৮ জনের কাছে বিক্রি করা হয় মরিয়মকে
জঙ্গি
গোষ্ঠী আইএস ২০১৪ সালে ইরাকের ইয়াজিদি গ্রামগুলো দখলে নেয়। বন্দি করে ৬
হাজারের বেশি নারী ও শিশুকে। এর মধ্যে অনেক নারী, যুবতী, কিশোরীকে বিক্রি
করা হয় বিভিন্ন জনের কাছে। সেখানে তাদের ওপর নরপিশাচরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। ধর্ষণ
করে তাদেরকে। কখনো ব্যবহার করে দাসী হিসেবে। এমনই এক নারী মরিয়ম। একই রকম
পরিণতি হয়েছে তার মা’রও।
চার বছর আইএসের হাতে বন্দি ছিলেন মরিয়ম। সে সময়ের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তিনি বর্ণনা করেছেন অনলাইন বিবিসির কাছে। মরিয়ম বলেন, আমার বয়স যখন ১২ বছর তখন আমাকে বন্দি করে আইএস। এরপর বিক্রি করে দেয় আট জনের কাছে। ওই আটজনের মধ্যে তিনজন আমাকে ধর্ষণ করতো। আর বাকিরা ব্যবহার করতো দাসী হিসেবে। এমন নির্যাতনে মানসিক সমস্যা তেরি হয় তার মধ্যে। তার কাছ থেকে আলাদা করে রাখা হয় তার মাকে। মরিয়ম বলেন, ধরা পড়ার আগে আমার কথা বলতে কোনো সমস্যা হতো না। বন্দি থাকা অবস্থাতে এই সমস্যা শুরু হয়। বহুবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছি।
এরপর মার সঙ্গে দেখা হয়ে যায় মরিয়মের। তিনি সিদ্ধান্ত পাল্টান। এ প্রসঙ্গে মরিয়ম বলেন, বন্দি থাকা অবস্থায় মার সাথে একবার আমার দেখা করার সুযোগ হয়েছিল। তখন মাকে প্রতিশ্রুতি দিই যে, আত্মহত্যার চেষ্টা করবো না।
মরিয়ম আইএসের বন্দিদশা থেকে পালিয়ে এসেছেন। কিন্তু তার মার কি হয়েছে, তিনি কোথায় আছেন, সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারেন না মরিয়ম। মা কোথায় আছে বলতে না পারলেও মায়ের সঙ্গে রয়ে গেছে তার ভয়াবহ অনেক স্মৃতি। তা নিয়েই এখনও ঢুকরে ঢুকরে কেঁদে ওঠেন তিনি। মরিয়মের পিতা বলেন, এমন যদি হতো যে আমার মৃত্যু হলে মরিয়মের মা ফিরে আসতো, তাহলে সে মৃত্যুই ভালো হতো আমার জন্য। মরিয়মকে আমি বলি যেন বন্দি থাকাকালীন সময়ের স্মৃতি ভুলে যায় সে। সেসব স্মৃতি যত মনে করবে, ততই মানসিক কষ্ট বাড়বে। তবে বাবার সেসব কথা মরিয়মের অতীতের দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে সাহায্য করে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আগ্রাসনের পরে এমন আরো অসংখ্য মরিয়ম সৃষ্টি হয়েছে। তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আইনের বালাই নেই সেখানে। নারীরা সেখানে ভোগ্যপণ্যের মতো ব্যবহার হচ্ছে। এতে মরিয়মের মতো অনেক নারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। বিবিসি লিখেছে, গত ৪০ বছরে ইরাকে তিনটি বড় পরিসরের যুদ্ধ, একটি সামরিক অভ্যুত্থান ছাড়াও তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের দু'টি অভ্যুত্থান এবং জঙ্গিবাদী মিলিশিয়াদের সাথে সরকার সমর্থিত বাহিনীর গৃহযুদ্ধ হয়েছে। এছাড়াও ইরাকে পপ্রায় এক দশক ধরে চলেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিমান হামলা। প্রায় চার দশক ধরে এরকম একের পর এক সহিংস ঘটনার প্রভাব পড়েছে দেশটির মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। ইরাকে প্রতি ৩ লাখ মানুষের জন্য মনোরোগবিদ বা মানসিক সমস্যার চিকিৎসক রয়েছে একজন।
