স্পেস স্টেশনে রিসাইকেল করা প্রস্রাব মেশানো স্যুপ খাচ্ছেন সুনীতারা

মহাকাশে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন সুনীতা উইলিয়ামস ( ৫৯) এবং বুচ উইলমোর ( ৬১)। তার মধ্যে অন্যতম খাদ্যের সঙ্কট। জানা গেছে, এমনই অবস্থা বুচ এবং সুনীতারা সেখানে প্রস্রাব মেশানো স্যুপ খেতে বাধ্য হচ্ছেন! গত জুন মাসে মাত্র ৮ দিনের জন্য মহাকাশে গিয়েছিলেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং তার সঙ্গী ব্যারি বুচ উইলমোর। কিন্তু সময়মতো পৃথিবীতে ফিরতে পারেননি তারা। কবে ফিরবেন তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। মহাকাশচারীদের কাছে দু ধরনের খাবার থাকে। শুকনো খাবারের মধ্যে থাকে গুঁড়ো দুধ, প্রাতরাশের শস্যজাতীয় খাবার, পিৎজা, চিকেন রোস্ট, টুনা ইত্যাদি। তারা এখন বেশিরভাগই ডিহাইড্রেটেড ক্যাসারোল, স্পেস স্টেশনের ৫৩০-গ্যালন ট্যাঙ্কের পানি দিয়ে তৈরি ফ্রিজের  শুকনো স্যুপ এবং গুঁড়ো দুধের সাথে প্রাতঃরাশে সিরিয়াল খাচ্ছেন। নভোচারীদের ঘাম এবং প্রস্রাবকে তাজা পানিতে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হয়। নাসার  চিকিৎসকরা গোটা মিশন জুড়ে সুনীতা ও বুচদের ডায়েট নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। বিশেষজ্ঞের মতে, সুনীতাদের কাছে এই ধরনের খাবার থাকলেও তাজা ফল, আনাজের ভান্ডার কমছে। পৃথিবী থেকে ৩ মাস অন্তর আইএসএস-এ খাবার পাঠানো হয়। তাই  রিসাইকেল করা প্রস্রাব মেশানো স্যুপ খাচ্ছেন সুনীতারা।সপ্তাহখানেক আগে সুনীতা এবং বুচের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই ছবিতে সুনীতাকে দেখে দাবি করেছিলেন যে তার শরীর খারাপ। কারণ, তাকে অবিশ্বাস্য রকমের রোগা লাগছে। মহাকাশে যাওয়ার আগে বুচের যে ছবি দেখা গিয়েছিল এখন তারও বদল ঘটেছে। তাই অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। তবে সুনীতা পরে ভিডিও বার্তায় স্পষ্ট করেছিলেন, তাকে নিয়ে চিন্তা করার কিছুই হয়নি। তিনি একদম সুস্থ-স্বাভাবিক আছেন। নভোচারীর বক্তব্য ছিল, ‘স্পেস স্টেশনে আসার সময়ে আমার যা ওজন ছিল, এখনও তাই আছে। কিন্তু এখানে থাকতে গেলে প্রতিদিন যে ব্যায়াম করতে হয়, তার কারণে শরীরের গঠনে বদল আসে। ছবি দেখে আপনাদের তাই মনে হচ্ছে আমি ভাল নেই।' সুনীতার এই বার্তা শুনে স্বস্তি পেয়েছেন সকলেই। নাসা বলছে সুনীতা এবং বুচ  ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফিরতে পারেন।

সূত্র :  ইকোনোমিক টাইমস

mzamin

No comments

Powered by Blogger.