সরকারের তিন মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা
দেশের অর্থনীতিকে ‘ক্রনি ক্যাপিটালিজম’ মুক্ত করার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আপনারা এটাতে অংশ নেবেন। আরেকটা জিনিস, ‘ক্রনি ক্যাপিটালিজম’ বা অন্যের পরিচয়ে ব্যবসা খুব দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আমাদের দেশে সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ের কোনো ভিত্তি হতে পারে না।
ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা সরকারের সখ্যতার ভিত্তিতে না ব্যবসা করে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা করেন। আমাদের অর্থনীতি উন্মুক্ত করার যে প্রচেষ্টা হাতে নিয়েছি, সেটার সঙ্গে আপনারা যুক্ত হবেন। আমাদের ভালো ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসবেন। এতে অর্থনৈতিক সংকট থেকে আমরা পরিত্রাণ পাবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও জ্বালানি খাতে দেশ নৈরাজ্যের চরম সীমায় পৌঁছেছিল। সে সময় ব্যবসায়ীদেরও কোনো মর্যাদা ছিল না। তবে এখন সে পরিস্থিতি বদলেছে। বিগত সরকারের সময়ে গ্যাস সংযোগ পাওয়া নিয়ে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সাবেক জ্বালানি মন্ত্রীর কাছে আমি গিয়েছিলাম। ওই সময় ওনার বাসার সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়েছিলাম, যেন আমি কোনো চাকরি চাইতে গিয়েছি। এর কারণ, এত টাকা বিনিয়োগ করেছি, কিন্তু গ্যাস সংযোগ পাচ্ছিলাম না। তখন গ্যাস সংযোগ পাওয়া আমার কাছে মনে হতো ব্যাংকের নিবন্ধন পাওয়ার মতো।
জ্বালানি খাত দুর্নীতির অন্যতম জায়গা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার পরে কিছু আর্থিক অপরাধী সম্পর্কে জানতে পারছি। এসব জেনে আমার কিছু কিছু মানুষের ব্রেন স্ক্যান করে দেখতে ইচ্ছা করে, যে এরা এতটা ক্রিমিনাল কী করে হতে পারে! শেখ বশিরউদ্দিন আরও বলেন, জ্বালানি খাতের বর্তমানে যে দুর্বলতা রয়েছে তা কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি পরিকল্পনা করে করা হয়েছে। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে বাস্তবতাকে অস্বীকার করার প্রবণতা নেই। আমরা বিদ্যমান সমস্যার সম্ভাব্য সমাধানের দিকেও যেতে পারবো বলে আশা করছি।
সেমিনারে বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জ্বালানি ও টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. ইজাজ হোসেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার প্রমুখ।
No comments