চার বছর আইএসের হাতে বন্দি ছিলেন মরিয়ম। সে সময়ের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তিনি বর্ণনা করেছেন অনলাইন বিবিসির কাছে। মরিয়ম বলেন, আমার বয়স যখন ১২ বছর তখন আমাকে বন্দি করে আইএস। এরপর বিক্রি করে দেয় আট জনের কাছে। ওই আটজনের মধ্যে তিনজন আমাকে ধর্ষণ করতো। আর বাকিরা ব্যবহার করতো দাসী হিসেবে। এমন নির্যাতনে মানসিক সমস্যা তেরি হয় তার মধ্যে। তার কাছ থেকে আলাদা করে রাখা হয় তার মাকে। মরিয়ম বলেন, ধরা পড়ার আগে আমার কথা বলতে কোনো সমস্যা হতো না। বন্দি থাকা অবস্থাতে এই সমস্যা শুরু হয়। বহুবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছি।
এরপর মার সঙ্গে দেখা হয়ে যায় মরিয়মের। তিনি সিদ্ধান্ত পাল্টান। এ প্রসঙ্গে মরিয়ম বলেন, বন্দি থাকা অবস্থায় মার সাথে একবার আমার দেখা করার সুযোগ হয়েছিল। তখন মাকে প্রতিশ্রুতি দিই যে, আত্মহত্যার চেষ্টা করবো না।
মরিয়ম আইএসের বন্দিদশা থেকে পালিয়ে এসেছেন। কিন্তু তার মার কি হয়েছে, তিনি কোথায় আছেন, সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারেন না মরিয়ম। মা কোথায় আছে বলতে না পারলেও মায়ের সঙ্গে রয়ে গেছে তার ভয়াবহ অনেক স্মৃতি। তা নিয়েই এখনও ঢুকরে ঢুকরে কেঁদে ওঠেন তিনি। মরিয়মের পিতা বলেন, এমন যদি হতো যে আমার মৃত্যু হলে মরিয়মের মা ফিরে আসতো, তাহলে সে মৃত্যুই ভালো হতো আমার জন্য। মরিয়মকে আমি বলি যেন বন্দি থাকাকালীন সময়ের স্মৃতি ভুলে যায় সে। সেসব স্মৃতি যত মনে করবে, ততই মানসিক কষ্ট বাড়বে। তবে বাবার সেসব কথা মরিয়মের অতীতের দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে সাহায্য করে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আগ্রাসনের পরে এমন আরো অসংখ্য মরিয়ম সৃষ্টি হয়েছে। তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আইনের বালাই নেই সেখানে। নারীরা সেখানে ভোগ্যপণ্যের মতো ব্যবহার হচ্ছে। এতে মরিয়মের মতো অনেক নারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। বিবিসি লিখেছে, গত ৪০ বছরে ইরাকে তিনটি বড় পরিসরের যুদ্ধ, একটি সামরিক অভ্যুত্থান ছাড়াও তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের দু'টি অভ্যুত্থান এবং জঙ্গিবাদী মিলিশিয়াদের সাথে সরকার সমর্থিত বাহিনীর গৃহযুদ্ধ হয়েছে। এছাড়াও ইরাকে পপ্রায় এক দশক ধরে চলেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিমান হামলা। প্রায় চার দশক ধরে এরকম একের পর এক সহিংস ঘটনার প্রভাব পড়েছে দেশটির মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। ইরাকে প্রতি ৩ লাখ মানুষের জন্য মনোরোগবিদ বা মানসিক সমস্যার চিকিৎসক রয়েছে একজন।
No comments