুহাতে তাঁকে আটক করা হয়। এ বছরের জুলাই মাসে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন মিয়ানমার সফর করে সু চির মুক্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। ২০০৭ সালে জাতিসংঘের দূত ইব্রাহিম গাম্বারি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সফর করে মিয়ানমারের ওপর রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু সবই নিষ্ফল, ‘সকলই গরল ভেল’। সু চির নতুন আটকাদেশ এরই প্রমাণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল আইরিন খান একযোগে এর নিন্দা করে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, যত গর্জন তত বর্ষণ এখনো দেখা যায়নি। বিশ্বের পরাশক্তি রাষ্ট্র তথা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইসরায়েল এবং চীন ও ভারত এখনো পরোক্ষে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ ও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন কোম্পানি শেভরন ও হ্যালিবার্টন এবং ফরাসি কোম্পানি টোটাল সেখানকার গ্যাসক্ষেত্র ও পাইপলাইনের বড় অংশের মালিক। ব্রিটিশ ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস, আসিয়ান এক্সপ্লোরার, একুয়াটিক এবং রোলস-রয়েসের সঙ্গে সামরিক জান্তার কারবার রয়েছে। যুক্তরাজ্য ও রাশিয়া মিয়ানমারে দীর্ঘদিন যাবত অস্ত্র বিক্রি করে চলেছে। ইসরায়েলও তাদের পুরোনো মিত্র। কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া তাদের সামরিক সহযোগী। উপমহাদেশে মিয়ানমারের দুই বড় খুঁটি হলো চীন ও ভারত। বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের যেমন ইসরায়েল, চীনের তেমনি মিয়ানমার। ভারতও বন্দর ও গ্যাস-সুবিধার বিনিময়ে মিয়ানমারের সামরিক কর্তাদের খুশি রাখছে। ২০০৭ সালের বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সাহসী প্রতিবাদের মর্মান্তিক দমনও শক্তিমান দেশগুলোর এ সমর্থনকে টলাতে পারেনি। এসবের কারণেই দিনকে দিন জেনারেলদের পক্ষে মিয়ানমারের জনগণ ও বিশ্বজনমত উপেক্ষা করে চলা সম্ভব হচ্ছে।
এর পরও পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো মিয়ানমারের ওপর চূড়ান্ত চাপ দিতে সর্বাত্মক অবরোধের দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। আমাদের উচিত এ অবস্থায় নীরব না থেকে বিশ্বসম্প্রদায়ের সঙ্গে মিয়ানমারে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করে যাওয়া। সেটাই হবে গণতন্ত্রমনা বাংলাদেশের দায়িত্বশীলতার পরিচয়।
আগামী বছরের ৩১ ডিসেম্বর মিয়ানমারের নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচন। জেনারেলদের জন্য এটা একটা জটিল সময়। একদিকে তাঁদের দেখাতে হবে যে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, অন্যদিকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতায় যাওয়াও ঠেকাতে হবে। মুক্ত সু চি নির্বাচনে জয়ী হবেন—এ বিষয়ে কারও সন্দেহ নেই। জনগণও উজ্জীবিত হয়ে ১৯৯৫ ও ২০০২ সালের মতো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শামিল হবে। এ জন্যই যেকোনো উপায়ে সু চিকে আটকে রাখতে জেনারেলরা মরিয়া।
অং সান সু চি গত ২০ বছরে ১৪ বছরই বন্দী রয়েছেন; কারাগারে কিংবা গৃহবন্দী-দশায়। প্রতিবারই মিথ্যা অজুহাতে তাঁকে আটক করা হয়। এ বছরের জুলাই মাসে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন মিয়ানমার সফর করে সু চির মুক্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। ২০০৭ সালে জাতিসংঘের দূত ইব্রাহিম গাম্বারি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সফর করে মিয়ানমারের ওপর রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু সবই নিষ্ফল, ‘সকলই গরল ভেল’। সু চির নতুন আটকাদেশ এরই প্রমাণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল আইরিন খান একযোগে এর নিন্দা করে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, যত গর্জন তত বর্ষণ এখনো দেখা যায়নি। বিশ্বের পরাশক্তি রাষ্ট্র তথা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইসরায়েল এবং চীন ও ভারত এখনো পরোক্ষে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ ও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন কোম্পানি শেভরন ও হ্যালিবার্টন এবং ফরাসি কোম্পানি টোটাল সেখানকার গ্যাসক্ষেত্র ও পাইপলাইনের বড় অংশের মালিক। ব্রিটিশ ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস, আসিয়ান এক্সপ্লোরার, একুয়াটিক এবং রোলস-রয়েসের সঙ্গে সামরিক জান্তার কারবার রয়েছে। যুক্তরাজ্য ও রাশিয়া মিয়ানমারে দীর্ঘদিন যাবত অস্ত্র বিক্রি করে চলেছে। ইসরায়েলও তাদের পুরোনো মিত্র। কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া তাদের সামরিক সহযোগী। উপমহাদেশে মিয়ানমারের দুই বড় খুঁটি হলো চীন ও ভারত। বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের যেমন ইসরায়েল, চীনের তেমনি মিয়ানমার। ভারতও বন্দর ও গ্যাস-সুবিধার বিনিময়ে মিয়ানমারের সামরিক কর্তাদের খুশি রাখছে। ২০০৭ সালের বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সাহসী প্রতিবাদের মর্মান্তিক দমনও শক্তিমান দেশগুলোর এ সমর্থনকে টলাতে পারেনি। এসবের কারণেই দিনকে দিন জেনারেলদের পক্ষে মিয়ানমারের জনগণ ও বিশ্বজনমত উপেক্ষা করে চলা সম্ভব হচ্ছে।
এর পরও পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো মিয়ানমারের ওপর চূড়ান্ত চাপ দিতে সর্বাত্মক অবরোধের দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। আমাদের উচিত এ অবস্থায় নীরব না থেকে বিশ্বসম্প্রদায়ের সঙ্গে মিয়ানমারে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করে যাওয়া। সেটাই হবে গণতন্ত্রমনা বাংলাদেশের দায়িত্বশীলতার পরিচয়।
No comments